• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ধূমপানে চোখের মারাত্মক ক্ষতি

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৪ মার্চ ২০১৯  

অনেকে মনে করে থাকে, ধুমপানের কারনে কেবল কিছু  ফুসফুসীয় সমস্যাই হয়। আবার অনেক ধুমপায়ী বিশ্বাসই করতে চান না, ধুমপান হৃদরোগ বা ক্যান্সারের কারন। তবে তারা মানুক বা  না মানুক এগুলো সত্য। কারন এই সিগারেটে আছে প্রায় ৬৯০ টা কার্সেনোজেনিক এজেন্ট, ৪টা ক্যান্সার ফ্যাক্টর ও ৪৮ টির মত সিওপিডি ডিজিজ।

এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে যারা বিড়ি বা সিগারেট খান বা তামাক জাতীয় দ্রব্যের নেশা করেন, তাদের জন্য আরেকটি  দুঃসংবাদ রয়েছে।  দিল্লির এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলছেন ধূমপায়ীদের শুধু ক্যানসারই নয়, চিরতরে দৃষ্টিশক্তিও হারাতে পারেন তারা। যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা করেও দৃষ্টিশক্তি আর ফেরানো যায় না।

চিকিৎসকরা জানান, ৫-১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে যারা ধূমপান করছেন বা তামাকজাত দ্রব্য গ্রহন করছেন তাদের চোখের স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে অন্ধত্ব পর্যন্ত হয়ে পারে।

সাধারণভাবে স্কুল বা কলেজে পড়ানোর সময়ে নেহাতই কৌতূহলবশে কিংবা বন্ধুদের পাল্লার পড়ে ধূমপান করা শুরু করেন বেশিরভাগ যুবক-যুবতী। মজার ছলে বা কৌতুহলের বশে এই ধুমপান শুরু করে পরবর্তীকালে এটা নেশায় পরিনয় হয়। এক গভীর নেশার কবলে পড়ে যায় তারা। চেষ্টা করেও ধূমপানের নেশা আর ছাড়তে পারেন না অনেকেই। কিন্তু, নেশা যতই থাকুক না কেন, শরীরের কথা চিন্তা করে ধূমপান যে বর্জন করা উচিত,  সেকথা মনে করিয়ে দিলেন ভারতের চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকরা বলছেন, গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে যারা বিড়ি বা সিগারেট খান বা তামাক জাতীয় দ্রব্যের নেশা করেন, তাদের চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। এমনকি ৫-১০ বছর বা তার বেশি ধরে যারা ধূমপান করছেন বা তামাকজাত দ্রব্য খাচ্ছেন তাদের চোখের স্নায়ুর ক্ষতি হয়ে অন্ধত্ব পর্যন্ত  বরণ করতে পারেন।

ধুমপানে চোখের যে সমস্যাসমূহ হতে পারে নিচে তা বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো-

১.ক্যাটার‍্যাক্টঃ

ধূমপান দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা বা ঘোলা হয়ে যেতে ভূমিকা রাখে। 

২.ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিঃ

ধূমপান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়ে জটিলতার সৃষ্টি করে যা চোখের রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফলে ব্যক্তি অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

৩.গ্লুকোমাঃ

প্রাইমারি ওপেন অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে যা চোখকে অন্ধ করে দিতে পারে।

৪.ম্যাকুলার ডিজেনারেশনঃ

ধূমপান বয়স বাড়ার সাথে সাথে ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের প্রবণতা বৃদ্ধি করে।

৫.চোখের শুষ্কতাঃ

সিগারেটের ধোঁয়া চোখকে শুষ্ক করে দেয়। এর ফলে চোখ জ্বালাপোড়া করে ও চুলকায়।

৬.কন্ট্যাক্ট লেন্স পরতে অসুবিধাঃ

ধূমপান করলে কন্ট্যাক্ট লেন্স পড়তে আপনি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এর ফলে কর্নিয়াল আলসারেশন হয়ে আপনি অন্ধও হয়ে যেতে পারেন।

অর্থাৎ  দেখা যাচ্ছে, ধূমপানের ক্ষতি করার সর্বশেষ পর্যায় হচ্ছে চোখের অন্ধত্ব।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এখনো পর্যন্ত দিল্লির এইমস হাসপাতালে যতজন দৃষ্টিশক্তিহীন রোগী এসেছেন, তাদের পাঁচ শতাংশ তামাকের কারণেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

তাই ধুমপায়ীদের উচিত ধীরে ধীরে ধূমপান কমিয়ে আনা ও এক পর্যায়ে ধুমপান ত্যাগ করা। নিজের কথা, নিজের পরিবারে কথা, সর্বোপরি নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তাদের ধুমপাম বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যারা চোখে দেখেন না, তারা জানেন সব কিছু অনুভব করতে পেরেও অন্ধকারে থাকার কষ্টটা কেমন। তাই যত্নে থাকুক আপনার দুটি চোখ! আপনার সুচিন্তায় আপনার সুদৃষ্টি বজায় থাকুক।