চরের বুকে ‘জোছনা উৎসব’
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯
শুভসন্ধ্যার ত্রিমোহনা থেকে ফিরে: ‘‘কোদালে মেঘের মউজ উঠেছে গগনের নীল গাঙে/ হাবুডুবু খায় তারা-বুদবুদ, জোছনা সোনায় রাঙে/ তৃতীয়া চাঁদের ‘সাম্পানে’ চড়ি’ চলিছে আকাশ-প্রিয়া/ আকাশ-দরিয়া উতলা হ’ল গো পুতলায় বুকে নিয়া/ তৃতীয়া চাঁদের বাকী ‘তের কলা’ আব্ছা কালোতে আঁকা/ নীলিমা-প্রিয়ার নীলা ‘গুল রুখ’ অবগুণ্ঠনে ঢাকা।’’
কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘চাঁদনী-রাতে’ কবিতাটিতে জোছনা উৎসবের কেমন যেন মিল রয়েছে। চাঁদনি রাতের এ উৎসবে না আসলে সেটি আসলে উপলব্ধি করা যাবে না। তাই তো ভ্রমণপিয়াসী চাঁদনি রাতে ছুটাছুটিতে যারা মুগ্ধ হন তাদের জন্যই জোছনা উৎসব।
বরগুনায় দেশের সর্ববৃহৎ জোছনা উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর)। আগে ১৩ নভেম্বর উৎসবের দিন ঠিক থাকলেও ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে তা পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর নির্ধারণ করে জেলা প্রশাসন। পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাময় বরগুনার নয়নাভিরাম সৌন্দর্যকে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে এ উৎসবে থাকছে নানা আয়োজন।
এ বছরও বরগুনার পায়রা, বিষখালী ও বলেশ্বর নদী যেখানে সাগরে মিশেছে, সেখানেই নবগঠিত তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের স্নিগ্ধ বেলাভূমি শুভসন্ধ্যার বিস্তীর্ণ বালুচরে পঞ্চম জোছনা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। ১২ ডিসেম্বরের ভরা পূর্ণিমায় এখানেই জলজোছনায় একাকার হবে জোছনাবিলাসী হাজারও মানুষ। রয়েছে নয়নাভিরাম স্নিগ্ধ বনভূমি আশারচর, লালদিয়ারচর, হরিণঘাটার বন, বলেশ্বর নদের বিহঙ্গদ্বীপ, টেংড়াগিরির বনভূমি এবং শুভসন্ধ্যার বিচ পয়েন্টসহ অনেক আকর্ষণীয় বনবনানী ও নদনদীর মোহনা। এসব বনাঞ্চলে রয়েছে হরিণ, বানর, শূকরসহ শত প্রজাতির প্রাণী বৈচিত্র্য।
এছাড়া বরগুনা জেলা থেকে নৌপথে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ও বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনের অভয়ারণ্যের দূরত্ব মাত্র পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার। এর মধ্যে রয়েছে অনেক আকর্ষণীয় বনবনানী ও নদ-নদীর মোহনা। দেখা যাবে সূর্যাস্ত, পাখির কলরব আরও কত কি!
জোছনা উৎসবকে ঘিরে ইতোমধ্যেই শুভ সন্ধ্যা সৈকতে বাহারি পণ্যের পসরা সাজানোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বরগুনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুভ সন্ধ্যা বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ।
১২ ডিসেম্বর বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নদনদীর মোহনা ও শীতের হিম হাওয়ার কথা ভাবনায় রেখে এ উৎসবে ১০ বছরের কমবয়সী শিশুদের নিয়ে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। যেহেতু দীর্ঘসময় বালুচরে ঘোরাঘুরি করতে হবে, তাই বেলাভূমিতে নিজেদের মতো করে আড্ডা জমাতে হলে ভ্রমণের আগে প্রয়োজনীয় মাদুর, বিছানার চাদর, শীতের কাপড়, বিশুদ্ধ পানি, গামছা বা তোয়ালে, টিস্যু পেপার ও হালকা খাবার সঙ্গে আনতে পরামর্শ দিয়েছে আয়োজক কমিটি। যারা ডাক্তারি পরামর্শে নিয়মিত ওষুধ সেবন করেন তাদের অনুরোধ করা হয়েছে দরকারি সব ওষুধ সঙ্গে নেওয়ার জন্য।
আয়োজনক কমিটি জানায়, এবারের জোছনা উৎসবে বরগুনা থেকে চারটি দোতলা লঞ্চ সংযোজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুপুর দেড়টায় বরগুনা লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চটি ছেড়ে যাবে। খাগদন নদী হয়ে বাইনচটকীর স্নিগ্ধ বনভূমির পাশ দিয়ে কুমীরমারা আর গোড়াপদ্মার নয়নাভিরাম বনবনানীর কোল ঘেষে বিকেল ৫টার দিকে লঞ্চ পৌঁছাবে শুভসন্ধ্যার চরে। এরপর সেই স্নিগ্ধ বালুচরে শেষ বিকেলের ঘোরাঘুরির পর রাতভর জোছনার গান, রাখাইন নৃত্য, বাউল সঙ্গীত, মোহনীয় বাঁশির সুর, জাদু প্রদর্শনী, পুঁথিপাঠ এবং কবিতা আবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে জলজোছনায় অবগাহন হবে সবার।
