• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে

নম্র ভাষায় দীনের দাওয়াত

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

আল্লাহ সুহাবাহানহু ওয়া তাআলা তার নবি মুসা (আ.) ও হারুনকে (আ.) যখন ফেরাউনের কাছে গিয়ে তাকে দীনের দাওয়াত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিনি তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন নম্র ও কোমল ভাষা ব্যবহার করতে। কোরআনে আল্লাহ তার ওই নির্দেশের বিবরণ দিয়ে বলেন,

اِذۡهَبَاۤ اِلٰی فِرۡعَوۡنَ اِنَّهٗ طَغٰی فَقُوۡلَا لَهٗ قَوۡلًا لَّیِّنًا لَّعَلَّهٗ یَتَذَکَّرُ اَوۡ یَخۡشٰی
তোমরা দুজন ফেরাউনের কাছে যাও, সে তো সীমালংঘন করেছে। তোমরা তার সাথে নম্রভাষায় কথা বলবে। হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে। (সুরা ত্বহা: ৪৩, ৪৪)

অর্থাৎ আল্লাহ তার নবি মুসাকে (আ.) দাওয়াতের পদ্ধতি শিখিয়ে দিচ্ছেন যে, তাকে দীনের দাওয়াত দিতে হবে কোমল ও নম্র ভাষায়, তাহলে দাওয়াত ফলপ্রসু হতে পারে। সে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে, আল্লাহভীরু হতে পারে। দাওয়াতে যদি রূঢ় ভাষা ব্যবহার করা হয়, তার বয়স ও সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী তাকে সম্মান দেওয়া না হয়, তাহলে দাওয়াত ফলপ্রসু হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

আরেক আয়াতে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতাআলা হিকমত বা কৌশল ও সুন্দর ভাষায় তার দীনের দাওয়াতের নির্দেশ দিয়েছেন। বিতর্ক করলেও উত্তম ভাষায় বিতর্ক করার নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন,

اُدۡعُ اِلٰی سَبِیۡلِ رَبِّکَ بِالۡحِکۡمَۃِ وَ الۡمَوۡعِظَۃِ الۡحَسَنَۃِ وَ جَادِلۡهُمۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ اِنَّ رَبَّکَ هُوَ اَعۡلَمُ بِمَنۡ ضَلَّ عَنۡ سَبِیۡلِهٖ وَ هُوَ اَعۡلَمُ بِالۡمُهۡتَدِیۡنَ
তোমার রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তার পথ ছেড়ে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন। (সুরা নাহল: ১২৫)

এ দুটি আয়াত থেকে স্পষ্ট হয়, দীনের দাওয়াত দেওয়া ও দীনের পক্ষে বিতর্ক করতে হবে সুন্দর ও নম্র ভাষায়। প্রতিপক্ষ যতই উগ্র, ক্ষমতাদর্পী, বিভ্রান্ত বিশ্বাস ও চিন্তাধারার বাহক হোক না কেন, তার সাথে কথা বলতে হবে তার কল্যাণকামী হিসেবে। আল্লাহ চাইলে তাকে হেদায়াত দিয়েও দিতে পারেন।