• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

ভারতবিরোধী ইস্যু নিয়ে বিএনপিবিরোধী অবস্থানে ঐক্যফ্রন্ট!

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৯  

হঠাৎ ভারতবিরোধী অবস্থানে সোচ্চার হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। কিন্তু এ অবস্থানে একমত নয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জানা গেছে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের করা সাম্প্রতিক কয়েকটি চুক্তির বিরোধিতা করে ফ্রন্টগতভাবে কর্মসূচি দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হয়। কিন্তু ড. কামাল হোসেন এতে সায় দেননি।

সূত্র বলছে, এ নিয়ে ড. কামালের চেম্বারে একাধিকবার বৈঠক করে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা। তাতেও লাভ হয়নি। তিনি নেতাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ভারতবিরোধী কোনো কর্মসূচিতে তিনি থাকবেন না। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয় বিএনপি, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য। এরপর বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ঘোষণা দেয় ঐক্যফ্রন্ট। ঘোষণায় বলা হয়েছিলো, অনুমতি না পেলেও কর্মসূচি পালন করা হবে। কিন্তু সেখান থেকেও সরে এসেছে ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি।

সূত্র এও বলছে, নির্বাচনের আগে থেকেই ড. কামালের সঙ্গে বিএনপির টানাপোড়েন চলছে। ড. কামালও ক্ষুব্ধ বিএনপির ওপর। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় জামায়াতের হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেয়ার পর থেকেই ড. কামালের সঙ্গে বিএনপির মতবিরোধ বাড়ে। এখনো তাদের সম্পর্কের বরফ গলেনি। এদিকে ড. কামালের বিভিন্ন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনাও হয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সভা-সমাবেশে নানা বক্তব্যে তিনি বার বার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উচ্চারণ করেন অথচ একবারও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন না। তাই চিরকুট পাঠিয়ে তাকে মুক্তির দাবি স্মরণ করিয়ে দিতে হয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম তো তিনি নেনই না। ঐক্যফ্রন্ট কার্যকর নয়, এমন অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে ফ্রন্ট ছেড়েছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

বিএনপির নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, এ মুহূর্তে জোট-ফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক খুব বেশি জোরদার করার কোনো কারণ নেই। একাদশ জাতীয় নির্বাচন শেষ হয়েছে। এখন বিএনপি দল গোছানোর কাজেই ব্যস্ত। বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি দলগতভাবে কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। এভাবে আরও কিছুদিন চলবে। প্রয়োজনে ফ্রন্ট ও জোটের সঙ্গে মিলেও কিছু কর্মসূচি দেয়া হবে। ফ্রন্টকে পুরোপুরি কার্যকর বা অকার্যকরে আরও কিছু দিন লাগবে। তবে ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থানের বিপক্ষে দাঁড়ানোকে আমরা সহজ করে দেখছি না। বিষয়টি নিয়ে জোরদার আলোচনা হবে।