• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

যে পিরামিডের একপাশে ঠান্ডা অন্যপাশে গরম

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

পিরামিড নিয়ে বিশ্ববাসীর জানার আগ্রহ তুঙ্গে। তখনকার সময়ে উঁচু এসব পিরামিড তৈরি করা এতোটাও সহজ ছিল না। পিরামিড রহস্য যুগ যুগ ধরে বিজ্ঞানী কিংবা গবেষকরা খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। গিজার গ্রেট পিরামিডের নাম অনেকেই শুনেছেন নিশ্চয়ই! এ পিরামিড নিয়ে অনেক রহস্যের সমাধান হয়নি আজও। এর বিশালত্ব আপনাকে অবাক করবে। মিশরের সবচেয়ে বড়, পুরোনো এবং আকর্ষণীয় পিরামিড হচ্ছে গিজা’র পিরামিড যা খুফু’র পিরামিড হিসেবেও পরিচিত।

গ্রেট পিরামিড ৩ হাজার ৮০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ মানব-নির্মিত কাঠামো ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ২৫৫০ সালে নির্মিত এই পিরামিড বিশ্বের সাত প্রাগৈতিহাসিক আশ্চর্যের একটি। এর উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। এটি ৭৫৫ বর্গফুট জমির উপর স্থাপিত। পিরামিডটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ২০ বছর এবং শ্রমিক খেটেছিল আনুমানিক ১ লাখ।

পিরামিডটি তৈরি করা হয়েছিল বিশাল বিশাল পাথর খণ্ড দিয়ে। পাথর খণ্ডের একেকটির ওজন ছিল প্রায় ৬০ টন, আর দৈর্ঘ্য ছিল ৩০ থেকে ৪০ ফুটের মতো। এগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিল দূর দুরান্তের পাহাড় থেকে। পাথরের সঙ্গে পাথর জোড়া দিয়ে পিরামিড তৈরি করা হত।

৪ হাজারের বছরের পুরোনো এক সমাধিতে আঁকা চিত্রে দেখা যায়, বিশাল স্তম্ভকে স্লেজে করে সরানো হচ্ছে। অনেক মানুষ রশি দিয়ে সেই স্লেজ টেনে নিচ্ছে। আর তাদের মধ্যে একজন পাত্র থেকে পানি ঢালছে বালির উপরে। এতে ঘর্ষণ প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। এভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আড়াই টন ওজনের একেকটি ব্লক।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া একমাত্র আট পার্শ্বযুক্ত পিরামিড এটি। গিজার গ্রেট পিরামিডের চার পার্শ্ব সামান্য অবতল। যে কারণে এই পিরামিডের কেন্দ্রটি অসাধারণ একটি কৌণিক অবস্থান সৃষ্টি করেছে।

যা বিশ্বের একমাত্র আট পার্শ্বযুক্ত পিরামিডের জন্ম দিয়েছে। যদিও এই অসাধারণ নির্মাণকৌশল ভূমি থেকে বা দূর থেকে দেখলেও বোঝা যায় না। শুধু বছরের বিশেষ একটি সময়ে উপর থেকে দেখলে টের পাওয়া যায়। শরৎ ও বসন্তকালে ভোরে এবং সূর্যাস্তের আলোয় দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যকলার দৃশ্যের দেখা মেলে।

সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, গবেষকরা ৫-৬ বছর আগে খুঁজে পেয়েছে গিজার দ্য গ্রেট পিরামিডের মধ্যকার তাপমাত্রার তারতম্য থাকার কারণ। থার্মাল ক্যামেরা দিয়ে গুপ্ত কুঠুরি খুঁজতে গিয়ে গিজার পিরামিডের কয়েকটি স্থানের পাথরে তাপের তারতম্য পর্যবেক্ষণ করেছেন স্থপতি আর বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল।

গবেষণায় দেখা গেছে, গিজার গ্রেট পিরামিডের ভেতর উষ্ণ এবং অপেক্ষাকৃত শীতল দুটি স্থান রয়েছে। যেখানকার তাপমাত্রা বলেতে গেলে সবসময় প্রায় একইরকম থাকে। গবেষকরা ধারণা করেন, হাজার বছর ধরেই এই তাপমাত্রা ধরে রেখেছে পিরামিডটি।

পিরামিডের ভেতর লুকোনো কোনো স্থাপনা আছে কি-না, তা পরীক্ষা করতেই বিজ্ঞানীরা আধুনিক ইনফ্রারেড এবং থ্রিডি প্রযুক্তি ব্যবহার করছিলেন। ইনফ্রারেড থার্মোগ্রাফি পরীক্ষায় পিরামিডের ভেতরে বেশকিছু অসামঞ্জস্য ধরা পড়ে।

পরীক্ষার পর দেখা যায়, পিরামিডের মধ্যকার তাপমাত্রা উঠানামা করে না, বলতে গেলে সবসময় একই রকম থাকে। অদ্ভুতভাবে পিরামিডের অন্যপাশে এই পরিবেশ দেখা যায় না। যদিও কি কারণে বা কীভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের এমন পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলো প্রাচীন মিশরীয়রা তা এখনো রহস্যই রয়ে গেছে।