• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ পেয়ে আনন্দিত ৩৬ পরিবার

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় ‘দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্প’র ঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৩৬টি অসহায় পরিবার।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের টিআর কর্মসূচির আওতায় ডিমলার ৩৬ অসহায় ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ৯৩ লাখ ৭ হাজার ১১৬ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পে হতদরিদ্র অসহায় পরিবার, যাদের সামান্য জমি আছে, কিন্তু ঘর নেই, তাদের নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণে ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ টাকায় পরিবারগুলোকে দেওয়া হচ্ছে একটি দুর্যোগ সহনীয় পাকা ঘরের সঙ্গে রান্না ঘর ও টয়লেট। 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে জরিপ চালিয়ে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৩৬টি পরিবারের তালিকা করা হয় ডিমলা উপজেলায়। এর মধ্যে উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নে ৩টি, বালাপাড়া ইউনিয়নে ৪টি, ডিমলা সদর ইউনিয়নে ৫টি, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে ৩টি, গয়াবাড়ি ইউনিয়নে ৩টি, নাউতারা ইউনিয়নে ৪টি, খালিশা চাপানী ইউনিয়নে ৪টি, ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নে ৪টি, টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে ৩টি ও পূর্বছাতনাই ইউনিয়নে ৩টি পরিবারের জন্য বাসগৃহ নির্মাণ করা হয়। 

অনিয়ম ঠেকাতে প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার মুন এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম সার্বক্ষণিক তদারকি করে মেয়াদকালের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ করেন। এরই মাঝে নির্মিত নতুন এসব বাসগৃহে বসবাস করতে শুরু করেছে পরিবারগুলো।

সরেজমিনে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দৃশ্য দেখতে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের সিংঙ্গাহাড়া পুলের পার এলাকায় গেলে সুফলভোগী তফিজ উদ্দিনের স্ত্রী জমিলা বেগম বলেন, হামরা (আমরা) খুব গরীব মানষি (মানুষ), হামরা দিন মিলি দিন খাইছোনো। থাকিবার কোন ঘর ছিল না। ছোট একটা খ্যারের ঘরৎ খিবেই কষ্ট করি থাকছিনো। বৃষ্টির দিনোত ওই ঘরটাত থাকতে খিবে কষ্ট হইছিলো। হঠাৎ করিয়া চেয়ারম্যান যে আমাক এই রকম ঘর দিবে স্বপ্নেও বুঝিবার পাই নাই। আমরা এই ঘর সারা জীবনেও বানেবার পাইনো না হয়। চেয়ারম্যান আমাক কইছে এই ঘর আমি দেই নাই, এই ঘর সরকার দিছে। তখন বুঝিবার পাইনো সরকার আমারলার জন্যে এতো বড় মহৎ কাজ কইরছে। 

দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মেজবাহুর রহমান বলেন, বাসগৃহগুলো নির্মাণের সময় উপকরণের গুণগত মান বজায় রেখে কাজ করা হয়েছে। 

প্রকল্পের ব্যাপারে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সার্বিক তদারকিতে সুষ্ঠুভাবে যারা বাসগৃহ পাওয়ার উপযুক্ত তাদেরকেই এগুলো দেওয়া হয়েছে। অসহায় মানুষের কল্যাণ, উন্নয়ন ও পূর্নবাসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন।