• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা জনগণের শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি: শেখ হাসিনা আজ হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মে: গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইওএম মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা : প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের আস্থা অর্জন করেছে ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী

ঘাড় ব্যথার কারণ যখন সার্ভিক্যাল স্পন্ডোলাইসিস

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

জীবনে কখনো ঘাড়ের ব্যথা হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। ঘাড় ব্যথার খুব সাধারণ একটি কারণ সার্ভিক্যাল স্পন্ডোলাইসিস। আজ এই ঘাড় ব্যথার কারণ, প্রতিকার এবং প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা করব। 

সার্ভিক্যাল স্পন্ডোলাইসিস কী?

সার্ভিক্যাল স্পন্ডোলাইসিস (Cervical Spondylosis) হলে ঘাড়ের হাড়গুলোর মাঝের স্বাভাবিক ফাঁকগুলো কমে আসে। এই ফাঁকগুলো দিয়ে বের হয় স্নায়ু। এ কারণে হাড়ের ফাঁক কমে গেলে নার্ভের ওপর চাপ পড়ে এবং নার্ভ যেসব জায়গায় অনুভূতি বহন করে সেসব জায়গায় ব্যথা শুরু হয়। 

সার্ভিক্যাল স্পন্ডোলাইসিসের সবচে মারাত্মক দিক হলো যখন স্পাইনাল কর্ডের ওপর চাপ পড়ে। এটা থেকে হাতে দুর্বলতা অথবা ব্যথা হতে পারে। ঘাড় নাড়াতে গেলেও ব্যথা লাগে। প্রাথমিকভাবে ডানে, বামে ঘাড় ঘোরাতে কষ্ট হয়। মনে হয় ঘাড় জ্যাম হয়ে আছে। ব্যথার সাথে হাতে, বাহুতে ঝিন-ঝিন, সির-সির, অবশভাব, সূচ ফোটানোর অনুভুতি হয়। সেই সাথে যোগ হয় হাত দিয়ে কাজ করতে অসুবিধা।

ঘাড় ব্যথার অন্যান্য কারণ : 

১। কম্পিউটার অথবা মোবাইল ব্যবহারের সময় ঘাড়ের অস্বাভাবিক অবস্থান
২। টেলিভিশন দেখার সময় 
৩। খেলাধুলা বা শখের কাজের সময় 
৪। শোয়ার সময় বালিশের ভুল ব্যবহার 
৫। অনেক সময় ঘাড়ে আঘাত পেলে, মাংসপেশি হঠাৎ ছিঁড়ে গেলে বা মচকে গেলে 
৬। স্পনডাইলোসিস 
৭। ঘাড়ের হাড়ের বা ডিস্কের সমস্যা 
৮। স্পাইনাল ক্যানেল স্টেনোসিস 
৯। ঘাড়ে আঘাত বা ট্রমা, মাংসপেশির আংশিক বা সম্পূর্ণ ছিঁড়ে গেলে 
১০। সারভাইকাল রিব, নিউরাইটিস
১১। বোন টি-বি
১২। টেনশন/স্ট্রেচ 

চিকিৎসা : 

● ব্যথা বেড়ে গেলে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ গ্রহণ করুন। অনেক ক্ষেত্রে ইলেকট্রোথেরাপি, ম্যানুয়াল থেরাপির সাহায্যে ব্যথা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।

● নিয়মিত ঘাড়ের ব্যায়াম করা প্রয়োজন। ঘাড়ের কিছু ব্যায়াম আছে, যেমন- হেড রোটেশান অর্থাৎ মাথা একবার ডান দিক থেকে বাম দিক এবং আবার বাম দিক থেকে ডান দিকে ঘোরাতে হবে।

● কম্পিউটার এ কাজ করার সময় সঠিক ভঙ্গিতে বসতে হবে। পিঠ চেয়ারে লাগিয়ে সোজা হয়ে (পিছনে একটা ছোটো বালিশ/কুশনের ব্যবহার)। চোখের মণির থেকে কম উচ্চতায় যেন কম্পিউটারের পর্দার ওপর দিকটা থাকে। মোটামুটি এক হাত বা আঠারো ইঞ্চি দূরে বসা উচিত। আধ ঘণ্টা পর পর এক মিনিটের জন্য উঠে দাঁড়াতে হবে।

● ঘুমানোর সময় শুধু একটা বালিশ নিয়ে ঘুমাতে হবে। ঘুমানোর সময় ঘুমনোর ভঙ্গি ঠিক হওয়া উচিত। উপুড় হয়ে নয়, চিত অথবা কাত হয়ে শুতে হবে। সাধারণত অনেকে খুব উঁচু বালিশে মাথা রেখে ঘুমোন। অনেকে আবার খুব পাতলা বালিশ ব্যবহার করেন। কেউ রাতে টিভি দেখতে দেখতে সোফাতেই বাঁকা হয়ে শুয়ে পড়েন। এসব থেকে বিরত থাকতে হবে।