• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

সত্যজিৎ রায়ের ১০০ তম জন্মদিন আজ

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২ মে ২০২১  

বাঙালি কিংবদন্তী চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের একশোতম জন্মদিন আজ। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা। সেইসঙ্গে নাটক, সাহিত্য, চিত্রকলা এমনকি সঙ্গীতে ছিলো তার অবাধ বিচরণ। বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন সত্যজিৎ।

১৯২১ সালের ২ মে কলকাতার বিখ্যাত রায় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন  সত্যজিৎ রায়। বাবা সুকুমার রায় এবং পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী দুজনেই সেই সময় বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। তাদের পৈতৃক নিবাস ছিল বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায়।

৬ ফুট ৫ ইঞ্চির এক বিশাল মানুষ ছিলেন সত্যজিৎ। তিনি এমন এক স্রষ্টা যার ম্যাজিক তার উচ্চতার মতই বিরল| ২৮টি ফিচার ও ৮টি ছোট দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র ও শর্ট ফিল্ম তার দীর্ঘ ৪২ বছরের ফিল্ম কেরিয়ারের ফসল। শুধু এটুকুতেই তার কাজের পরিমাপ করা যাবে না। সত্যজিতের কাজের প্রকৃত মূল্যায়ন তার ছবির বিশাল ব্যাপ্তিতে।

শুধু চলচ্চিত্র আর সাহিত্যের গণ্ডিতে আটকে থাকেননি তিনি। সত্যজিতের ক্যালিগ্রাফির কাজ, তাঁর আঁকা, ছবি, প্রচ্ছদ চমকে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচকদের। রবীন্দ্র পরবর্তী যুগের সেরা বাঙালি প্রতিভা  যে তিনিই সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

সত্যজিৎ রায় ১৯৫২ সালে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘পথের পাঁচালি’ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৯৫৫ সালে ছবিটির নির্মাণ সম্পন্ন হয় এবং সে বছরই ছবিটির মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পাওয়ার পর ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরবর্তীতে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প-উপন্যাস অবলম্বনে ‘অপরাজিত’ ও ‘অপুর সংসার’ নামে আরও দুইটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এ তিনটি চলচ্চিত্র  অপু ট্রিলজি হিসেবেই পরিচিত। 

সত্যজিৎ রায়ের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে- ‘তিন কন্যা’ (১৯৬১), ‘চারুলতা’ (১৯৬৪), ‘নায়ক’ (১৯৬৬), ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ (১৯৭০), ‘সীমাবদ্ধ’ (১৯৭১) ও ‘জন অরণ্য’ (১৯৭৫) গণশত্রু’ (১৯৮৯), ‘শাখাপ্রশাখা’ (১৯৯০) ও ‘আগন্তুক’ (১৯৯১)। সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি গোয়েন্দা চরিত্র ‘ফেলুদা’ ও ‘প্রফেসর শঙ্কু’।

১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল এই খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা মৃত্যুবরণ করেন।