• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী

সিঁদুর খেলা হচ্ছে না, স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২০  

দেবী দুর্গা পৃথিবীতে নেমে এসেছিলেন ভক্তদের কষ্ট দূর করতে। সোমবার (২৬ অক্টোবর)  বিজয়া দশমীর দিন আবারও মর্ত্যলোক ছেড়ে স্বর্গলোকে প্রস্থান করবেন দেবী। অগণিত ভক্তের মনে  আজ তাই বিদায়ের বিষাদ। দেবীর বিদায়ের কষ্ট ভুলে থাকতে এবং হাসিমুখে বিদায় জানানোর জন্য দশমীর ভক্তরা মত্ত হয়ে থাকেন সিঁদুর খেলায়। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার সিঁদুর খেলা হচ্ছে না। শুধু রীতি অনুযায়ী ‘সিঁদুর বরণ’ হবে। আর স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী করতে হবে প্রতিমা বিসর্জন। এক্ষেত্রে শোভাযাত্রা করা যাবে না। 

দুর্গা পূজায় সবশেষ রীতিটি হচ্ছে ‘দেবী বরণ’। এটি শুরু হয় বিবাহিত নারীদের সিঁদুর খেলার মাধ্যমে। বিবাহিত নারীরা সিঁদুর, পান ও মিষ্টি নিয়ে দুর্গা মাকে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর একে-অপরকে সিঁদুর মাখিয়ে দেন। তারা এই সিঁদুর মাখিয়ে দুর্গা মাকে বিদায় জানান। দুর্গাকে নিয়ে যাওয়ার আগে সিঁথিতে সিঁদুর মাখানোর পর আঙুলে লেগে থাকা বাকি সিঁদুরটুকু তারা একে-অপরের মুখে মাখেন। এই সিঁদুর মাখার রীতি অনেক সময় দশমী ঘরে পালন করা হলেও অনেকে আবার নিজেদের ঘরেই খেলে থাকেন। মুখ রঙিন করে হাসিমুখে মাকে বিদায় জানানোর জন্যই এই সিঁদুর খেলা। তাই মাকে বিসর্জনের আগ পর্যন্ত তারা একে অপরকে সিঁদুর লাগিয়ে মিষ্টিমুখ করেন, নাচ, গান করেন, যেন সারাটা বছর এমন আনন্দেই কাটে।

রীতি অনুযায়ী সধবা নারীর স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন নারীরা নিজ কপালে সিঁদুর লাগান এবং সেই সিঁদুরের কিছু অংশ দিয়ে দেবীর চরণ স্পর্শ করে থাকেন। তারপর সবাই মিলে একে অপরকে সিঁদুর মাখেন। ‘দুর্গা আগামী বছর আবারও সঙ্গে করে শাঁখা সিঁদুর সঙ্গে নিয়ে আসবেন এবং সেই শাঁখা সিঁদুর ধারণ করেই স্বামীর মঙ্গল হবে’— এই বিশ্বাসে ভক্তরা সিঁদুর নিয়ে দশমী উদযাপন করেন। এই উৎসবের নামই সিঁদুর খেলা। এই সিঁদুর খেলা বিবাহিত নারীর জন্য সীমাবদ্ধ থাকলেও সবাই মণ্ডপে ভিড় করেন নেচে গেয়ে এতে অংশ নেন। অবিবাহিতরা গালে আর হাতে মাখেন সিঁদুর। লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পরে সিঁদুর খেলায় মত্ত হন তারা। এ বছর ভক্তদের কষ্ট দূর করতে দেবী দুর্গা এসেছেন দোলায় এবং বিদায় নেবেন গজে চড়ে। বিজয়া দশমী দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানোর দিন। এই দিনটি শেষ হয় মহাআরতির মাধ্যমে। এর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

এ প্রসঙ্গে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি কিশোর রঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘সিঁদুর খেলা এবার হচ্ছে না।  আমরা তো সব ধরনের আনন্দ উৎসব আগেই বর্জন করেছি। এবার সিঁদুর বরণ হবে। নারীরা মায়ের পায়ে সিঁদুর লাগিয়ে বাকিটা নিজেদের কপালে স্পর্শ করবেন, শুধু এইটুকু হবে। সিঁদুর খেলা হবে না।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী এবার দুর্গা পুজায় শোভাযাত্রার মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জন হবে না। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের  নির্দেশনার আলোকে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা সারাদেশে পূজা উদযাপন কমিটির কাছে পাঠিয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, বিসর্জনের জন্য একটি ট্রাকে একসঙ্গে অনেক মানুষ গেলেও এবার একটি ট্রাকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য শুধুমাত্র ১০ জন যেতে পারবেন। এর বাইরে অতিরিক্ত কেউ প্রতিমা বিসর্জনের জন্য যাবেন না।  মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি মণ্ডপ থেকে সরাসরি স্ব স্ব বিসর্জন ঘাটে গিয়ে বিসর্জন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির পক্ষ থেকে মনিটরিং সেল করা হয়েছে, যারা সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখবেন। বিসর্জনের সবচেয়ে বড় জায়গা হচ্ছে সদরঘাটের ওয়াইজ ঘাট এলাকা। এছাড়া বালু, তুরাগ নদ, মোহাম্মদপুরে বসিলা ব্রিজের কাছে  ও ফরাশগঞ্জে বিসর্জন হয়ে থাকে।   

এই প্রসঙ্গে কিশোর রঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘আমরা মহানগর কমিটির পক্ষ থেকে বিসর্জনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। সেই অনুযায়ী নিজ নিজ ঘাটে বিসর্জন হবে। বিসর্জনের সময় প্রতিবার শোভাযাত্রা হয়, এবার তা হচ্ছে না।’