• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

দীর্ঘদিন সংস্পর্শ এড়িয়ে চললে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২০  

দীর্ঘদিন সংস্পর্শ এড়িয়ে চললে অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেছেন, ‘করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অর্থনৈতিক অনিরাপত্তা অনেকের মনের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে। যা অনেকেরই নিয়মিত ঘুমকে ব্যাহত করছে। এই মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এটা আমাদের মন ও শরীর দুটোই ভালো রাখবে।’

‘করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর, একই সাথে কষ্টকর ব্যবস্থাপনাটা হলো শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বা একে অপরের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। ইতিবাচক স্পর্শ আমাদের শরীরে ডোপামিন, সেরোটোনিক, অক্সিটোসিন নামের হরমোন নিঃসরণ বাড়ায় এবং কটিসল নিঃসরণ কমায়। যার ফলে ইতিবাচক অনুভূতির সৃষ্টি হয়, যেমন অনুপ্রেরণা, সন্তুষ্টি, নিরাপত্তা, মানসিক চাপ মুক্তি ইত্যাদি। দীর্ঘদিন সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার বিষয়টি মানুষের মনে মানসিক দূরত্ব তৈরি করতে পারে, শিশুর সম্মিলিত বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি করতে পারে।’

শনিবার (৪ জুলাই) দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে বলতে গিয়ে এ তথ্য জানান অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

এ সময়ে করণীয় তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই সময় বাড়ির শিশু ও বয়স্কদের বিশেষভাবে যত্ন নিন। মনে রাখবেন, যেকোনো দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বিপদাপন্ন এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। বয়স্ক মানুষ হঠাৎ শিশুর মতো অবুঝ হয়ে উঠতে পারে। শিশুরা খিটখিটে বা অস্থির হয়ে উঠতে পারে। তাদের প্রতি সংবেদনশীল হোন। বিশেষ করে তাদের সামনে কোনো রকম ঝগড়া বা সহিংসতা প্রদর্শন করবেন না।’

‘সংসারে নারীর প্রতি যত্নবান হোন। বেশিরভাগ সংসারেই নারী প্রাথমিক ও একমাত্র সেবাদানকারী। যেকোনো সংকটে তার কাজের চাপ ও মানসিক চাপ বহুগুণ বেড়ে যায়। তাছাড়া নারী নিয়মিত মাসিক-পূর্ব বিষণ্নতা, প্রসবোত্তর বিষণ্নতা, পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীদের পোস্ট ম্যানুপোজার উপসর্গ বা বিষণ্নতা। হরমনের ভারসাম্যহীনতা বা ইত্যাদি বিষয় বিশেষ মনোযোগের দাবি রাখে। তাদের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিন। সংবেদনশীল আচরণ করুন এবং সহযোগিতা করুন। নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা পরিহার করুন’, যোগ করেন নাসিমা সুলতানা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত এ মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘বাগান করা, পোষা পশুপাখিকে আদর-যত্ন করলেও ভালো অনুভূত হয়। যারা একা থাকেন তাদের জন্য নিয়মিত ঘুম ও শরীর চর্চা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা, ভার্চুয়ালি সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা, সুস্থ বিনোদন যেমন নাচ-গান-সিনেমা দেখা, ছবি আঁকা, বাগান করা, এমন কি রান্না করাও ইত্যাদি কর্মকাণ্ড মানসিক চাপ কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে।’