• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ বিতর্কিত করতে বিএনপির উদ্ভট কর্মসূচি!

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

আগামী বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ক্ষমতাসীন সরকার এই উৎসবের আয়োজন করেছে। কিন্তু দুঃখের খবর হলো, সরকারের এই মহতী উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট অনুরূপ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিশিষ্টজনরা বিএনপির এই উদ্যোগকে ‘ঔদ্ধত্ব্যপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

সম্প্রতি ২০ দলীয় জোটের এক বৈঠক শেষে সমন্বয়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ২০ দল আগামী বছর ২০২০ সালের ২৬ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে। এজন্য একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি প্রস্তাব করবে যে, জোট কী কী কর্মসূচি করবে।

এ ব্যাপারে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার আছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের। কে কী বললো কিংবা মনে করলো, তা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। আমরা যখন এটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তখন করেই ছাড়বো। আর সেটা যেকোন মূল্যেই করবো।

তারেক রহমানের এই সুবর্ণজয়ন্তী পালনে কোনো ভূমিকা থাকছে কিনা জানতে চাইলে বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ২০ দলীয় জোটের এই সিদ্ধান্তের কথা তাকে জানানো হয়েছে। তিনি হ্যাঁ কিংবা না কোনোটাই বলেননি। শুধু বলেছেন, যেটা ভালো মনে হয় করেন এবং এই উৎসবের পেছনে কে বা কারা অর্থায়ন করবেন, সে বিষয়েও নজর রাখতে বলেন।

বিএনপির বিক্ষুব্ধ একটি অংশ বলছে, দলের সাংগঠনিক অসঙ্গতির কারণে তৃনমূলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আজ নুইয়ে পড়েছে। সবাই ধরেই নিয়েছে বিএনপির উত্থান অসম্ভব। এ কারণে সভা-সমাবেশ কিংবা মিছিল-মিটিংয়ে তাদের উপস্থিতি নেই। তালা ঝুলছে অধিকাংশ মফস্বল কার্যালয়গুলোতে। কিন্তু এতে ভ্রুক্ষেপ নেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তিনি মোটা অর্থের বিনিময়ে পদ-মনোনয়ন বাণিজ্য করে লন্ডনে আয়েশী জীবন পার করছেন।

বিক্ষুব্ধ এই সূত্র আরও বলছে, দলের এমন ভঙ্গুরাবস্থায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হবে চরম বোকামি। অনেকটা আক্কেল সেলামি দেওয়ার মতো। তাই এটা না করাই ভালো হবে। এতে দল ও কর্মী-উভয়েরই মঙ্গল হবে।

এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, একাত্তরে স্বাধীনতা সংগ্রামের সক্রিয় বিরোধিতা করেছিল জামায়াত। কিন্তু সেই কৃতকর্মের জন্য তারা জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। বরং প্রহসনের অংশ হিসেবে বিএনপি তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ২০ দলের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেটা সম্পূর্ণ ঔদ্ধত্ব্যপূর্ণ।