মাকাসিদুশ শরিয়া তত্ত্বের প্রয়োগ ও অপপ্রয়োগ
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯
অনেক আলিম শরিয়ার বিভিন্ন বিধানের উপকারিতা (মাসালিহ) এবং উদ্দেশ্য (মাকাসিদ) নিয়ে কথা বলেছেন। তাদের এসব আলোচনার উদ্দেশ্য কখনো এটা ছিল না যে, শরিয়ার বিধানগুলো কেবল এসব উপকারিতা ও উদ্দেশ্যের মাঝে সীমাবদ্ধ। বরং এসকল বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল একথা বোঝানো যে, শরিয়ার এমন কোন বিধান নেই যা দীন অথবা দুনিয়ার উপকারিতা থেকে শূন্য এবং যেসকল ক্ষেত্রে নুসুস অনুপস্থিত সেসকল ক্ষেত্রে এসকল মাসালিহ এবং মাকাসিদ মাথায় রেখে ফতোয়া দেওয়া। তবে মানুষের অধিকার নেই শরিয়া এবং তার আহকামকে নিজেদের যৌক্তিকতাবোধ ও খেয়ালখুশির ভিত্তিতে বিচার করার। কারণ জীবন, সম্পদ এবং সম্মান রক্ষার মূলনীতি চূড়ান্ত না বা সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য না। এব্যাপারে ইমাম শাতিবি দারুণ সত্য কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘উপকার এবং ক্ষতি চিরন্তন না বরং আপেক্ষিক। এক্ষেত্রে আপেক্ষিকতার অর্থ হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন স্থান, কাল, পাত্রের জন্য উপকার ও ক্ষতি ভিন্ন ভিন্ন।’
এজন্য উপকার এবং ক্ষতি তাই যা শরিয়া নির্ধারণ করেছে। ফলে এমন কোন উপকারিতা যা শরিয়ার নিষেধাজ্ঞার সাথে বিরোধপূর্ণ তা বাস্তবে কোন উপকারিতা নয়। এগুলো হচ্ছে প্রবৃত্তির খাহেশ, যা ধ্বংস করতেই শরিয়ার আগমন।
আজকাল কিছু মানুষ মাকাসিদ আঁকড়ে ধরছে আর নুসুসের উপর অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং তর্ক করছে যে, এগুলো হচ্ছে শরিয়ার আহকাম এসকল মাকাসিদ অর্জনের জন্য। তারা বলে, আহকামসমূহের আপাত ফলাফল মাকাসিদের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হলে আমরা আহকামের উপর আমল না করে মাকাসিদগুলো অর্জনের চেষ্টা করবো। এভাবে এই যুক্তি কাঠামো দিয়ে তারা পুরো শরিয়াকেই নাকচ করে দিচ্ছে। তারা মূলত অনুমান নির্ভর এবং আপেক্ষিক মাকাসিদকে ব্যাবহার করে নিজেদের দায়দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চায়।
সত্য কথা হচ্ছে, আল্লাহ পাক আমাদের জন্য যে দীন নাযিল করেছেন তা কোন উপকারি লক্ষ্য-উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই করেছেন। তিনি কোন ক্ষতিকর বা উপকারহীন অপ্রয়োজনীয় বিধান আমাদের দেননি। কিন্তু উপকারী লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কথাটা খুবই আপেক্ষিক। একেকজন মানুষের কাছে ভালো ও উপকারের সংজ্ঞা আলাদা। একারণে ওহির ভিত্তি নেই এমন কোন বুদ্ধিবৃত্তিভিত্তিক মাকাসিদের কোন চিরন্তন ও সার্বজনীন মাপকাঠি হতে পারে না।
ফলে এসকল মাকাসিদ চিরন্তন ও শ্বাশ্বত না। এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা এবং নীতিমালা আছে। উদাহরণস্বরূপ একজন খুনি জীবন রক্ষার মাকাসিদের কথা বলে তার জীবন ভিক্ষা পাবে না। একথা সকল মাকাসিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এখন মৌলিক প্রশ্ন হচ্ছে এসকল মাকাসিদের সীমানা নির্ধারণ কে করবে? বা সে অনুযায়ী প্রায়োগিক শর্ত ও সীমাগুলো কে নির্ধারণ করবে? আমরা যদি শরিয়া বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞাকে মাকাসিদের হাতে ছেড়ে দেই তাহলে বড় বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। শরিয়া অনেক ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিধান প্রদান করেছে যা কেবল যৌক্তিকতা দিয়ে অনুধাবন করা সম্ভব না। যদি মানবীয় প্রজ্ঞা এসকল বিষয় সঠিকভাবে অনুধাবন করতে সক্ষম হতো তাহলে রাসুল বা ওহির কোন দরকার ছিল না। সত্য হচ্ছে কুরআন সুন্নাহকে এড়িয়ে এসকল মাকাসিদকে নির্ধারণের কোন উপায় নেই। তাই কোনভাবেই এসব আপেক্ষিক এবং দ্ব্যর্থবোধক মাকাসিদকে আমরা কোন পরিচ্ছন্ন আহকামের উপর প্রাধান্য দিতে পারি না, তা সেই আহকাম কুরআন থেকে আহরিত হোক অথবা সুন্নাহ থেকে। সত্য কথা হচ্ছে এসকল মাসালিহ ও মাকাসিদ কিতাবুল্লাহ ও সুন্নাহর বিভিন্ন আহকাম থেকে আহরিত হয়েছে তাই এসকল কল্যাণ-অকল্যাণ আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) যেভাবে নির্ধারণ করেছেন সেভাবেই নির্ধারিত হবে, নিজেদের ইচ্ছা ও প্রবৃত্তির খাহেশ মতো না।
মাকাশিদুশ শরিয়াহ বিষয়ক সকল আলিম, যেমন শাতিবি, ইমাম গাযালি, শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভি (রহ.) একমত যে, কোন হুকুম নির্ভর করে তার নিজস্ব দলিলের উপর, নিছক প্রজ্ঞার উপর না। তারা এব্যাপারেও একমত যে, যেসব মাকাসিদ নুসুসের সাথে সাংঘর্ষিক সেগুলো কুরআনিক পরিভাষায় কেবল খাহেশাত ছাড়া আর কিছুই না।
