• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই : ওবায়দুল কাদের ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী

হৃদয় নিংড়ানো আকুতি বলুন প্রভুর কাছে

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৭ জুন ২০২০  

মনের শোকে আপনি যখন ব্যথাতুর, আপনার হৃদয় একটুখানি আশার অলোর দিকে অপলক তাকিয়ে থাকে।

আপনার খুব ইচ্ছে হয় কেউ আপনার কথাগুলো তন্ময় হয়ে শুনুক, আপনার ভেতর শুপ্ত ব্যাথাগুলো নিয়ে একটু ভাবুক।
মনের কষ্টে আপনার হৃদয় উত্তাল হয়ে আছে, চৈত্রের রোদে আপনার বুকের হাড্ডিগুলো চৌচির হয়ে আছে।

কিন্তু নিষ্ঠুর এ পৃথিবীতে কেউ আপনার ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। আপনার দিকে তাকানোর সময় কারো নেই।

এমন প্রতিকুল সময়ে আমার স্রষ্টা আমার দিকে তাকিয়ে থাকে।

তিনি বলেন, আমার প্রিয় বান্দা! তুমি আমার কাছে চাও। তোমার সমস্যা আমার কাছে বল, তোমার ব্যাথিত হৃদয়ের শোকগাথা কথাগুলো আমাকে বল, আমি সব শুনছি, আমি তোমার সব সমস্যা সমাধান করে দিব।

আল্লাহ বলেন, আমি তোমার অশান্ত মনকে প্রশান্তির হিমেল হাওয়া বইয়ে দিব। বান্দা তুমি আমাকে ডাক। আমি তোমার একমাত্র স্রষ্টা। আমি তোমাকে সুন্দর অবয়বে সৃষ্টি করেছি, তোমাকে দুটি চোখ দিয়েছি পৃথিবী দেখার জন্য, তোমাকে কান দিয়েছে শোনার জন্য আরো কত কি?

একটু ভেবে দেখ। আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। তুমি রাতের আধারে ঘুমের চাদরে নিজেকে আবৃত রাখ আমি তখনও তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি, তুমি আমাকে একটু ডাক। তোমার হাজারো সমস্যা নিয়ে আমার দরবারে হাজির হও। আমি তোমার প্রয়োজন পূরণ করব।

এভাবেই আমার রব আমাকে স্বরণ করেন। কিন্ত আমরা নাদান, বড় অকৃতজ্ঞ। রবের ডাকে সারা না দিয়ে অন্য কিছুর আশায় মরিচিকার দিকে দৌড়াতে থাকি।

একটু ভেবে দেখুন বান্দা যখন তার প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে পরম সান্নিধ্যের স্থানে নামাজে দাড়ায়। আর সূরা ফাতেহা পড়তে শুরু করে আল্লাহ তার প্রতিটি বাক্যের উত্তর কিভাবে প্রদান করেন তা এই হাদিসে চিত্রায়িত হয়েছে।

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা যখন বলে ‘আলহামদুলিল্লাহহি রাব্বিল আলামিন’, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।

আপনি মুখ থেকে উচ্চারণ করলেন ‘আলহামদুলিল্লাহহি রাব্বিল আলামিন’ আপনার এই উচ্চারণ শুনে আল্লাহ এতটাই খুশি হলেন এবং এতটাই গর্বিত বোধ করলেন, তিনি তার ফেরেশতাদের বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।

পরে আমরা যখন বলি ‘আর রাহমানির রাহিম’ আল্লাহ বলেন আমার বান্দা আমার গুণাবলি বর্ণনা করেছে। আমরা যখন বলি ‘মালিকি ইয়াও মিদ্দিন’ আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার মাহাত্ম্য বর্ণনা করছে।

এরপর আমরা বলি ‘ইয়্যাকা না’বুদু ও ইয়্যাকা নাস্তাইন’। আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি, একমাত্র তোমারই সাহায্য চাই। আল্লাহ বলেন, এটা আমার আর আমার বান্দার ব্যাপার, বান্দা যা চাইবে তা-ই সে পাবে।

এরপর আমরা মূল্যবান জিনিসটা চাই, আমরা বলি তুমি আমাদের সরল পথ দেখাও। তাদের পথ, যাদের প্রতি আপনি অনুগ্রহ দান করেছেন, যারা গজবপ্রাপ্ত নন, পথভ্রষ্ট নন। আল্লাহ বলেন, এটা কেবল আমার বান্দার জন্য, আমার বান্দা যা চাইবে তা-ই পাবে।(সহীহ মুসলিম,হাদীস: ৩৯৫)

আল্লাহতায়ালার কথোপকথন কতইনা সুন্দর, হৃদয়কে আন্দোলিত করে তোলে, তরঙ্গ ঢেউ তোলে, তার নিজ হাতে সৃষ্টি বান্দার সঙ্গে এমন মধুর আলাপচারিতা দেখে।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। কিন্তু যারা আমার ইবাদত সম্বন্ধে অহঙ্কার করে, তারা নিশ্চয় লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে’ (সুরা মোমেন : ৬০)।

এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ রয়েছে, ‘আর যা কিছু তোমরা তার কাছে চেয়েছ তিনি তোমাদের সব দিয়েছেন এবং যদি তোমরা আল্লাহর নেয়ামতগুলো গণনা করতে চাও, তা হলে তোমরা সেগুলোর সংখ্যা নিরূপণ করতে পারবে না’ (সুরা ইব্রাহিম : আয়াত-৩৪)।

আবার বলা হয়েছে, ‘অথবা কে উদ্বিগ্নচিত্ত ব্যক্তির দোয়া শোনেন যখন সে তার কাছে দোয়া করে এবং তার কষ্ট দূর করে দেন এবং তোমাদের পৃথিবীর উত্তরাধিকারী করে দেন? আল্লাহর সঙ্গে কি অন্য কোনো উপাস্য আছে? তোমরা খুব কমই উপদেশ গ্রহণ করো’ (সুরা নামল : আয়াত-৬২)।

হযরত নুমান ইবনে বশীর রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘দুআ হচ্ছে ইবাদতের উৎস’।

এ কথা বলার পর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন, তোমাদের প্রভু বলেছেন, ‘তোমরা আমার কাছে দুয়া কর, আমি তোমাদের দুয়া কবুল করবো। (তিরমিযী: হাদীস: ২৯৬৯)

দু:খজনক হলেও সত্য আমরা শুধু বিপদে পড়লেই যে আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করি যা কোনভাবেই কাম্য নয়, এটাতো মুশরিকদের স্বভাব।

যা আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, তারা যখন জলযানে আরোহণ করে তখন একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে ডাকে। অতঃপর তিনি যখন স্থলে এনে তাদেরকে উদ্ধার করেন, তখনই তারা শরীক করতে থাকে। (সূরা অঅনকাবুত:৬৫)

বরং সব সময় আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টির জন্য দোয়া করতে হবে, যেভাবে মহানবী (সা.) সব সময় দোয়ায় রত থাকতেন। মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সবাইকে পবিত্র হৃদয় নিয়ে দোয়া করার তওফিক দান করুন, আমিন।