• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

চরফ্যাসন-মনপুরায় উন্নয়নে উপমন্ত্রী জ্যাকব এর বাজিমাত

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০১৮  



ভোলার উন্নয়নে তারুণ্যের প্রতীক ১০ম সংসদের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য ও সরকারের উপমন্ত্রী নিযুক্ত হয়ে ভোলায় ব্যাপক উন্নয়ন করে বাংলাদেশে ইতিহাস গড়েছেন। জনপ্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বাজিমাত দ্বীপজেলা ভোলার সর্বদক্ষিণে প্রকিৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চরফ্যাসন-মনপুরা। এই জনপদের প্রাণ পুরুষ অধ্যক্ষ এম. এম. নজরুল ইসলাম। এ অঞ্চলের শিক্ষা, সাংস্কৃতি, সাংবাদিকতা ও সমাজ বিনির্মাণে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। দলমত মত নির্বিশেষে অধ্যক্ষ নজরুল ছিলেন সকলের প্রিয় নেতা। তাই এ অঞ্চল থেকে দুু’ই বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে চরফ্যাসন মনপুরার উন্নয়ন এবং বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক, অঙ্গণে গুরুত্বপূর্ণ আবদান রাখেন।

১৯৯২ সালে ১৭ই সেপ্টেম্বর তাঁর মহাপ্রায়াণে চরফ্যাসন পুরটাই রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে নের্তৃত্বশূণ্যতা সৃষ্টি হয়। অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম মৃত্যুর ১৬ বছর পর তাঁর সুযোগ্য সন্তান আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ২০০৮সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসাবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নির্বাচিত হয়ে নির্বাচনী এলাকায় নিরলসভাবে শান্তি, সপ্রীতি ও স্থানীয় উন্নয়ন কাজ করেন। ২০১৪ সালে পুনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন। চরফ্যাসন মনপুরা মাটি ও মানুষের সন্তান হিসাবে জ্যাকব এমপি হয়ে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছেন। আওয়ামী লীগের সরকারে ১০ বছরে তাঁর নেতৃত্বে নির্বাচনী এলাকায় অভূতপূর্ব এবং বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে। এমনি পর্যটন এলাকা হিসাবে দৃষ্টান্তমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন।
চরফ্যাসন-মনপুরাকে নদীভাঙ্গন থেকে রক্ষা করেছেন। দুলারহাট, শশীভূষণ ও দক্ষিণ আইচায় নতুন তিনটি থানা ও ৮টি নতুন ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করেছেন। প্রায় ১ হাজার কি.মি পাকা রাস্তা ও ২ শতাধিক ব্রীজ-কালভাট নির্মাণের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন এই জনপদে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমল পরিবর্তন এনেছেন। দেশের একমাত্র উপজেলা হিসেবে চরফ্যাসনে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত স্থাপন করেছেন।
এছাড়াও যুগ্ন জেলা জজ আদালত, সিনিয়র সহকারি জজ আদালত, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্থাপনের মাধ্যমে আগামীদিনের বড় স্বপ্ন বাস্তাবায়নের পথে চরফ্যাসন ও মনপুরাকে একধাপ এগিয়ে রেখেছেন। চরফ্যাসন ও মনপুরায় ২টি কলেজ, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ ছাড়াও নতুন ৫টি কলেজ স্থাপন এবং দুই শতাধিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় নতুন দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করে শিক্ষাক্ষেত্রে নজরকাড়া উন্নয়ন নিশ্চিত করেছেন।
চরফ্যাসন পৌরসভাকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত করেছেন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ দ্বীপ কুকরী-মুকরীকে ঘিরে পর্যটনের নতুন দিগন্ত ‘বাংলার বালিদ্বীপ’ গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চরফ্যাসন-মনপুরাকে মনের মতো করে সাজিয়েছেন উপমন্ত্রী জ্যাকব, যে উন্নয়ন দেখার জন্য রাজধানী ঢাকাসহ দেশ-বিদেশের মানুষ এই উপকূলীয় জনপদে ছুটে আসছেন।
উপমহাদেশের আইকনিক জ্যাকব টাওয়ার 
দ্বীপজেলা ভোলার চরফ্যাসনে নির্মিত হয়েছে আইকনিক জ্যাকব টাওয়ার। উপমহাদেশের সর্বোচ্চ এই ওয়াচ টাওয়ারটি ইতিমধ্যেই বাংলার আইফেল টাওয়ার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর উদ্যোগে নির্মিত এই জ্যাকব টাওয়ার গত ২৪ জানুয়ারী উদ্বোধন করেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ । উদ্বোধন পরবর্তী সুধি সমাবেশে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেছেন এই টাওয়ার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ ঃ                                                                      বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ দ্বীপ কুকরী-মুকরী। দেশের মানব সৃষ্ট সুন্দরবনও এই কুকরী-মুকরীতে বিস্তৃত। দিগন্ত বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বাগান ছাড়াও এখানে রয়েছে বন্যপ্রাণির অভয়াশ্রম, সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়া দীর্ঘ সৈকত এবং সর্পিল পানির লেক। প্রাকৃতিক নৈসর্গের এই কুকরী-মুকরীকে কেন্দ্র করে মনপুরার কালকিনি, ঢালচরের তারুয়া, সাগর মোহনার শিবচরকে পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন সমৃদ্ধ বালির মতোই ‘বাংলার বালিদ্বীপ’ গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছেন আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ২৪ জানুয়ারী চর কুকরী-মুকরী পর্যটন কেন্দ্র ও ইকোপার্কের উদ্বোধন করেছেন। কুইন আইন্যান্ড অব বাংলাদেশ খ্যাত কুকরী-মুকরীতে পর্যটকদের জন্য অত্যাধুনিক মানের রেষ্টহাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেষ্টহাউজে ১৮টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ, সুইমিংপুল, টেনিসকোর্ট, সভাকক্ষ এবং হেলিপ্যাড সুবিধা সংযুক্ত আছে।

শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্কঃ                                                                                চরফ্যাসন পৌর সদরের জ্যাকব টাওয়ার ও ফ্যাশন স্কয়ারের পাশেই নির্মিত হয়েছে শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শিশু পার্কে রয়েছে মজার মজার রাইড। পার্কের ভেতরে রয়েছে চারদিকে পাকাবধানো পুকুর ও পায়ে হাটার পথ। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী শিশু পার্কে ভীর করছে।

চরফ্যাসন উপজেলায় নতুন ৩টি থানা স্থাপনঃ
এ সময়ে চরফ্যাসন দেশের একমাত্র উপজেলা যা ৪টি থানার সমন্বয়ে গঠিত। আয়তন ও জনসংখ্যা বিবেচনায় দেশের ১৮টি জেলার তুলনায় বড় এই উপজেলায় দক্ষিণ আইচা, শশীভূষণ ও দুলারহাট –এই তিনিটি নতুন থানা স্থাপন ও থানা সমূহের দৃষ্টিনন্দন নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির চেষ্টায় মহাজোট সরকারের গত ১০ বছরে। এছাড়াও এখানে ৮টি নতুন ইউনিয়ন গঠন ও পরিষদ ভবন নির্মাণ এবং ২টি নতুন সাব রেজিষ্ট্রি অফিস স্থাপন ও ৪টি সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ৪ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

ভোলা নদীভাঙ্গন রোধঃ
মেঘনা-তেতুলিয়ার ভাঙ্গন প্রবণ তীরকে বিনোদনের স্বর্গভূমিতে পরিনত করেছেন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি। মহাজোট সরকারের দশ বছরে মেঘনা-তেতুলিয়ার ভাঙ্গনরোধে প্রায় ১২শ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মাধমে চরফ্যাসন ও মনপুরার বিশাল জনপদ মেঘনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেয়েছে।

বাংলাদেশে চরফ্যাসনই একমাত্র উপজেলাঃ
চরফ্যাসনই দেশের একমাত্র উপজেলা, যেখানে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত স্থাপন করা হয়েছে। চরফ্যাসন দেশের দ্বিতীয় উপজেলা যেখানে যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালত স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া গত ১০ বছরে উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির চেষ্টায় ভোলা জেলা সদর থেকে সিনিয়র সহকারি জজ আদালত ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সমূহ চরফ্যাসন ও মনপুরা উপজেলা সদরে স্থানান্তর করা হয়েছে। দূর্গম ও দূরবর্তী এই উপজেলায় আদালতের কার্যক্রম চালু করায় মামলা পরিচালনায় সাধারণ মানুষের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়েছে।