• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

বিশ্ব আদালতে গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলো ইসরায়েল

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪  

জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা গাজায় গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) নেদারল্যান্ডসে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) দেশটি গণহত্যার অভিযোগকে ‘অতি বিকৃত অভিযোগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার অনুরোধ খারিজ করার জন্য বিচারকদের আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির দাবি, এতে তারা প্রতিরক্ষাহীন হয়ে পড়বে। গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে গাজায় উপত্যকায় সামরিক অভিযান বন্ধের আদেশ দেওয়ার এখতিয়ার নেই আইসিজের।

ডিসেম্বরে আইসিজেতে গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির প্রথম দিন জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে অবিলম্বে গাজায় ইসরায়েলের অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানায় দেশটি।

দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, উপকূলীয় ছিটমহলে ইসরায়েলের বিমান ও স্থল অভিযানে তা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, নিহতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে। ইসরায়েলের এই অভিযানের লক্ষ্য হলো গাজার জনসংখ্যাকে ধ্বংস করা।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেওয়া টাল বেকার আদালতকে বলেছেন, ঘটনার যে ব্যাখ্যা দক্ষিণ আফ্রিকা তুলে ধরছে তা অতি বিকৃত। যদি কোনও গণহত্যার ঘটনা থাকে তাহলে তা ইসরায়েলে বিরুদ্ধে হয়েছে। হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা পরিচালনা করতে চায়।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। ইসরায়েলের দাবি, এতে প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছেন এবং ২৪০ জনকে গাজায় নিয়ে জিম্মি করা হয়েছে। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি আইনজীবী দাবি করেছেন, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের এই দুর্ভোগের দায় প্রথমত হামাসের কৌশলের। ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষার অধিকার রয়েছে।

ইসরায়েল অভিযোগ করে আসছে, হামাস যোদ্ধারা বেসামরিক মানুষদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। হামাস এই অভিযোগ করেছে।

টাল বেকার দাবি করেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা যুদ্ধে লিপ্ত ইসরায়েল, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে নয়। ইসরায়েল চায় হামাস যাতে সফল না হয়। গণহত্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো জনগোষ্ঠীকে আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস করার অভিপ্রায়, যা ইসরায়েলের অভিযানে অনুপস্থিত।

শুনানি চলাকালে নেদারল্যান্ডসের রাজধানীতে ফিলিস্তিনপন্থিরা বিক্ষোভ করেছেন। পিস প্যালেসে একটি বড় পর্দায় আদালতের কার্যক্রম সম্প্রচার করা হয়।  টাল বেকার বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রতিবাদকারীরা ‘মিথ্যুক, মিথ্যুক’ বলে স্লোগান দেন। ইসরায়েলের সমর্থকরাও জিম্মিদের পরিবারের স্বজনদের নিয়ে পৃথক সমাবেশ করেছেন।

বেকার আদালতকে বলেছেন, গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের নির্দেশ চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের নিজেকে রক্ষার অধিকারকে খর্ব ও প্রতিরক্ষাহীন করতে চাইছে। তাই এই আবেদন খারিজ করা উচিত।

ইসরায়েল দাবি করেছে, দক্ষিণ আফ্রিকা হামাসের একটি মুখপত্র হিসেবে কাজ করছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আইসিজের রায় চূড়ান্ত এবং আপিল করার সুযোগ নেই। কিন্তু রায় বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার কোনও এখতিয়ার এই আদালতের নেই। ধারণা করা হচ্ছে, এই মাসের শেষের দিকে সম্ভাব্য জরুরি পদক্ষেপ সম্পর্কে একটি রুল জারি করতে পারে। কিন্তু গণহত্যার অভিযোগের বিষয়ে রায় দেওয়ার সম্ভাবনা কম। এই অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়া শেষ কয়েক বছর লাগতে পারে।