• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা

লোক দেখানো ইবাদতের রয়েছে ভয়ংকর পরিণতি

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২১  

যে কোনো আমল আল্লাহর কাছে কবুল হওয়ার জন্য রিয়া বা লৌকিকতামুক্ত থাকতে হবে। কোরআন হাদিসের নির্দেশিত নিয়মে হতে হবে। মানুষকে দেখানো বা অন্য কোনো দুনিয়াবি স্বার্থের জন্য হতে পারবে না। কেননা যে ব্যক্তি লোক দেখানোর জন্য ইবাদত করবে, সে ছোট শিরক (অংশীদারি) করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হবে। তার সব আমল বরবাদ হয়ে যাবে। তাই সেটা বড় আমল হোক বা ছোট আমল হোক। যেমন লোক দেখানো নামাজ, লোক দেখানো দান।

কোরআনে আল্লাহ এ সম্পর্কে বলেন, নিশ্চয় মুনাফিকরা আল্লাহর সঙ্গে প্রতারণা করে। আর তিনি তাদের সঙ্গে (সেটার জবাবে) কৌশল অবলম্বনকারী। আর যখন তারা নামাজে দাঁড়ায় তখন আলস্যভরে দাঁড়ায়। তারা লোকদের দেখায় যে তারা নামাজ আদায় করছে। তবে আল্লাহকে তারা কমই স্মরণ করে। - সুরা আন নিসা, আয়াত ১৪২। 

আমাদের সমাজে অনেক লোক এমন আছে যারা লোক দেখানোর জন্য আমল বা কাজ করে। তার কথা সবার মুখে ছড়িয়ে পড়ুক এ প্রত্যাশা করে। লোকেরা শুনে বাহবা দিক এ কামনা করে। বাস্তবে যদি কেউ এসকল নিয়তে আমল বা কাজ করে তবে সে শিরক তথা আল্লাহর সঙ্গে অংশীদারিত্বে নিপতিত হবে। এরূপ বাসনাকারী সম্পর্কে হাদিসে কঠোর ভাষা উচ্চারণ করা হয়েছে।

ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মানুষকে শুনানোর জন্য কাজ করে আল্লাহ তার বদলে তাকে (কিয়ামতের দিন) শুনিয়ে দিবেন। আর যে লোক দেখানোর জন্য কাজ করে আল্লাহ তার বদলে তাকে (কিয়ামতের দিন) দেখিয়ে দিবেন। - বুখারি,হাদিস নং ৬৪৯৯।

অর্থাৎ তিনি এসব লোককে কিয়ামতের দিন মানুষের সামনে অপমানিত করবেন এবং কঠোর শাস্তি দিবেন। তার কোন আমল বা কাজ কবুল করবেন না। এমনকি যদি কেউ আল্লাহ ও মানুষ উভয়ের সন্তুষ্টিকল্পে ইবাদত করে তার আমলও বরবাদ হয়ে যাবে। এ সম্পর্কে হাদিসে কুদসীতে এসেছে,আল্লাহ বলেন, আমি অংশীবাদীতা (শিরক) থেকে সকল অংশীদারের তুলনায় বেশি মুখাপেক্ষীহীন। যে কেউ কোনো আমল করে এবং তাতে অন্য কাউকে আমার সঙ্গে শরীক করে, আমি তাকে ও তার আমল উভয়কেই বর্জন করি। - মুসলিম, হাদিস নং ২৯৮৫। 

তবে যদি কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে কোনো আমল শুরু করার পর তার মধ্যে লোক দেখানো ভাব জাগ্রত হয় এবং সে তা ঘৃণা করে, সেখান থেকে সরে আসতে চেষ্টা করে, তাহলে তার ঐ আমল পরিশুদ্ধ হবে। তবে যদি সে তা না করে; বরং লোক দেখানো ভাব মনে উদয় হওয়ার পর প্রশান্তি ও আনন্দ অনুভব করে, তাহলে অধিকাংশ আলেমের মতে তার ঐ সব আমল বাতিল হয়ে যাবে। আল্লাহ সবাইকে এর থেকে হেফাজত করুক। আমিন।