• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

‘স্বতঃস্ফূর্ত হয়েই আমরা টিকা নিচ্ছি, ভয়ের কিছু নেই’

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২১  

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারে টিকা নেয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেছেন, ‘স্বতঃস্ফূর্ত হয়েই আমরা টিকা নিচ্ছি এখানে ভয়ের কিছু নেই। আপনারা যারা টিকা নিয়ে সংশয়ে আছেন তাদের বলবো- আপনারা ভয় না পেয়ে টিকা নিন।’

বিএসএমএমইউ’র কনভেনশন সেন্টারের নিচতলায় বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকেই আনন্দমুখর পরিবেশে করোনা টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। যা দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলে।

টিকা নেয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের একজন বিএসএমএমইউ’র থোরাসিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক ডা. হিমেল সাহা বলেন, ‘করোনার মাঝে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। এখন টিকা এসেছে যা বহুল আকাঙ্খিত। আমিও টিকা নিলাম। টিকা নিয়ে আসলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’

তিনি বলেন, ‘এখানে সুশৃঙ্খল পরিবেশে টিকা দেয়া হচ্ছে। পুরো প্রক্রিয়ার জন্য আমি খুবই সন্তুষ্ট। এভাবে টিকা দেয়া হলে আমাদের দেশ থেকে করোনা দূরীভূত হবে বলে আশা করছি।’

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে এই চিকিৎসক বললেন, ‘সব টিকারই কিছু না কিছু প্রতিক্রিয়া থাকে, এজন্য ভয় পেলে তো হবে না। একশ জনের মধ্যে একজনের প্রতিক্রিয়া হওয়ার বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। আর আমারই তো টিকা নেয়া আধা ঘণ্টা হয়ে গেল, তেমন কোনো প্রতিক্রিয়াও মনে হচ্ছে না।’

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন সেন্টারের নিচতলায় করোনা টিকা নিতে নিবন্ধনের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। চারটি নিবন্ধন বুথের পাশেই রয়েছে চারটি ভ্যাকসিন বুথ। নিবন্ধনকৃতরা পর্যায়ক্রমে টিকা নিতে থাকেন। টিকা নেয়া শেষে বিশ্রাম কক্ষেও কেউ কেউ অবস্থান করেন। এসময় এক ঘণ্টার ব্যবধানে অন্তত সাতজনকে করোনার টিকা নিতে দেখা যায়।

নিবন্ধন বুথের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্স জোনায়েদ সরকার বলেন, ‘যে স্বাস্থ্যকর্মীরা রেজিস্ট্রেশন করছেন তারা এখানে আজ টিকা নেবেন। সকাল থেকেই টিকা দেয়া হচ্ছে। আমাদের উপাচার্য স্যার সকালে টিকা নিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। দুপুর দুইটা পর্যন্ত আমাদের এ টিকাদান কার্যক্রম চলবে।

এর আগে সকাল সোয়া নয়টার দিকে বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া প্রথম টিকা নিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী (আইসিটি) জুনাইদ আহমেদ পলকসহ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান ও তথ্য সচিব খাজা মিয়া টিকা নেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম (প্রশাসন), অধ্যাপক ডা. শাহানা আক্তার (শিক্ষা) ও অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন (গবেষণা), কোষাধ্যক্ষ মো. আতিকুর রহমান এবং হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিনও করোনা টিকা নিয়েছেন।

টিকা নেয়ার পর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘টিকা নেয়াটা আমার সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত দায়িত্ব। আমাকে দেখে মানুষ আস্থা পাবে, সাহস পাবে।’

করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে আজ রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে টিকা দেয়া হয়।