• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী

শীতের শুরুতে পাখির বাড়ি জাহাঙ্গীরনগরে

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৯  

কুয়াশার চাদরে মোড়ানো নিসর্গ। তারপরও ফুরফুরে মেজাজে চারদিকে। চায়ের কাপ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে কয়েকজন তরুণ-তরুণী। হালকা শীতে তারা কাবু হলেও, জলাশয়ের পদ্মফুলগুলো বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে। পদ্মফুলের চারপাশ পরিযায়ী পাখিদের দখলে। কত শত পাখি! কোনটি বসে আসে চুপটি মেরে, আবার অনেকগুলো পাখি উড়ছে এদিক-ওদিক। চা হাতে দাঁড়ানো মানুষগুলো মূলত পাখিদের এই তামাশা দেখতেই এখানে দাঁড়িয়ে।

শীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যটাই এমন। শুধুই পাখির কলতানই নয়, সবুজ প্রকৃতির মাঝে নির্মল এক জায়গাও বটে। গাছপালায় ঢাকা সবুজ এ ক্যাম্পাসের বুকে আছে বেশ কয়েকটি জলাশয়। ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসছে সেগুলোতে। কলকাকলিতে মুখরিত হতে শুরু করেছে ক্যাম্পাস। বাড়ছে পাখিপ্রেমীদের ভিড়।

শীতে পরিযায়ী পাখিদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে থাকে প্রতিদিনই দেখা মিলে। এদের মধ্যে ডাহুক, তীরশুল, নলকাক, ভাড়ই, রাংগাবনী, গাংচিল, রাতচড়া, হুটটিটি, হারগিলা, বালিহাঁস, জলপিপি, কোম্বডাক, সরালি কাস্তে, চাড়া, পাতাড়ি হাঁস, কাদাখোচা, হুরহুর, খয়রা, সোনা রিজিয়া অন্যতম। যেগুলোর মধ্যে অনেক প্রজাতিই বিলুপ্তির পথে।

অপেক্ষাকৃত উষ্ণ আবহাওয়ায় সুখ অনুভব করতে, হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে, দলবেঁধে পাখিরা আসে রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ আর ঠান্ডা রোদের মিশেল আবহাওয়ার দেশ বাংলাদেশে। শীত মৌসুমে এ দেশে আসে খাবার আর নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। কারণ, এ সময় সাইবেরিয়াসহ অন্যান্য শীতপ্রধান দেশের তীব্র শীতে তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়। শুধু তাই নয়, তখন তীব্রভাবে খাদ্য সংকটও দেখা দেয়।

 

শীতে প্রতিদিনই দেখা মিলে এমন দৃশ্যের

শীতে প্রতিদিনই দেখা মিলে এমন দৃশ্যের

প্রতিবছরের মতো এ বছরও শীতের শুরুতে সুদূর হিমালয়, সাইবেরিয়াসহ শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আমাদের দেশে এসেছে। বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগরে। পাখির কিচিরমিচির শব্দে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আনন্দঘন পরিবেশকে করে তুলেছে আরো প্রাণবান্ধব। আবার শীতের তীব্রতা কিছুটা কমে গেলে তারা ফিরে যায়। তাই এখনই ঘুরে আসতে পারেন সবুজের এই অভয়ারণ্যে।

পাখি দেখতে যেয়ে জাঙ্গাঙ্গীরনগরের কিছু বিষয়ের প্রতি নজর রাখা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস এলাকাটিকে পাখির অভয়ারণ্য হিসেবে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই সেখানকার কর্তৃপক্ষের নিয়ম কানুন মেনে চলা জররি। কর্তৃপক্ষের দেয়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে থেকে পাখি দেখুন। ক্যাম্পাসে নিরবতা বজায় রেখে চলুন, গাড়ির হর্ন বাজাবেন না। পাখিরা বিরক্ত হয় এমন কোনো আচরণ থেকে বিতর থাকুন।

নভেম্বরের প্রথম দিকেই অতিথি পাখিরা বাংলাদেশে আসে। আবার মার্চের শেষ দিকে ফিরে যায় আপন ঠিকানায়। ক্যাম্পাসে পাখি দেখার সবচেয়ে ভালো সময় শীতের সকাল এবং বিকেল। তাই খুব সকালে গিয়ে সারাদিন কাটাতে পারেন ক্যাম্পাসে। দুপুরে খেয়ে নিতে পারেন ক্যাম্পাসের বটতলাখ্যাত বিভিন্ন রেস্তোরাঁয়। খুব কম দামে হরেক পদের ভর্তা দিয়ে দুপুরের খাবার সারতে পারবেন। ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার জন্য সহজ বাহন রিকশা।