মেরুদণ্ড ব্যথার মূল কারণ ও চিকিৎসা
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৯
পৃথিবীতে এমন কোনো পুরুষ বা মহিলা নেই যে, জীবনের কোনো না কোনো সময় মেরুদণ্ড ব্যথায় ভোগেননি। আর বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ড সমস্যার বেশির ভাগ কারণ ম্যাকানিকেল। আর ডিস্ক প্রলেম্পের অবস্থান তৃতীয় কিন্তু বর্তমানে এই সমস্যা দিন দিন এতই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রীতিমতো ভাবিয়ে তুলছে।
ডিস্ক হচ্ছে মেরুদণ্ডের দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী কার্টিলেজ জাতীয় এক প্রকার রাবারের মতো পদার্থ। যা মেরুদণ্ডের এক হাড়কে অপর হাড় থেকে বিভক্ত রাখে। যাতে একটি হাড় আরেকটির সঙ্গে ঘর্ষণ না লাগে এবং শরীরের ওজন বা শক এবজরভার হিসেবে কাজ করে। ডিস্কের ভেতরের অংশ নিউক্লিয়াস পালপোসাস যা জেলির মতো নরম এবং বাইরের অংশ থাকে অ্যানুলাস ফাইব্রোসাস। আঘাত পেলে, উঁচু স্থানে থেকে পড়ে গেলে, মেরুদণ্ডের লিগামেন্ট বা মাংসপেশি দুর্বল হয়ে গেলে, ভুলভাবে ভারী জিনিস তুলতে গেলে, অত্যধিক পরিশ্রম করলে বা সারাক্ষণ শুয়ে বসে থাকলে। দীর্ঘক্ষণ নিচু স্থানে পিঁড়ি, মোড়া বা মাটিতে বসে থাকলে, মেরুদণ্ডের ভুল অবস্থান, পুষ্টির অভাবে তাছাড়া আরো নানাবিধ কারণে ডিস্ক প্রলাম্প হতে পারে। আমাদের দৈনদিন প্র্যাকটিসে সারভাইকেল চার/পাঁচ, পাঁচ/ছয় এবং লাম্বার চার/পাঁচ, পাঁচ/ স্যাক্রাল এক মধ্যবর্তী ডিস্ক প্রলেপ্স রোগী বেশি দেখা যায়।
কোমরে ডিস্ক প্রলেপ্সের লক্ষণ :
১. কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা বা ভারী জিনিস উত্তোলন করতে বা হাঁচি বা কাশি দিতে কোমরে বা পায়ে ব্যথা অনুভূব অথবা পায়ে টান লাগা।
২. কোমরে ঝিন ঝিন, শিন শিন, জ্বালাপোড়া বা অবশ অবশ ভাব, এক জায়গায় অনেকক্ষণ বসলে পুরো কোমরে বা শিরদাঁড়া আস্তে আস্তে ব্যথা বেড়ে যাওয়া।
৩. চলাফেরা বা হাঁটাহাঁটিতে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়া, শুয়ে থাকলেও ব্যথা অনুভব হওয়া।
কিছু কিছু রোগীর কোমর একদিকে বেঁকে যাওয়া। এভাবে চলতে চলতে ব্যথা কোমরে অনুভূত না হয়ে শুধু পায়ের মাংসে বা শিরদাঁড়ায় কামড়ানো জাতীয় ব্যথা হওয়া।
৪. অনেক সময় কোমর ব্যথার পাশাপাশি প্রস্রাব বা পায়খানার অনুভূতি না থাকা বা সমস্যা হওয়া, পায়ের মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া বা এক পা বা দুই পা প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়া।
ঘাড়ের ডিস্ক প্রলেপ্সের লক্ষণ :
১. ঘাড়ে ব্যথা হওয়া, ঘাড় নাড়াতে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়া।
২. ঘাড় একদিকে বেঁকে যাওয়া, ঘাড় থেকে এক হাতে বা দুই হাতে ব্যথা ওঠানামা করা।
৩. হাতে শিন শিন, জ্বালাপোড়া বা কন কন জাতীয় তীব্র ব্যথা বা অনেক সময় হাত অবশ ভাব বা ভারী ভারী লাগা, আস্তে আস্তে হাতের কর্মক্ষমতা কমে আসা।
৪. হাত নিচুতে ঝুলিয়ে রাখতে অসুবিধা হওয়া এবং হাতের মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া।
সতর্কতা :
ডিস্ক প্রলেপ্স হলে সম্পূর্ণ বিশ্রামে যেতে হবে। দৈনন্দিন চলাফেরা, কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হবে। বোঝা বহন নিষিদ্ধ এবং সাধারণ শারীরিক ব্যায়াম অবশ্যই বন্ধ থাকবে। কাজকর্ম বা চলাফেরা করলে সমস্যা জটিল হয়ে যেতে পারে। অবশ্যই নরম খাবার খেতে হবে যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য না হয়।
রোগ নির্ণয় :
কারো এ জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক রোগীকে শারীরিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে রোগ নির্ণয় করবেন এবং প্রয়োজন হলে বিভিন্ন প্যাথলজিকেল পরীক্ষা এবং এমআরআই করলে ও রোগ নির্ণয় করা যায়। তার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
চিকিৎসা :
গবেষণায় দেখা গেছে বেশির ভাগ ডিস্ক প্রলেপ্স রোগী অপারেশন না করে ম্যানুয়াল থেরাপি, ইন্টারফেরেনশিয়াল থেরাপি, ম্যানুপুলেশন থেরাপি, অটো ট্রাকশন ট্রইথ ডিকম্প্রেশন থেরাপি নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। এতে করে অপারেশনের জটিলতা থেকে মুক্ত থাকা যায়। তার জন্য রোগীকে অবশ্যই কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে আনুমানিক ২-৪ সপ্তাহ ভর্তি থাকতে হবে। চিকিৎসা চলাকালীন কোনো প্রকার মুভমেন্ট করা যাবে না। চিকিৎসা শেষে রোগীকে একটানা ৩ মাস নির্দেশিত এক্সারসাইজ প্রত্যহ ২/৩ বেলা চালিয়ে যেতে হবে। পসচারাল এডুকেশন শিখে নিয়ে মেনে চলতে হবে।
- গরমে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়লে দ্রুত যা করবেন
- বরফ পানি দিয়ে গোসল কি শরীরের জন্য ভালো?
- তরমুজের ললি আইসক্রিম বানাবেন যেভাবে
- ধূসর ছবির ঝকঝকে প্রিন্ট!
- ভেদরগঞ্জে জেলেদের মাঝে জাল ও ছাগল বিতরণ
- দেশের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন সফল নেত্রী
- উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর
- ফিলিস্তিনে গণহত্যা প্রতিবাদে ভোলায় ছাত্রলীগের কর্মসূচি
- বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য সর্বজনীন পেনশন মেলা
- বন্ধুত্বপূর্ণ সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে তুর্কি জাহাজ
- মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্বে শামসুল হক ফাউন্ডেশন
- আন্তর্জাতিক চাহিদার প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়নের আহ্বান
- অবশেষে ‘অবৈতনিক’ হচ্ছে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর
- হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে স্বস্তির হাসি
- সংকটেও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ রোল মডেল
- সুদের হার বাজারভিত্তিক করা হবে গভর্নর
- সংশোধিত বাজেটে কৃষি খাতে ভর্তুকি ৮ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে
- প্রবাস আয় বাড়ানোর জন্য রেমিট্যান্স কার্ড প্রবর্তনের সুপারিশ
- ৩০ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে আবাসন সুবিধা দেবে সরকার
- মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিয়নে বসবে প্রশাসক
- রোহিঙ্গা মামলা চালাতে আর্থিক সহায়তার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- প্রত্নসম্পদ বেহাত হওয়া ঠেকাতে নতুন আইন
- ইপিজেড পাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চল, আসবে দেড়শ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ!
- নির্বাচনে সহিংসতা বরদাস্ত করা হবে না: বরিশালের এসপি
- চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাইটার জেটি, বাড়ছে সক্ষমতা
- ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই খুন
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
- হামাসের রকেট হামলায় ইসরায়েলের ৩ সেনা নিহত
- হাওড়-দক্ষিণাঞ্চলের কৃষক ৭০ শতাংশ ভর্তুকি, অন্যরা ৫০
- গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৭৬.২৫ পেয়ে প্রথম লামিয়া
- ভোলায় জেলা প্রশাসনের ঈদ সামগ্রী পেল ৩০ পরিবার
- ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
- ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- ভোলায় শপথ নিলেন তিন ইউপি চেয়ারম্যান
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- লিটনের সমস্যাটা মানসিক, এখান থেকে বের হতে হবে: সুজন
- সদর উপজেলার কেউ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না ইনশাল্লাহ
- বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকা টোল আদায়
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা
- ভোলায় কোস্ট গার্ডের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ
- শাওয়ালের ছয় রোজা কি ধারাবাহিকভাবে রাখা জরুরি?
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
- দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের প্রথম সাক্ষী হলো মেক্সিকো