জোছনা উৎসবের উদ্যোক্তা সোহেল হাফিজ বলেন, শহুরে সভ্যতায় আমরা পেয়েছি অনেক, সেই সঙ্গে হারানোর তালিকাও কম নয়। নাগরিক ব্যস্ততায় আমরা হারিয়েছি শ্রাবণের জলে সর্বাঙ্গ ভেজানোর সুযোগ। হারিয়েছি শরতের শিশিরে নগ্ন পায়ে হাঁটার সময়। হারিয়েছি রুপালি নদীতে হৈমন্তী পূর্ণিমায় জলজোছনায় অবগাহনের রোমাঞ্চকর অনুভূতি। সেসব হারানো সময়, সুযোগ আর স্মৃতির কথা ভেবেই বরগুনায় সূচনা হয়েছিল জোছনা উৎসবের।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, জোছনা উৎসব একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। এ উৎসবকে ঘিরে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে আমাদের পূর্বনির্ধারিত তারিখে উৎসব হয়নি। পরে ১২ ডিসেম্বর উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি সব স্তরের মানুষের মন কাড়বে অনন্য এই উৎসব।
- গরমে মাথা ঘোরা ও অজ্ঞান হওয়ার কারণ কী হতে পারে?
- এই গরমে চুল পড়া বন্ধ করতে
- আম মুরগির ঝোল
- কমলো পেঁয়াজের দাম
- জ্বালানি তেল খালাসে আসছে যুগান্তকারি পরিবর্তন
- মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী ডিবিতে
- ঝালকাঠিতে জমজমাট নির্বাচনী প্রচারণা
- ট্রেন সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানীর চাপ কমে আসবে: চিফ হুইপ
- মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত : কাদের
- রেকর্ড সংখ্যক হাজির সমাগমের প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি
- তীব্র গরমে মরে যাচ্ছে মুরগি, কমেছে ডিম ও মাংসের উৎপাদন
- এবার স্মার্টওয়াচেই পাবেন এআই ফিচার
- ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বিশ্রামে শাহরুখ, ফিরবেন কবে?
- যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না হামাস
- উজিরপুরে সরকারী তালিকাভুক্ত জেলেদের মাঝে উপকরণ বিতরণ
- নগরীর শেরে বাংলা সড়কের পুনঃনির্মাণ কাজের উদ্বোধন
- র্যাপিড পাসে পরিশোধ হবে সব গণপরিবহনের ভাড়া
- আরও পাঁচ হাসপাতালে পরমাণু চিকিৎসাসেবা
- খুলনায় লবণাক্ত জমিতে বছরজুড়েই ফলছে ফসল
- প্রবাসে এনআইডি করতে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে রঙিন ছবি
- লবণ-চিনি মিশিয়ে নকল ওরস্যালাইন বানাচ্ছিলেন তারা
- ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেন তারা
- অশোক রায় নন্দীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে রাজি মিশর
- শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা
- পরিবেশ সাংবাদিকতার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া হবে
- অর্থমন্ত্রী আইডিবির সভায় অংশগ্রহণ ও সৌদি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক
- ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের শঙ্কা, নদীবন্দরে হুঁশিয়ারি
- কাশ্মীরে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে জঙ্গি হামলা, নিহত ১
- ভোলায় জেলা প্রশাসনের ঈদ সামগ্রী পেল ৩০ পরিবার
- ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
- ভোলায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালিত
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- ভোলায় শপথ নিলেন তিন ইউপি চেয়ারম্যান
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- লিটনের সমস্যাটা মানসিক, এখান থেকে বের হতে হবে: সুজন
- বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকা টোল আদায়
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা
- ভোলায় কোস্ট গার্ডের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও ঔষধ সামগ্রী বিতরণ
- ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ইইউ
- শাওয়ালের ছয় রোজা কি ধারাবাহিকভাবে রাখা জরুরি?
- সদর উপজেলার কেউ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না ইনশাল্লাহ
- দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর মাছ শিকারে প্রস্তুত জেলেরা
- দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
- পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের প্রথম সাক্ষী হলো মেক্সিকো
- রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে