• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

প্রকৃতি থেকে কমে যাচ্ছে ‘ডাহুক’

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯  

আবাসস্থল ধ্বংসের কারণেই প্রকৃতি থেকে কমে যাচ্ছে ডাহুক। গ্রামবাংলার জলাভূমিতে আগের মতো চোখে পড়ে না। প্রাকৃতিক জলাভূমি এদের প্রধান আশ্রয়স্থল। পুকুর, খাল, বিল, নদীর বাঁক প্রভৃতি জায়গাগুলো তাদের প্রিয়। শাপলা-পদ্মর ফাঁকে ফাঁকে দিব্যি দাঁড়িয়ে থাকতে বা লুকাতে পারে। কচুরিপানার উপর দৌড়ঝাপ দিতে পারে অনায়াশে। তবে বর্ষা মৌসুমে তুলনামূলকভাবে বেশি ডাহুক দেখা যায়। পুরুষ এবং স্ত্রী পাখি দেখতে একই রকম। বন-বাদাড়ে বা জলাভূমিতে ঘুরে বেড়ানো গ্রামীণ এ পাখিটিকে নিয়ে লোকসাহিত্যে নানান রচনা রয়েছে। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন, রূপসী বাংলা’র কবি জীবনানন্দ দাশ প্রমুখ কবিরা তাদের লেখনিতে ডাহুকের কথা উল্লেখ করেছেন। এক সময় পোষা পুরুষ ডাহুক দিয়ে বুনো ডাহুক শিকার করা হতো। বেঁধে রাখা পোষা ডাহুকটি খোলা জায়গায় কোনো প্রাকৃতিক ডাহুককে দেখলে যখনি তেড়ে আসে তখনি শিকারীর ফাঁদে আটকা পড়ে যায়। প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ও লেখক শরীফ খান বলেন, ‘ডাহুক কমে যাওয়ার মূল কারণ তাদের আবাসস্থল অর্থাৎ তারা যেখানে বসবাস করে সেটা ধ্বংস হওয়া। আমাদের চারপাশ থেকে তো প্রাকৃতিক জলাভূমিসহ ঝোপঝাড় ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। তাই এগুলোর উপর আশ্রয় করে থাকা পাখিগুলোর অস্তিত্ব হুমকির মুখে। এককালে গ্রামবাংলায় পোষা ডাহুক যেমন তেমনি বুনো ডাহুকও ছিলো। ওরা বাসা বেঁধে ডিম পাড়ার পর বেশি ডাকতো। রাতভর একটানা ডাকতে শুনা যায়। এ ডাক শুনলে মনে হয় ওরা যেন ব্যথা বা কষ্ট থেকে ডাকছে। আসলে তা নয়; এ ডাক মনের আনন্দের বর্হিপ্রকাশ।’  এর স্বভাব ও শারীরিক বর্ণনা সম্পর্কে শরীফ খান বলেন, ডাহুক চতুর ও সতর্ক প্রকৃতির পাখি। প্রচ- জোরে ছুটতে পারে বলে তাদের তুখোড় দৌড়বিদ বলা হয়। এদের দৈর্ঘ্য ৩২ সেন্টিমিটার। মাথা থেকে গলা পর্যন্ত সামনের দিকে সাদা রঙ এবং পেছনের দিকে কালো রঙের দৃশ্যমান ছাপ রয়েছে। হলদে ঠোঁটের গোড়ায় লাল রঙের সৌন্দর্য রয়েছে। জলজউদ্ভিদের ডগা, ধান, নানান ধরণের শস্যবীজ, জলজ পোকা-মাকড়, শ্যাওলাও এদের খাদ্য বলে জানান পাখি বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা ডা. হিরন্বয় বিশ্বাস বলেন, শুধু ডাহুকই নয়, অরো অনেক পাখি রয়েছে যে গুলো প্রাকৃতিক সমস্যার জন্যে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। গনবসতি, গাছ কাটা, পাখি নিধন ইত্যাদির ফলে এ সকল পাখি দিন দিন বিলুপ্ত হচ্ছে।