মাকাসিদ বর্ণনাকারীদের অগ্রদূত আলিম ইমাম শাতিবি বলেন, ‘শরিয়ত এসেছে মানুষকে তাদের প্রবৃত্তির দাসত্ব থেকে মুক্ত করে আল্লাহর প্রকৃত গোলামে পরিণত করার জন্য। এই মূলনীতি যখন প্রতিষ্ঠিত তখন একথা বলা যায় না শরিয়াত সর্বদা মানুষের খাহেশাতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে এবং তাৎক্ষণিকভাবেই বিধানগুলি উপকারী হবে। আল্লাহ পাক সত্যিই বলেছেন, যদি হক তাদের খাহেশাতের অনুসরণ করতো তাহলে আকাশ এবং পৃথিবী এবং তাঁর মাঝে যা আছে সবকিছুতে নৈরাজ্য সৃষ্টি হতো।’ [আলমুওয়াফাকাত]
শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলবি (রহ) বলেন, ‘ঠিক যেভাবে কোন সুন্নাহর উপর ইজমা হয়ে গেলে তাঁর উপর আমল ওয়াজিব হয়ে যায়, ঠিক সেভাবে কোন বিষয়ে আদেশ বা নিষেধ জারি করে এমন ওহিই সেই আদেশ নিষেধের উপর আনুগত্য বাধ্যতামূলক হওয়ার জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ। কারণ... এর ভিত্তিতেই (আল্লাহর) অনুগতদের পুরস্কৃত করা হবে, অবাধ্যদের লাঞ্ছিত করা হবে... সুন্নাহ এটাও আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক করে যে, হাদিসের সনদ নিশ্চিত হলে, কোন হুকুম নুসুসের দ্বারা প্রমাণিত হলে আমাদের জন্য বৈধ না এসকল মাকাসিদের উপর নির্ভর করা।’ [হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ]
- গরমে কেন বাড়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি?
- এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখবেন যেভাবে
- ছুটির দুপুরে পাতে রাখুন ‘আনারস মুরগি’
- ৯৫ লাখ টাকায় কষ্টিপাথর কিনে প্রতারিত, ক্ষুব্ধ হয়ে ভায়রাকে অপহরণ
- বিচারকাজ পরিচলনায় আপিল বিভাগে দুই বেঞ্চ
- পেঁয়াজ রপ্তানি থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ভারত
- গাম্বিয়ার কৃষি খাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির বিষয়ে আলোচনা
- কোক স্টুডিও বাংলা’র নতুন গান ‘মা লো মা’
- আড়াই মাস পর দেশে এসেছে ৮ বাংলাদেশির লাশ, নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন
- মাদারীপুরে চোরাই ইজিবাইকসহ গ্রেপ্তার ২
- দাবদাহে উত্তপ্ত হয়ে বিটুমিন গলে যাওয়া সড়কে দুদকের অভিযান
- সদর উপজেলার কেউ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না ইনশাল্লাহ
- মনপুরায় বঙ্গবন্ধুর চিন্তানিবাস পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন
- বিএনপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণার পরে দুধ দিয়ে গোসল, ভিডিও ভাইরাল
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সভা
- বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলগত ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
- বে টার্মিনাল প্রকল্পে গতি
- বস্তিবাসীর জন্য ৯ কুলিং জোন করবে ডিএনসিসি
- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- আমরা সবাই ‘বিচারক’: প্রধান বিচারপতি
- ইলিশের অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পেল বিজ্ঞানীরা
- গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা : ২৩ ঘণ্টাতেও শেষ হয়নি উদ্ধার অভিযান
- গাজায় ক্ষুধার্ত শিশুদের মাঝে বাংলাদেশিদের খাদ্য বিতরণ
- সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্রের
- সরকারীকরণ হচ্ছে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘর
- নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে
- বাংলাদেশিদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি বাড়াতে আগ্রহী রাশিয়া
- কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার
- যুবকদের আইসিটিতে দক্ষ করার উদ্যোগ, ফ্রিল্যান্সিংয়ে গুরুত্ব
- কুয়েতে স্মার্ট এনআইডি সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন
- ভোলায় জেলা প্রশাসনের ঈদ সামগ্রী পেল ৩০ পরিবার
- ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
- দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সচেতনতা ও সামর্থ্য বাড়াতে হবে
- ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- ভোলায় শপথ নিলেন তিন ইউপি চেয়ারম্যান
- পরিবর্তন হলো ২৪৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- লিটনের সমস্যাটা মানসিক, এখান থেকে বের হতে হবে: সুজন
- বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকা টোল আদায়
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস
- টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা
- ভোলায় কোস্ট গার্ডের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ
- শাওয়ালের ছয় রোজা কি ধারাবাহিকভাবে রাখা জরুরি?