• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

অপরিপক্ক তরমুজে সয়লাব বাজার, বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৪  

সারাদেশের মতো রাজবাড়ী জেলা শহরের বিভিন্ন বাজারে তরমুজের আমদানি থাকলেও তার বেশিরভাগ পরিপক্ক নয়। কাটার পর ভেতরে লাল রং দেখা গেলেও এখনো মিষ্টি স্বাদ আসেনি পুরোপুরি। ফলে এসব অপরিপক্ক তরমুজ চড়া দামে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। এসব তরমুজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে। আবার পিস হিসেবে নিতে গেলে দাম চাওয়া হচ্ছে আকাশ ছোঁয়া। তাতে ‘স্বাদ নিতে’ বাধ্য হয়ে ক্রেতারা কেজি হিসেবেই তরমুজ কিনছেন।

তবে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি বন্ধের ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ চান। পিস হিসেবে তরমুজ কিনতে চান তারা।

খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, এখন মোকামে তরমুজের সরবরাহ কম, দাম বেশি। বরিশাল অঞ্চলের পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা ও ঝালকাঠিতে এবার প্রচুর তরমুজ হয়েছে। তবে এখনো মৌসুম পুরোপুরি শুরু না হওয়ায় সব এলাকার তরমুজ আসছে না। রমজান মাসে চাহিদা বেশি থাকায় এসব অপরিপক্ক তরমুজগুলোয় তাদের বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।

রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত ডিসেম্বর মাসে তরমুজের আবাদ শুরু হয়। মে মাসজুড়ে মাঠে তরমুজ থাকে। মে মাস হলো ভরা মৌসুম। পরিপক্ক তরমুজ উঠতে উঠতে চৈত্র মাস বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ হয়। কিন্তু চাষিরা দামের কারণে আগেভাগেই অপরিপক্ক তরমুজ তুলে বেশি লাভের আশায় বিক্রি শুরু করে দিয়েছে।

সরেজমিনে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বড় বাজার, শ্রিপুর বাজার, নতুন বাজার, গোয়ালন্দ উপজেলা, বালিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে তরমুজে সয়লাব। কিন্তু তার বেশিরভাগই অপরিপক্ক। কাটার পর দেখা যায় ভেতরে সাদা।বেশিরভাগ তরমুজের ওজন এখন সাড়ে ৩ কেজি থেকে ৫ কেজির আশপাশে। এসব অপরিপক্ক তরমুজ প্রতিটি দোকানেই কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাইজ ভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি চাওয়া চাচ্ছে। কোনো ক্রেতা যদি তরমুজ পিস হিসেবে নিতে চাচ্ছি সেখানে কেজি দরের চেয়ে দ্বিগুণ দাম হাকানো হচ্ছে। ফলে ক্রেতারা বাধ্য হয়ে কেজি দরেই কিনছে।

রাজবাড়ী ফল বাজারের এক খুচরা তরমুজ বিক্রেতা বলেন, গত বছর এ সময় ১০০ তরমুজ ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা করে আড়ৎ থেকে কেনা গেছে। আর এবার দ্বিগুণ দাম। তারপরও রোজার আগের দিন পাওয়া যায়নি। সে কারণে অস্বাভাবিক দামে কেনাবেচা হচ্ছে। চলতি বছরে রোজার আগে প্রতি ১০০ তরমুজ কিনতে হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায়, যা তিন চার দিনের ব্যবধানে ৫ থেকো ৬ হাজার টাকা বেড়েছে। তাই খুচরায় ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। ৩-৪ দিন আগেও তিনি ৭০ টাকায় তরমুজ বিক্রি করেছেন।

রাজবাড়ী বাজারের ফল ব্যবসায়ী উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, এখনো তরমুজের মৌসুম আসেনি। রোজার কারণে চাষিরা আগে ভাগে তরমুজ তুলে ফেলছে। এখন বাজারে যে তরমুজগুলো দেখা যাচ্ছে, তা আকারে ছোট, ৩ থেকে সাড়ে ৩ কেজির মধ্যে বেশি। বড় তরমুজ নেই বললেই চলে। এসব তরমুজের বেশিরভাগই অপরিপক্ক। যে কারণে অন্যান্য বছরে এ সময়ে ৫০-৫৫ টাকার মধ্যে পাওয়া গেলেও এ বছর ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাস হওয়াতে ক্রেতারাও বাধ্য হয়ে কিনছে।

রাজবাড়ী ফল বাজারের তরমুজ কিনতে আসা মিরাজ হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, রোজা বলেই বাজারে তরমুজ কিনতে আসলাম। তবে বিক্রেতারা দাম বেশি চাচ্ছেন। তাছাড়া তরমুজগুলো অপরিপক্ক। বেশি বড় হয়নি। প্রতি কেজি তরমুজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দাম চাওয়া হচ্ছে। কেজি দরে একটি তরমুজ কিনতে গেলে ৪০০-৫০০ টাকা হয়ে যাচ্ছে। পিস হিসেবে কিনতে গেলে তখন কেজি দরের চেয়ে বেশি দাম হাকানো হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে কেজি দরেই কিনতে হচ্ছে তরমুজ। আসলে বাজারে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের প্রভাব রয়েছে। সব দোকানেই একই দাম। যদি দামটা ৫০-৬০ টাকা কেজি হতো তাহলে আমাদের মতো ক্রেতাদের সুবিধা হতো।

আরেক ক্রেতা রোজিনা ইসলাম বলেন, ৮০ টাকা কেজি দরে ৪ কেজি ওজনের একটি তরমুজ কিনেছি। দামটা অনেক বেশি। দোকানদার একটু কমও রাখল না। বাড়ির বাচ্চারা বায়না ধরছে তরমুজ খাবে কিছু করার নেই। যত দামই হোক কিনতে হয়েছে। সুষ্ঠু ভাবে বাজার মনিটরিং করা গেলে তরমুজের দাম স্বাভাবিক থাকতো।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বলেন, রমজানের শুরু থেকেই আমরা বাজার মনিটরিং করছি। আমরা যখন বাজার মনিটরিং করেছি তখন তরমুজের বিষয়টিও মাথায় রাখছি। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের পাশাপাশি তরমুজের বাজারেও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি এবং বিক্রেতাদের সতর্ক করছি। পাশাপাশি ক্রেতাদেরকেও অপরিপক্ক তরমুজ কিনতে নিরুৎসাহিত করছি।