• সোমবার ০৬ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে করণীয়

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সময় কাটান বেশিরভাগ মানুষই। সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবারই সরব বিচরন এখানে। নিয়মিত ছবি থেকে শুরু করে মনের কথা, ব্যক্তিগত সবকিছুই শেয়ার করছেন। এতে করে অনেকেই সাইবার বুলিংয়ের স্বীকার হচ্ছেন। রেহাই পাচ্ছেন না নারী পুরুষ কেউই।
নারীরা ও শিশুরা এর প্রধান শিকার। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, টুইটার, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদির মাধ্যমে তারা সাইবার অপরাধীদের শিকারে পরিণত হচ্ছেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সাইবার বুলিং।

সাইবার বুলিং কী?

এমন প্রশ্ন মনে আসতে পারে অনেকেরই। সাইবার বুলিং হলো ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে কারো ব্যক্তিগত দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা, ভয় দেখানো বা মানসিক নির্যাতন বা অন্যায় কোনো কিছুতে প্রলুব্ধ করাকে বোঝায়। বাংলাদেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ সাইবার বুলিংয়ের শিকার।

তথ্য বলছে দেশের ৪৯ শতাংশ স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী সাইবার বুলিংয়ের নিয়মিত শিকার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, দেশের তিন-চতুর্থাংশ নারীই সাইবার বুলিংয়ের শিকার। কিশোর-কিশোরীরাই প্রথম দিকে এ ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছিল। এখন এ ফাঁদে পা দিচ্ছেন মধ্যবয়সীরাও।  

তবে এ বিষয়টি অপ্রকাশিতই থেকে যায়। মাত্র ২৬ শতাংশ অনলাইনে নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করে অভিযোগ দায়ের করেন। বাকিরা সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হওয়ার ভয়ে থাকেন অভিযোগই করেন না।

শুধু যে সাইবার বুলিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। এছাড়াও মোবাইল ফোন বা ই-মেইলেও এ ধরনের নির্যাতনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। এতে করে নারীদের মধ্যে প্রচণ্ড হতাশা, পড়াশোনায় অমনোযোগিতা, অনিদ্রা ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে করে আত্মহননের ঘটনাও ঘটতে পারে।

জেনে নিন সাইবার বুলিংয়ের স্বীকার হলে কী করবেন-

পরিবারের সঙ্গে অবশ্যই শেয়ার করুন। অনেকেই সম্মান হারানোর ভয়ে চুপ করে থাকেন। জানেন কি? সাইবার বুলিংয়ে চুপ থাকার নীতিই বড় ক্ষতির অন্যতম কারণ। এতে করে অপরাধীরা আরো বেশি সুযোগ নেয়। তারা আর্থিক সুবিধা আদায় করতে করতে একসময় ভিকটিমকে যৌন নির্যাতনের ফাঁদেও ফেলে।

বাবা-মাদের উচিত হবে সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো ব্যবহার করুন। তারা যেন কোনো সংকোচ ছাড়াই আপনাকে তার সব কথা খুলে বলতে পারে। এছাড়াও সাইবার বুলিং কী, ভার্চুয়াল জগতের পরিচিতরা কেন অনিরাপদ এবং একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য কেন সবার সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না এই ব্যাপারে তাদের বুঝিয়ে বলুন। ভার্চুয়াল জগতে সন্তান কি করছে সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখুন।  

আইনি সহায়তা

যদি বিষয়টি পারিবারিক গণ্ডির বাইরে চলে যায়। তবে আপনাকে আইনের আশ্রয় নিতেই হবে। অনেকেই হয়তো বোঝাবে এক্ষেত্রে পুলিশি ঝামেলা এড়িয়ে চলাই ভালো। না, একেবারেই এই কাজ করবেন না। বরং এতে বিপদ আরো বাড়তে পারে। অনেকে পুলিশের কাছে গেলে অনেক ঝামেলা পোহাতে হতে পারে সে কারনেও যান না। তবে এক্ষেত্রে কিছু ধাপ অনুসরণ করলে এই কঠিন কাজই খুব সহজ হয়ে যায়।

এর মধ্যে প্রথম কাজ হচ্ছে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা। তবে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় না নিয়ে একা একা থানায় যাওয়াটাও বোকামি। সঙ্গে রাখতে হবে হয়রানির প্রমাণও। স্ক্রিন শট কিংবা মেসেজ।

হয়রানির শিকার যে কেউ এখন ৯৯৯ অথবা পুলিশের ফেসবুকে পেজে নক করলেও সহায়তা পাবেন। এ ছাড়া মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হটলাইন ১০৯২১ নম্বরে গোপনীয়তা রক্ষা করে এ ধরনের সমস্যার সমাধান করা হয়। সরাসরি বিটিআরসি’র ফোনে ও ই-মেইলেও অভিযোগ করা যায়। বিড়ম্বনার শিকার যে অনলাইন জগতে সেই জগতেই এর সুরাহা সন্ধানেরও পথের দিশা পাওয়া যাবে।