নির্মাণাধীন বাঁধ পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য বিতরণ

বাগেরহাটের শরণখোলায় সাউথখালী অংশে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে নির্মাণাধীন বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন বরিশালের শেখ হাসিনা সেনা নিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মাদ জিয়াউর রহমান।

গতকাল মঙ্গলবার (৭ জুলাই) দুপুরে তিনি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে নির্মাণাধীন রিংবাঁধ পরিদর্শন করেন। বাঁধ নির্মাণ ও নদী রক্ষা কাজের বিভিন্ন বিষয় খোঁজ-খবরও নেন তিনি। ঠিকাদার ও বাঁধ তত্ত্বাবধায়নের কাজে নিয়োজিত সেনা কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।

এ সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ আল মাসুম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামস্ ইয়াসীন খান (পিএসসি), বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, সহকারী পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম, শরনখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তাসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বাঁধের পাশে বসবাসরত আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ও করোনায় কর্মহীন ২০টি হত দরিদ্র পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেন এই কর্মকর্তা। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা।
 
২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালি ইউনিয়নের বগী ও গাবতলা অংশের প্রায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে স্থানীয়দের ব্যাপক ক্ষতি হয়। পরে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন করেন। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে বাঁধ নির্মাণের কথা বলেন। জুনের মাঝামাঝি সময়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে ১ হাজার ৭০০ মিটার রিংবাঁধ নির্মাণ ও ৬০০ মিটার নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ শুরু হয়।

বিজেজিইও টেক্সটাইল লি., টেক বে ইন্টারন্যাশনাল, মেসার্স রুস্তম ট্রেডার্স, মেসার্স আজমল হোসেন নামের চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই কাজ করছে। ইতোমধ্যে এসব কাজের প্রায় ৫০ শতাংশ শেষ করেছেন ঠিকাদাররা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কোরবানির ঈদের আগেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রিংবাঁধ নির্মান ও নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ শেষ হবে বলে দাবি করেছেন ঠিকাদাররা।