• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী

ডিসির দেয়া খাবার পেয়ে কাঁদলেন ভ্যানচালক

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২০  

সকালে আধাপেট খেয়ে কাজের সন্ধানে ভ্যান নিয়ে বেরিয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব সেলিম মিয়া। খাওয়ার সময় স্ত্রী বলেছেন- দুপুরে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যেতে। না নিলে চুলো জ্বলবে না।

ইদানিং বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ থাকে। নেই জনসমাগম। করোনার ভয়ে কেউ জিনিসপত্র পরিবহন করছে না। এখন রোজগারও নেই আগের মতো। তাই সাত সকালেই কপালে দুঃচিন্তার ভাজ ভ্যানচালক সেলিম মিয়ার। তবু কিছু একটাতো করতেই হবে! চুলো না জ্বললে পরিবারের চার সদস্যের পেটে পড়বে না কিছুই। এ কারণে সকালে ভ্যান নিয়ে বরগুনা বাজারে আসেন তিনি।

এরপর সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়। তবু সেলিম মিয়ার উপার্জন নেই একটি টাকাও। এতে দুশ্চিন্তায় কপালের ভাজ বাড়তে থাকে আরও। ক্ষুধা আর অলস সময় কাটানোয় ক্লান্তি চেপে ধরে তাকে। এরপর দুপুরের তপ্ত রোদে ক্লান্ত শরীরে ভ্যানের উপরেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি।

jagonews24

এভাবে ঠিক কতক্ষণ ঘুমিয়ে ছিলেন, তা বলতে পারেন না ভ্যানচালক সেলিম। নির্জন রাস্তায় হঠাৎ তার ঘুম ভাঙে বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহর ডাকে। এরপর ডিসি মোস্তাইন বিল্লাহ ভ্যানচালক সেলিম মিয়ার অসহায়ত্বের কথা জানতে পেরেই খাদ্যদ্রব্যের একটি প্যাকেট তুলে দেন তার হাতে।

১০ কেজি চাল আর আলু ডালসহ বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভর্তি ওই প্যাকেটটি পেয়ে হতভম্ভ সেলিম মিয়া। ভেবেছিলেন হয়তো ঘুমের ঘোরে স্বপ্নই দেখছেন তিনি। এরপর আপ্লুত হন তিনি। মেঘ না চাইতেই জল! জেলা প্রশাসকের দেয়া প্যাকেটি আগলে ধরে কেঁদে ফেলেন দরিদ্র সেলিম মিয়া। ততক্ষণে ব্যস্ত ডিসি উপার্জনহীন অন্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে ওই স্থান ত্যাগ করেন।