• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

নবীজির দুই ফুল হাসান ও হুসাইন (রা.)

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২০  

প্রিয় নবীর প্রিয় দৌহিত্র, নয়নমণি, জান্নাতের ফুল হুসাইন (রা.)। তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তিনি শারীরিক গঠনে অনেকটা রাসুল (সা.)-এর মতো ছিলেন। এ ব্যাপারে আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে একটি বর্ণনা রয়েছে। তিনি বলেন, লোকদের মাঝে দৈহিক কাঠামোয় রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে হাসান ইবনে আলীর তুলনায় বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ আর কেউ ছিল না। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৭৬)

পৃথিবীতে তিনি ছিলেন রাসুল (সা.)-এর সুগন্ধময় ফুল। ইরশাদ হয়েছে, হাসান ও হুসাইন দুজন এই পৃথিবীতে আমার দুটি সুগন্ধময় ফুল। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৭০)

যুগ যুগ ধরে মানবসভ্যতায় ফুলকে ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে দেখা হয়। প্রিয় নবী (সা.) তাঁর দুই দৌহিত্রকে ফুলের উপমা দিয়ে আমাদের বুঝিয়েছেন যে তিনি তাঁদের কতটা ভালোবাসতেন। আর হুসাইন (রা.) ছিলেন সেই দুই সৌভাগ্যবানের একজন। রাসুল (সা.)-এর ভাষ্য মতে, তিনি হবেন জান্নাতি যুবকদের সর্দারদের একজন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হাসান ও হুসাইন (রা.) প্রত্যেকেই জান্নাতি যুবকদের সর্দার। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৬৮)।

তাঁদের প্রতি রাসুল (সা.)-এর ভালোবাসা এতটাই গভীর ছিল যে অবসরে তাঁদের দুজনকে বুকে জড়িয়ে রাখতেন। এবং যারা তাঁদের ভালোবাসবে তাদের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। উসামা ইবনে জায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত, এক রাতে আমার কোনো প্রয়োজনে নবী (সা.)-এর কাছে গেলাম। অতএব নবী (সা.) এমন অবস্থায় বাইরে এলেন যে একটা কিছু তাঁর পিঠে জড়ানো ছিল, যা আমি অবগত ছিলাম না। আমি আমার প্রয়োজন সেরে অবসর হয়ে প্রশ্ন করলাম, আপনার দেহের সঙ্গে জড়ানো এটা কী? তিনি পরিধেয় বস্ত্র উন্মুক্ত করলে দেখা গেল তাঁর দুই কোলে হাসান ও হুসাইন (রা.)। তিনি বলেন, এরা দুজন আমার পুত্র  (দৌহিত্র) এবং আমার কন্যার পুত্র। হে আল্লাহ! আমি এদের দুজনকে ভালোবাসি। সুতরাং তুমি তাদের ভালোবাসো এবং যে ব্যক্তি এদের ভালোবাসবে, তুমি তাদেরও ভালোবাসো। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৭৬৯)

হুসাইন (রা.)-এর প্রতি রাসুল (সা.)-এর অকৃত্রিম ভালোবাসার মাত্রা কতটুকু, তা আরেকটি ঘটনা দ্বারা আরো বেশি উপলব্ধি করা যায়। একদিন হুসাইন (রা.) গলির মধ্যে খেলছিলেন। প্রিয় নবী (সা.) সেই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি লোকদের অগ্রভাগে এগিয়ে গেলেন এবং তাঁর দুই হাত প্রসারিত করে দিলেন। বালকটি এদিক-ওদিক পালাতে থাকল। কিন্তু নবী (সা.) তাকে হাসতে হাসতে ধরে ফেলেন। এরপর তিনি তাঁর এক হাত ছেলেটির চোয়ালের নিচে রাখলেন এবং অন্য হাত তার মাথার তালুতে রাখলেন। তিনি তাকে চুমু দিলেন এবং বলেন, ‘হুসাইন আমার থেকে এবং আমি হুসাইন থেকে। যে ব্যক্তি হুসাইনকে ভালোবাসে, আল্লাহ তাআলা তাকে ভালোবাসেন। হুসাইন আমার নাতিদের একজন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৪৪)

অতএব, আমরা যদি আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাই, আমাদের অবশ্যই রাসুল (সা.)-এর প্রতি পূর্ণ ভালোবাসা স্থাপন করতে হবে। তিনি যাদের ভালোবাসতেন তাদের ভালোবাসতে হবে। হুসাইন ও হাসান (রা.)-কেও আল্লাহর জন্য ভালোবাসতে হবে।