পদ্মা সেতুর সমীক্ষা বন্ধ করেছিল বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২২
বিএনপি ক্ষমতায় এসে পদ্মা সেতুর সমীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছিল বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২২ জুন) বেলা ১১ টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। প্রমত্ত পদ্মা নদী দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য জেলা থেকে বিছিন্ন করে রেখেছিল। আমরা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সে কষ্টটা ভালো করে জানি। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ জানে কী ঝুঁকি নিয়ে এবং কতটা সময় ব্যয় করে আমাদের রাজধানীতে পৌঁছাতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আমি সরকার গঠন করে ১৯৯৭ সালে জাপান সফরে যাই। সেখানে গিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলাম আমাদেরকে পদ্মা নদীতে ও রূপসা নদীতে সেতু করে দিতে হবে। আমি তাদেরকে প্রস্তাব দেই, তারা আমাদের প্রস্তাবে রাজি হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা পৃথিবীর খরস্রোতা নদীর মধ্যে একটি। আমাজনের পরেই পদ্মা। জাপান পদ্মা নদীতে সেতু করার জন্য সমীক্ষার কাজ শুরু করে। আমি একটু এখানে স্মরণ করতে চায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ১৯৭৩ সালে যখন জাপান সফরে গিয়েছিলেন তখন যমুনা নদী এবং পদ্মা নদীর ওপর সেতুর কথা বলেছিলেন। তবে যমুনা নদীর সেতুর ওপরই তিনি গুরুত্ব দিয়েছিলেন এবং তখন জাপান সরকার যমুনা নদীতে সমীক্ষা করে। জাপানের সহযোগিতায় আমাদের যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা নদীর ওপর সেতু নিয়ে জাপান সমীক্ষা করে ২০০১ সালে আমাদেরকে রিপোর্ট হস্তান্তর করে। তার ওপর ভিত্তি করে ওই বছরের ৪ জুলাই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। সমীক্ষায় জাপান মাওয়া প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত নেয়। আমাদের দুর্ভাগ্য যে ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। বিএনপি সরকার এসে সেটা বন্ধ করে দেয়। সে সময় বিএনপি নেত্রী বলেছিল যে, এটা এখান থেকে হবে না, এটা আরিচা ঘাট থেকে হবে। তারা তখন জাপানকে আবার সমীক্ষা করতে বলে। তখন জাপান সমীক্ষা করে ২০০৩ বা ২০০৪ সালে যে রিপোর্ট দেয় সেখানেও তারা মাওয়া থেকে এই পদ্মা সেতু করতে বলে। তখন আমরা শুনেছিলাম দুইটা পদ্মা সেতু হবে; কিন্তু বিএনপি সরকার কিছুই করতে পারেনি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আবার ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর আবারও সেতু নির্মাণের পদক্ষেপ নেই। এরপর আমরা নকশা তৈরির জন্য নিউজিল্যান্ড ভিত্তিক কোম্পানি মনসেল এ কম-কে নিয়োগ দেই। শুরুতে পদ্মার প্রকল্পে রেল চলাচলের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিল এটা মাল্টিপারপাস হওয়া উচিত। কারণ, বার বার এ নদীর ওপর সেতু করা যাবে না। কারণ এটা অনেক খরস্রোতা নদী। পরে রেল সুবিধা রেখে এটির চূড়ান্ত নকশা করা হয়। ২০১০ সালের মধ্যে নকশা চূড়ান্ত হয়ে যায়। পরের বছর ডিপিবির সংশোধনী করা হয়। এতে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। এ ব্যয় বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল; কিন্তু সেখানে অন্যান্য সুবিধা ছিল না। সেখানে নদী শাসন করে নদী ছোট করে পদ্মা সেতু করার কথা ছিল। কিন্তু আমি কখনই পদ্মা নদীকে সংকোচন করে নিয়ে আসার পক্ষে ছিলাম না।’
তিনি আরও বলেন, ওই সময় পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ছিল ৫.৫৮ কিলোমিটার পরে পদ্মার হিসাব নিয়ে এটা ৬.১৫ কিলোমিটার নিয়ে মূল সেতু করার সিদ্ধান্ত নেই এবং সেভাবে ডিজাইন করা হয়। প্রথম ডিপিবিতে সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ঠিক করা হয়েছিল মাত্র তিনটি উঁচু করা হবে এবং সেখান থেকে নৌযান যাবে। কিন্তু পদ্মা নদীতে যারা কখনো লঞ্চ ও স্টিমারে গিয়েছেন তারা জানেন পদ্মার স্রোত কেমন। এই স্রোত কোনো বাঁধ মানে না। এটি কখন কোন দিকে যাবে সেটা কেউ কখনো বলতে পারে না। সে কারণে আমার সিদ্ধান্ত ছিল পুরো নদীর যেকোনো জায়গা থেকে যেন জাহাজ যেতে পারে এবং স্প্যানগুলো যতড়া চওড়া করা যায় সেভাবেই নকশা করা হয়।
- থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা
- থাইল্যান্ডের রাজা-রানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
- বাংলাদেশকে ‘সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ দেশ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট
- টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি
- দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী
- বান্দার যে কর্মের ফলে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন আল্লাহ
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- ভোলায় জেলা প্রশাসনের ঈদ সামগ্রী পেল ৩০ পরিবার
- ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
- ভোলায় উদ্যোক্তাদের তিনদিনের ঈদমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল
- দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সচেতনতা ও সামর্থ্য বাড়াতে হবে
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- পটুয়াখালী ইপিজেডের জমি হস্তান্তর, ১৩৫০ মিলিয়ন বিনিয়োগের প্রত্যাশা
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না
- ভোলায় শপথ নিলেন তিন ইউপি চেয়ারম্যান
- বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষকরাও বদলির সুযোগ পাচ্ছেন
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- পরিবর্তন হলো ২৪৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- লিটনের সমস্যাটা মানসিক, এখান থেকে বের হতে হবে: সুজন
- বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকা টোল আদায়
- বিভেদ মেটাতে মাঠে আওয়ামী লীগ নেতারা
- গরমে স্বস্তি পেতে ইফতারে শসা-লেবুর জুস