• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সিলেটে বর্জ্য হবে সম্পদ, বসলো প্লান্ট

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

দেশের প্রথম প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথক্‌করণ প্লান্ট বসানো হলো সিলেট নগরের বর্জ্য ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। এখান থেকে প্রতিদিন ২০০ টন বর্জ্যকে পৃথক্‌করণ করা হবে। এতে করে নগরের বর্জ্য আর জমা থাকবে না। সেগুলো প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়া হবে। এই প্লান্টের কারিগরি সেবা দিচ্ছে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ। সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। সিলেট নগরের পূর্বদিকে পারাইরচক লালমাটিয়া এলাকা হচ্ছে বর্জ্য ডাম্পিং এলাকা। প্রতিদিন নগর থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য এখানে নিয়ে ডাম্পিং করে রাখা হয়। এতে করে ওই এলাকার পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। এলাকার পরিবেশ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।

এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিকল্প ভাবা হচ্ছিলো। তখন মেয়র ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেট নগরের সংগৃহীত বর্জ্যকে তিনি সম্পদে পরিণত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। নেয়া হয় প্রকল্পও। প্রায় দু’বছর আগে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি কাজও শেষ হয়েছে। তবে কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এই কাজ শেষ হলে প্লান্টের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হবে। শুক্র ও শনিবার দু’দিন পরীক্ষামূলক ভাবে প্লান্টটি চালু করা হয়েছিল। সবকিছু টিকটাক রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন- নগরের বর্জ্য ডাম্পিং এলাকায় প্রায় ৮-৯ লাখ টন বর্জ্য পড়ে আছে। প্রথমে এই বর্জ্যগুলোকে পৃথক্‌করণের কাজ শুরু করা হবে।

পাশাপাশি এখন থেকে প্রতিদিন যেসব বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে সেগুলোকে পৃথক্‌করণ করা হবে। এতে করে জমে থাকা বর্জ্য সম্পদে পরিণত করতে কয়েক মাস সময় অতিবাহিত হতে পারে। ওই এলাকায় যাতে উচ্ছিষ্ট বর্জ্য না থাকে সে ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে। এদিকে- গতকাল শনিবার লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে এই প্লান্টের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, এমপি। এ সময় সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. একে আব্দুল মোমেন, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। নগর ভবনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- সিলেট সিটি করপোরেশন এবং লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে এটাই দেশের প্রথম ও একমাত্র প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথক্‌করণ প্লান্ট। এই প্লান্টের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর অপচনশীল প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা করা সম্ভব হবে।

এই প্লান্টটি চালুর ফলে সিলেট মহানগরের প্লাস্টিক বর্জ্যের হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা করছে সিসিক। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রকল্পের উদ্বোধনকালে জানিয়েছেন- ‘প্লাস্টিক বর্জ্য টেকসই ব্যবস্থাপনা দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ। পুরো পৃথিবীই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিভিন্ন ধরনের টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সরকারও সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের একার পক্ষে কঠিন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়, তাই প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।’ সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন- ‘সিলেট সিটিকে একটি প্লাস্টিকমুক্ত নগরে রূপান্তর করা আমার অন্যতম লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্যেই আমরা লাফার্জ হোলসিমের সঙ্গে মিলে কাজ করছি। সিলেটবাসীর কাছে আমার অনুরোধ- আপনারাও সচেতন হোন এবং প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার কমান। আর যেখানে- সেখানে প্লাস্টিক পণ্য ফেলে পরিবেশের ক্ষতি করবেন না। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা সিলেটকে দেশের প্রথম প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত মহানগর গড়তে চাই।’ লাফার্জ সুরমা হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল চৌধুরী জানিয়েছেন- এ প্রকল্পের সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এখান থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এতে করে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন বর্জ্য পৃথক্‌করণের পাশাপাশি পুরাতন বর্জ্যও পৃথক্‌করণ করা হবে। এটা দেশের মধ্যে প্রথম কোনো নগরে চালু হলো। এতে সিলেটের মানুষ উপকৃত হবে বলে জানান তিনি।