• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসছেন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৪  

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতায় আসছেন রাষ্ট্রায়ত্ত-স্বায়ত্তশাসিত ও সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আগামী ১ জুলাই বা তার পরে এসব প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সুবিধার আওতায় আসবেন। সরকারের অর্থমন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩’ এর বিধানমতে জারি করা সরকারের এ প্রজ্ঞাপন বুধবার (১৩ মার্চ) গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

গেজেটে বলা হয়েছে— ‘সরকার সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (২) এর শর্তাংশে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং এর অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তারা যে নামেই অভিহিত হোন না কেন, আগামী ১ জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন, তাদেরকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করলো।’

উল্লেখ্য, আইনের ১৪(২) এ বলা হয়েছে, ‘সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতিতে সরকারি অথবা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত, অথবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করতে পারবে। এক্ষেত্রে কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের চাঁদার অংশ কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে। তবে শর্ত থাকে যে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনও আইনে যা কিছুই থাক না কেন, সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত, সরকারি ও আধাসরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার আওতা-বহির্ভূত থাকবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘২০১৪ সালের ১ জুলাই বা তার পরে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব প্রতিষ্ঠানে যোগদান করবেন, তারা সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হবেন। এসব প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে যারা যুক্ত আছেন, তার এর আওতাভুক্ত হবেন না।’

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিম কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের দিন থেকেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা। নির্ধারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও চাঁদা জমা শুরু হয়।

মানুষের পেশা ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে সরকার শুরুতে চারটি স্কিম ঘোষণা করে। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা— এই চারটি স্কিম থেকে নিজের অবস্থান অনুযায়ী স্কিম বেছে নিতে পারেন। এর মধ্যে অতি দরিদ্রদের জন্য ‘সমতা’ স্কিম, বিদেশে চাকরিরতদের জন্য ‘প্রবাস’ স্কিম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘প্রগতি’ স্কিম, অনানুষ্ঠানিক খাত ও স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’ স্কিম রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে অন্তর্ভুক্তির উদ্দেশ্য পূরণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।