• সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ৩ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
তারেকসহ পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে কোরবানির পশু বেচাকেনা এবং ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তার নির্দেশ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনের কাছে ঋণ চেয়েছি গ্লোবাল ফান্ড, স্টপ টিবি পার্টনারশিপ শেখ হাসিনাকে বিশ্বনেতৃবৃন্দের জোটে চায় শিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিতে সকল খাতকে শিশুশ্রমমুক্ত করতে হবে শিশুশ্রম নিরসনে প্রত্যেককে আরো সচেতন হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়িদের প্রতি নিয়ম নীতি মেনে কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান বিনামূল্যে সরকারি বাড়ি গৃহহীনদের আত্মমর্যাদা এনে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ আশ্রয়ণের ঘর মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি তৈরি করে দেব : প্রধানমন্ত্রী নতুন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাচ্ছে সাড়ে ১৮ হাজার পরিবার শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস আজ শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন সোনিয়া গান্ধী মোদীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা-মোদি বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্ক আগামীতে আরো দৃঢ় হবে বাংলাদেশ ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে আগ্রহী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদী সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বিনিময় অ্যাক্রেডিটেশন দেশের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে সহায়তা করে: রাষ্ট্রপতি

উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৪  

ইয়াং বাংলার আহবায়ক ও শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নাহিম রাজ্জাক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেন। সে সময় দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন। সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন ৭৫-এ পরিবার হারানো শেখ হাসিনা। দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠির রোষানলে পড়েন। তাঁকে বারবার কারান্তরীণ করা হয় । হত্যার জন্য সশস্ত্র হামলা করা হয় বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপায় কুচক্রীদের সব মরণফাঁদ ভেদ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তাঁর লক্ষ্য অর্জনে থেকেছেন দৃঢ় অবিচল। বাসস্থান চিকিৎসা, শিক্ষা,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতির সকল উন্নয়নে সমান তালে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি শনিবার(২৫মে) তার নির্বাচনী এলাকার ভেদরগঞ্জে শরীয়তপুর জেলা সাংস্কৃতিক ফোরামের তৃতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন।

শরীয়তপুর সাংস্কৃতিক ফোরামের  সভাপতি চলচ্চিত্র অভিনেতা ড্যানি সিডাক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ওয়াছেল কবির গুলফাম, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাজিবুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মুসফিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক হাজি আবদুল মান্নান হাওলাদার। প্রধান আলোচক ছিলেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ হেলার উদ্দীন।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, দেশবাসী আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার যোগ্য নেতৃত্বের সুফল পাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, দেশকে করেছেন একদিনে ১ কোটি মানুষকে ঘর উপহার দিয়ে দেশকে করেছেন গৃহহীন মুক্ত। একদিনে ১০০ সেতুর উদ্বোধন, ১০০ মহাসড়ক-সড়ক উদ্বোধন, একদিনে ১ কোটি মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনা, পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমুদ্রের বুকে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে সুনীল অর্থনীতির নতুন দুয়ার উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ বিজয়, সাবমেরিন যুগে প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, পদ্মা রেল সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, মাথাপিছু আয় ২৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত, শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনাসহ যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

২০০৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দায়িত্ব নেন, তখনও দেশের মাত্র ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেত। নিয়মিত লোডশেডিংয়ে তখন জনজীবন বিপর্যস্ত ছিল। বিদ্যুৎ খাতের এই করুণ অবস্থার কারণে বৃহৎ শিল্পগুলো যেমন একদিকে ধুঁকছিল, তেমনিভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়েও কোনো উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু মাত্র এক যুগের মধ্যে দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করতে সমর্থ হয় আওয়ামী লীগ সরকার। একইসঙ্গে দেশকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে শতভাগ বিদ্যুতায়নের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হয় ইন্টারনেট সুবিধা ।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে দেশের সামগ্রিক চিত্র। বাংলাদেশ এখন বিশ্বদরবারে দ্রুত উন্নয়নশীল বিকাশমান অর্থনীতির দেশ।বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম ও অতুলনীয়।তাঁর দূরদৃষ্টি, এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।