• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

কঙ্গো থেকে সব শান্তিরক্ষী সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা জাতিসংঘের

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪  

মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআর কঙ্গো) থেকে শান্তিরক্ষা মিশনের সব সদস্যকে সরিয়ে নিচ্ছে জাতিসংঘ। ২০২৪ সালের শেষ দিকে সদস্যরা দেশটি ছেড়ে যাবে।

আল জাজিরার রোববারের (১৪ জানুয়ারি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ মোট তিন ধাপে তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশটি থেকে পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করা হবে।

গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ডিআর কঙ্গোয় বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করে আসছিল বিভিন্ন দেশের সেনা সদস্যদের মাধ্যমে গড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের সেনাদল।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনটি কঙ্গোয় পরিচিত মনুস্কো নামে। মিশনের প্রধান বিন্টো কেইতা। তিনি গতকাল শনিবার কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসায় মিডিয়া ব্রিফিং করেন। সেখানে বিন্টো বলেন, ২৫ বছরের ধরে দায়িত্ব পালন করা মনুস্কো অবশ্যই ২০২৪ সালের শেষের দিকে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো ত্যাগ করবে।

তিন ধাপের প্রথম পর্যায়ে, চলতি বছরের এপ্রিলের শেষ দিকে ২ হাজার সৈন্য কঙ্গোর কিভু প্রদেশ থেকে সরে যাবে। কেইতা বলেন, কঙ্গোয় আমাদের মনুস্কোর ১৩ হাজার ৫০০ জনের শক্তিশালী সৈন্য কাজ করছে। প্রথম পর্যায় সৈন্য সংখ্যা চলে গেলে বর্তমান সংখ্যা হবে ১১ হাজার ৫০০ জন। এরপর নর্থ কিভু ও ইতুরি প্রদেশ থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।

সম্প্রতি নির্বাচন হয় কঙ্গোয়। বিতর্কিত এ ভোটে পুনঃনির্বাচিত হয় কঙ্গোলিজ সরকার। পরে সরকারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের মিশনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় দেশটির সরকার। এরপরই মনুস্কোর পক্ষ থেকে কঙ্গো ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণাটি এলো।

খবরে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের মিশনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাত থেকে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। মূলত ২০২২ সাল থেকে জাতিসংঘের মনুস্কো মিশন দেশটির নাগরিকদের প্রতিবাদের সম্মুখীন হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, শান্তিরক্ষীরা বহু বছরের মিলিশিয়া সহিংসতার বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

জাতিসংঘের সৈন্য চলে গেলে কিভু প্রদেশে সংস্থাটির ১৪টি ঘাঁটি কঙ্গোর নিরাপত্তা বাহিনী দখলে নেবে। কঙ্গোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফ লুতুন্ডুলা কিনশাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মনুস্কো প্রত্যাহারের অর্থ এমন নয় যে আমরা আমাদের দেশের স্বার্থে যে লড়াইয়ে নেমেছি তা শেষ হয়ে যাবে। বরং আমাদের সংগ্রাম চলবেই।