• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ

জুলিও কুরি পদক বঙ্গবন্ধুকে বিশ্ববন্ধুতে পরিণত করেছিল

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২০  

১৯৭৩ সালের ২৩ মে বাঙালি জাতির জীবনে একটি বিশেষ দিন। এই দিনেই বাঙালির মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সুদীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছিলেন জুলিও কুরি শান্তি পদক। আর এই বিরল সম্মাননার মধ্য দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু’ থেকে ‘বিশ্ববন্ধু’-তে পরিণত হয়েছিলেন তিনি।

এর আগে শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে বিশ্বশান্তি পরিষদ এক ইশতেহারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান ‘জুলিও কুরি’ পুরস্কারে ভূষিত করে।

এরপর ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামকে বিশ্ব ইতিহাসে চির অম্লান করে রাখার লক্ষ্যে বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদান করে।

বিশ্বশান্তি পরিষদের উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় শান্তি সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রদান করেন পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল রমেশ চন্দ্র।

ইতিহাস ও রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান- এই মূলনীতিকে পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করায় তাকে আন্তর্জাতিক মহল বঙ্গবন্ধুকে এক ব্যতিক্রম নেতা হিসেবে দেখতে শুরু করে। আর বিশ্বশান্তি পরিষদের পদক ছিল জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ। এই পদক ছিলো বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান।

বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক অর্জন বাঙালির জন্য এক বিরল সম্মান। এ মহান অর্জনের ফলে জাতির পিতা পরিণত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধুতে। যদিও এ প্রাপ্তি বা অর্জন দেশি-বিদেশি অনেকের কাছেই চোখের বালি বা ঈর্ষণীয় বিষয় ছিল। ধনী দেশগুলোর আশঙ্কা ছিল, গরীব মানুষের শান্তি নিশ্চিত হলে তাদের নিজেদের সুখ-শান্তির ঘাটতি হতে পারে।

এরই ফলশ্রুতিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের শিকার হন বঙ্গবন্ধু। ফলে ১৯৭৫ সালে আমাদের দেখতে হয়েছে মানব জাতির ইতিহাসে এক নিষ্ঠুর ও নির্মম হত্যাকাণ্ড, যার বলি হয়েছেন আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর আগে যারা জুলিও কুরি শান্তি পদক লাভ করেছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- ফিদেল ক্যাস্ট্রো, হো চি মিন, ইয়াসির আরাফাত, সালভাদর আলেন্দে, নেলসন ম্যান্ডেলা, ইন্দিরা গান্ধী, মাদার তেরেসা, কবি ও রাজনীতিবিদ পাবলো নেরুদা, জওহরলাল নেহেরু, মার্টিন লুথার কিং, নিওনিদ ব্রেজনেভ প্রমুখ।