রেকটাম ক্যান্সারের স্ট্র্যাপলিং চিকিৎসা
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২০
পরিপাকতন্ত্রের শেষ অংশটুকুকে আমরা বলি রেকটাম বা মলাশয় ও মলদ্বার। এখানে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয় ও এর উপসর্গগুলো প্রায় এক রকম। রোগীর কথা শোনে কখনও রোগ নির্ণয় করা যায় না।
যেমন- মলদ্বারে রক্ত যায় যেসব রোগে তার মধ্যে রয়েছে পাইলস, এনাল ফিশার, রেকটাম ক্যান্সার, ফিস্টুলা, পলিপ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, ডাইভাটিকুলোসিস, কোলাইটিস, রক্ত আমাশয় ইত্যাদি। বিশেষ ধরনের অ্যান্ডোসকোপি পরীক্ষা ছাড়া কোনো ডাক্তারের পক্ষে এগুলো শনাক্ত করা সম্ভব নয়। রেকটাম ক্যান্সারের উপসর্গ হচ্ছে পায়খানায় রক্ত যাওয়া, মাঝে মাঝে ডায়রিয়া আবার কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া, খুব সকালে মলত্যাগের বেগ হয়, পেটে ব্যথা হয় এবং পেট ফাঁপা দিয়ে ফুলে উঠতে পারে।
দীর্ঘদিন থাকলে মলদ্বারে ব্যথা এবং প্রস্রাবে অসুবিধা হতে পারে। মলের সঙ্গে আম বা মিউকাস যায় কোনো কোনো সময়। এ ক্যান্সার চিকিৎসার প্রধান প্রতিবন্ধকতা হল এটিকে পাইলস বা আমাশয় মনে করা, গ্রাম্য ডাক্তার, কবিরাজ ও হোমিও চিকিৎসায় গ্যারান্টি সহকারে ক্যান্সার নির্মূলের আশ্বাস, মহিলারা এ জাতীয় সমস্যা কাউকে বলতে বিব্রতবোধ করেন, অপারেশন ভীতি এবং পেটে কলোস্টমি করে ব্যাগ লাগাতে হবে এ ভয়ে।
রেকটাম ক্যান্সার রোগীদের জন্য সুখবর এবং আশার কথা এই যে, যে কারণে আগে রোগীরা অপারেশন করতে রাজি হতেন না তা হল পেটে স্থায়ী কলোস্টমি করা।
ইতিমধ্যেই দেশে অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে কলোস্টমি ছাড়া এ অপারেশন সফলভাবে সম্পাদন করা হচ্ছে। এ প্রযুক্তিতে দুটি যন্ত্র ব্যবহার করতে হয় যা কিছুটা ব্যয়বহুল এবং একবার ব্যবহার করে ফেলে দিতে হয়। এ যন্ত্র ব্যবহারের ফলে এখন ৭০-৮০ শতাংশ রেকটাম ক্যান্সার রোগী উপকৃত হচ্ছেন। রোগীরা যদি সচেতন হন এবং খুব আগেভাগে আসেন তাহলে খুবই কমসংখ্যক রোগীর কলোস্টমি করতে হবে। ইতিমধ্যে বহু ক্যান্সার রোগী দেখেছি যারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছেন।
একজন রোগীর বয়স ৫৫ বছর। বাড়ি নওগাঁ। ক্যান্সার বেড়ে গিয়ে মলদ্বারে বড় বড় গোটা হয়েছে। রক্ত মাত্র ২৮ শতাংশ। তার স্ত্রী জানালেন, বিগত তিন বছর ধরে বসে ভাত খেতে পারেন না। তারপরও কত বললাম অপারেশন করতে; কিন্তু তিনি ভয়ে রাজি না। বলেন, কবিরাজ বলেছে ভালো হয়ে যাবে। যা হোক, অপারেশনের পর এখন তিনি বসে ভাত খেতে পারছেন। হয়েছেন সম্পূর্ণ সুস্থ।
অন্য একজন অল্পবয়সী রোগী এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে,আত্মীয়-স্বজন তাকে কাঁধে করে নিয়ে এসেছেন। গায়ে রক্ত নেই, অসম্ভব শুকিয়ে গেছে, সারা শরীরে হাড্ডি ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। কিছুদিন আগে শুধু কলোস্টমি করা হয়েছে। আসলে ক্যান্সার রয়ে গেছে। মলদ্বারে তিনটি ফিস্টুলা দিয়ে অনবরত ময়লা পড়ছে। কলোস্টমির মুখটি বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু মুখে দিলেই পেট ফুলে যায়। অপারেশন করতে অনুরোধ করলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখলাম, অপারেশনের সম্পূর্ণ অযোগ্য।
অতঃপর বিভিন্ন ধরনের ব্যয়বহুল চিকিৎসা করে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে রোগীর বিশেষ অনুরোধে অপারেশন করে ক্যান্সারটি অপসারণ করি। এক্ষেত্রে তাকে অজ্ঞান না করেই অপারেশন করি, তবে পেট ও নিচের অংশ অবশ করা হয়। অপারেশনের পর রোগী ভালোভাবে খেতে পারছেন। ক্যান্সারটি অপসারণ করায় তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং রোগী বেশ খুশি হন। পুরনো ক্যান্সারে রোগী সাধারণত কয়েক বছরের বেশি বাঁচেন না। কিন্তু অপারেশনের পর যতদিন বাঁচেন ততদিন অনেকটা আরামে থাকেন।
অপারেশন করে ক্যান্সারটি অপসারণ না করলে রোগী বিভিন্ন জটিলতায় ভোগেন, যেমন গভীর রক্ত শূন্যতা এমনকি হঠাৎ বেশি রক্তক্ষরণ হয়ে মারা যেতে পারেন।
মলদ্বার, কোমর পায়ে অনবরত ব্যথা, প্রস্রাবের অসুবিধা, মহিলাদের যোনিপথ দিয়ে রক্ত ও মল বের হওয়া, খেতে না পেরে শুকিয়ে হাড্ডিসার হয়ে যাওয়া, পেট ফুলে উঠা, পায়খানা করতে না পারা, কিডনি অকেজো হওয়া, লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া ইত্যাদি। রেকটাম ও মলদ্বারের বিশেষজ্ঞদের মতে, রেকটাম ক্যান্সার যত পুরাতনই হোক অপারেশন করতে হবে।
