• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

স্কুলছাত্র সোহাগের হাতে গড়া ‘পদ্মা সেতু’

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২১  

ধীরে ধীরে প্রমত্তা পদ্মা নদীর বুকে জেগে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ সেতু। সেই সেতুতে এখন যান চলাচল শুরুর অপেক্ষা। এই সেতু দেখে ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের দশম শ্রেণির ছাত্র সোহাগ হোসেন নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছে আরেকটি পদ্মা সেতু।

তার সেই সেতুর দেখতে এখন প্রতিদিন মানুষ আসছে।

নিজের বাড়ির পাশে বাঁশ ও মাটির কাঠামোর ওপর সিমেন্টের প্রলেপ দিয়ে বানানো হয়েছে সেই সেতু। পদ্মা সেতুর মতো সোহাগের সেতুতে রয়েছে রেল লাইনও। রাতে ল্যাম্প পোস্টে আলো জ্বলে ওঠে। তখন সেতুটি দেখতে স্বপ্নের মতো মনে হয়।

সম্প্রতি সোহাগের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার বানানো সেতু দেখতে আশপাশের এলাকার মানুষ আসছে।

সোহাগ হোসেন জানায়, যেদিন পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসে, সেদিনই তার ইচ্ছা জাগে ওই সেতুর আদলে একটি সেতু বানানোর। ২০১৮ সালে সে সেতু তৈরি শুরু করে। প্রথমে মাটি দিয়ে সেতুটি বানায়। তবে সেটি ভেঙে পড়ে। এর কিছু অংশ বৃষ্টির পানিতেও গলে যায়। তাই এ বছর সে মাটির ওপর হালকা করে সিমেন্ট দিয়ে প্লাস্টার করে দিয়েছে। যাতে অল্প বৃষ্টিতে সেতুর মাটি গলে না যায়।

সোহাগ হোসেন বলেন, ‘আমি দশম শ্রেণিতে পড়ছি। বাড়ির কাজের পাশাপাশি এই সেতু তৈরি করেছি। এতদিন পর এটা বানাতে পেরে ভালো লাগছে।’

সে আরও বলে, ‘মনে হয়েছে, তাই বানিয়েছে। আগে  বাবা-মা বাধা দিয়েছেন। তাই বাড়ির কাজ বাদ দিয়ে এটা করিনি। কাজের ফাঁকে ফাঁকে এটা করছি।’

আশপাশের লোকজন সোহাগের এমন পাগলামি দেখে হাসি-ঠাট্টা করেছে। সোহাগ তাতে পাত্তা দেয়নি। তার যা ভালো মনে হয়েছে, তাই করেছে। এখন অবশ্য অনেকে দেখতে আসছে এবং প্রশংসাও করছে। সোহাগ বলেন, ‘আমি খুশি এই জন্য যে, আমি আমার প্রতিভা মানুষকে দেখাতে পেরেছি।’ 

সুতিপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি নিজেও সোহাগের বানানো সেতু দেখে এসেছি। ছেলেটা অনেক মেধাবী। আমার বিশ্বাস, সে একদিন সত্যিকারে পদ্মাসেতু বানাবে।’