• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

মাচা পদ্ধতিতে আঙুর চাষে অভাবনীয় সাফল্য

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০  

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় বাড়ির আঙ্গিনায় সবুজ পাতার নিচে বাঁশের মাচায় থোকায় থোকায় ঝুঁলছে আঙুর। যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। 

তরুণ উদ্যোক্তা ও আইনজীবী সামিউন নবী সামিম জেলায় প্রথম মাচা পদ্ধতিতে আঙুর ফলের চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার প্রত্যাশা অচিরেই দেশের বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ হবে।  
 
জানা গেছে, গত বছর রাজশাহী থেকে ২টি লাল ও ২টি কালো আঙুরের চারা (কাটিং) নিয়ে আসেন সামিম। সেই চারা রোপণ করেন নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আঙিনায়। গত বছর গাছে প্রথম ফল আসে। এ বছর পরিপূর্ণ ফল দেখে তিনি সফলতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। আঙুর মিষ্টি হওয়ায় পরিপূর্ণভাবে গাছের পরিচর্যা শুরু করেন। ফলে দুই বছরের মাথায় প্রথমবারের তুলনায় ৫-৬ গুণ বেশি আঙুর ফল ধরছে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার অরুন চন্দ্র রায় সামিমের আঙুর বাগান পরিদর্শন করেছেন। অল্প জায়গাতে অধিক ফলন এবং সুমিষ্ট হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এই চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে কৃষকরা লাভবান হবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

এলাকাবাসী জানান, সামিমের বাগানের ফরমালিনমুক্ত সু-স্বাদু আঙুর খেতে পারছেন তারা। উদ্দ্যোগ নিলেই এটা ব্যাপক আকারে উৎপাদন করা সম্ভব।  

সামিউন নবী সামিম জানান, অদম্য ইচ্ছা থেকে ৪টি আঙুরের চারা রোপণ করে শুরু করেন আঙুর বাগান। গত বছর তার গাছে ফল আসে। এবছরও ভাল ফলন হয়েছে। বাজারের কেনা আঙুরের মতই সুমিষ্ট। 

তিনি জানায়, বর্ষা মৌসুমে গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। আলো বাতাস ও পর্যাপ্ত রোদের তাপ থাকে এমন জায়গাতে রোপণ করলে ফলের স্বাদের মিষ্টতা পাওয়া যায়। গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে জৈব সার দিয়ে গাছ রোপণ করতে হবে এবং নিয়মিতভাবে গাছের যত্ন নিতে হবে। 

তিনি আরো জানান, ভুলেও গাছের ডালপালা ভেঙে ফেলা যাবে না। শীতের শেষে গাছের ডালে নতুন পাতা ও কুশি বের হবে, আর তাতেই ফুল ধরবে এবং পরিণত বয়সে তা আঙুরে রূপান্তরিত হবে। এ সময় গাছের পাতায় মকর নাশক স্প্রে করতে হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অরুন চন্দ্র রায় বলেন, আইনজীবী সামিউন নবী সামিমের আঙুর বাগান পরিদর্শন করা হয়েছে। আঙুর চাষ করে ভাল ফলনও পেয়েছেন। মূলত শখের বসেই মহাদেবপুরে আঙুর চাষ হচ্ছে। যা অনেকটা পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে আঙুর চাষ বাণিজ্যিকভাবে করা যাবে কিনা তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে কৃষি বিজ্ঞানীরা।