এমনকি যদি ক্যান্সার লিভারে ছড়িয়ে গিয়ে থাকে অথবা যদি এমন মনে হয় যে, রোগী কয়েক মাসের বেশি বাঁচবেন না তবুও অপারেশন করতে হবে। তাতে রোগী যতদিন বেঁচে থাকেন আরামে থাকবেন এবং বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রণা থেকে নিষ্কৃতি পাবেন। অপারেশনের পরে রোগী কতদিন বেঁচে থাকবেন এ ব্যাপারটি আল্লাহর ওপর ছেড়ে দেয়াই ভালো।
তবে ক্যান্সার লিভারে ছড়িয়ে গেলে তারপর অপারেশন করলেও অনেক রোগী ৩-৪ বছর বেঁচে থাকেন। অন্যদিকে যখন ক্যান্সার শুধু রেকটামে সীমাবদ্ধ থাকে তখন অপারেশন করলে ৯৩ শতাংশ রোগী সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যান।
রেকটাম ক্যান্সার শুরুতে ধরা পড়লে অপারেশনের ফলাফল খুবই ভালো। দেরিতে ধরা পড়লে অপারেশনের পর ক্ষেত্রভেদে রেডিও থেরাপি বা কেমোথেরাপি দেয়া যায়। আমি রোগীদের অনুরোধ করতে চাই, সবকিছুকে পাইলস মনে করে বসে থাকবেন না।
- মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
- গণতান্ত্রিক বিষয়কে বিএনপি ফাঁদ মনে করে : ওবায়দুল কাদের
- মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা সরে দাঁড়াবেন: কাদের
- ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেলেন নায়েব আলী
- সুন্দরবনে ভয়াবহ আগুন
- উজ্জীবিত বাংলাদেশের সামনে ভঙ্গুর জিম্বাবুয়ে
- দফায় দফায় সংঘর্ষ বেধেছে বাস-থ্রি-হুইলার শ্রমিকদের সাথে
- টানা ৮ দফা কমার পর বাড়ল স্বর্ণের দাম
- একই লেনে মৈত্রী-ধূমকেতু এক্সপ্রেস: তদন্তে কমিটি
- সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ
- গাজার যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শুনছে না ইসরায়েল
- বিএনপির আরও ৬১ নেতাকে বহিষ্কার
- স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাপী ছাত্রআন্দোলনে ছাত্রলীগের সংহতি
- সুরা আবাসায় কেয়ামতের বর্ণনা
- গরমে কেন বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি?
- এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে
- ছুটির দুপুরে পাতে রাখুন ‘আনারস মুরগি’
- ৯৫ লাখ টাকায় কষ্টিপাথর কিনে প্রতারিত, ক্ষুব্ধ হয়ে ভায়রাকে অপহরণ
- বিচারকাজ পরিচলনায় আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চ
- পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত
- গাম্বিয়ার কৃষি খাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির বিষয়ে আলোচনা
- কোক স্টুডিও বাংলা’র নতুন গান ‘মা লো মা’
- আড়াই মাস পর দেশে এসেছে ৮ বাংলাদেশির লাশ, নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন
- মাদারীপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ গ্রেপ্তার ২
- দাবদাহে উত্তপ্ত হয়ে বিটুমিন গলে যাওয়া সড়কে দুদকের অভিযান
- সদর উপজেলার কেউ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না ইনশাল্লাহ
- মনপুরায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন
- বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পরে দুধ দিয়ে গোসল, ভিডিও ভাইরাল
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সভা
- বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলগত ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
- ভোলায় জেলা প্রশাসনের ঈদ সামগ্রী পেল ৩০ পরিবার
- ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
- ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- ভোলায় শপথ নিলেন তিন ইউপি চেয়ারম্যান
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- লিটনের সমস্যাটা মানসিক, এখান থেকে বের হতে হবে: সুজন
- বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকা টোল আদায়
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা
- ভোলায় কোস্ট গার্ডের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ
- শাওয়ালের ছয় রোজা কি ধারাবাহিকভাবে রাখা জরুরি?
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
- দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
- পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের প্রথম সাক্ষী হলো মেক্সিকো
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?