• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর আমাকে সরিয়ে তারা কাকে আনবে? যে ২৫ জেলায় আজ স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে নিজের ঘর সামলাতে বললেন শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী ডিক্টেটর মিলিটারির পকেট থেকে বের হয়নি আওয়ামী লীগ দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

কবর দেখলেই যে দোয়া পড়া জরুরি

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০১৯  

মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাদের আমলনামা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ৩ শ্রেণির ব্যক্তি মারা গেলেও তাদের আমল জারি থাকে। যারা দুনিয়ার জীবনে সাদকায়ে জারিয়া, উপকারি ইলম এবং নেক সন্তান রেখে যান। কেননা যতদিন পর্যন্ত মানুষের সাদকার কর্মকাণ্ড জারি থাকে, উপকারি ইলমের চর্চা থাকে কিংবা রেখে যাওয়অ নেক সন্তান দোয়া বা ভালো কাজ করে থাকে, ততদিন এসবের সাওয়াবও মৃত ব্যক্তির আমলনামায় যোগ হতে থাকে।

এ কারণে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত ব্যক্তির প্রতি সাওয়াব পাঠানোর আবেদনস্বরূপ সাহাবাদের কিছু দোয়া শিখিয়েছেন, যা তারা কবর জিয়ারতের সময় পড়তেন। হাদিসে এসেছে-

হজরত বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে এ দোয়া শিক্ষা দিতেন, যখন তারা কবর যিয়ারাতে বের হতেন-

اَلسَّلاَمُ عَلَيْ أَهْلِ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَ الْمُسْلِمِيْنَ وَ يَرْحَمُ اللهُ الْمُسْتَقْدِمِيْنَ وَ الْمُسْتَأْخِرِيْنَ وَ اِنَّا اِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَلَاحِقُوْنَ
উচ্চারণ : আস্সালামু আলা আহলিদদিয়ারি মিনাল মুমিনিনা ওয়াল মুসলিমিনা ওয়া ইয়ারহামুল্লাহুল মুসতাক্বদিমিনা ওয়াল মুসতাখিরিনা ওয়া ইন্না ইন শাআল্লাহু বিকুম লালাহিকুন।’ (মুসলিম, মিশকাত)

অর্থ : মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমাদের মধ্য থেকে যারা আগে (মারা) গেছেন এবং যারা পরে (মৃত্যুবরণ করবেন) যাবেন, তাদের ওপরও আল্লাহ দয়া করুন। আল্লাহর ইচ্ছায়, আমরাও শীঘ্রই তোমাদের সঙ্গে মিলিত হবো।

اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَ الْمُسْلِمِيْنَ وَ اِنَّا اِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَلَاحِقُوْنَ نَسْأَلُ اللهَ لَنَا وَ لَكُمُ الْعَافِيْةَ
উচ্চারণ : ‘আস্সালামু আলা আহলাদদিয়ারি মিনাল মুমিনিনা ওয়ালমুসলিমিনা ওয়া ইন্না ইন শাআল্লাহু বিকুম লালাহিকুনা নাসআলুল্লাহা লানা ওয়া লাকুমুল আ’ফিয়াতা।’ (মুসলিম, মিশকাত)

অর্থ : ‘মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহর ইচ্ছায়, নিশ্চয়ই আমরাও শীঘ্রই তোমাদের সঙ্গে মিলিত হবো। আমরা তোমাদের জন্য এবং আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি।’

উল্লেখ্য যে, নিন্মোক্ত দোয়াটি বহুল প্রচলিত। হাদিসের সনদের ব্যাপারে অনেকেই এটিকে দুর্বল বলেছেন। আর তাহলো-
اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا اَهُلَ الْقُبُوْرِ يَغْفِرُ اللهُ لَنَا وَلَكُمْ اَنْتُمْ سَلَفُنَا وَ نَحْنُ بِالْاَثَرِ
উচ্চারণ : ‘আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুরি ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম; আংতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিলআছারি।’

অর্থ : ‘হে কবরবাসী! তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। তোমরা আমাদের অগ্রগামী আমরা তোমাদের অনুগামী।’

কবরবাসীর জন্য এ দোয়া শুধু কবরবাসীর জন্যই নয়, বরং এ দোয়া নিজেদের জন্য রয়েছে দোয়া। যদি কোনো ব্যক্তির এ দোয়া কবুল হয়ে যায়, তবে এ থেকে উপকারিতা লাভ করবে উভয়ে।

সুতরাং কবরের কথা স্মরণ হলে কিংবা কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এ দোয়া করার মুসলিম উম্মাহর জন্য জরুরি। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিজের এবং মৃত ব্যক্তির কল্যাণ কামনায় উল্লেখিত দোয়াগুলো পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।