• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি

দেশে প্রথমবার বুক না কেটে ‘ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারি ২০২০  

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে বুক না কেটে এক রোগীর ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

হৃৎপিণ্ড মানব দেহে রক্ত সঞ্চালন করে। এই রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় হৃৎপিণ্ডে বিভিন্ন ধরনের ভাল্ব থাকে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূণর্ ভাল্বটি হল ‘এওর্টিক ভাল্ব’। যে ভাল্ব দিয়ে হৃৎপিণ্ড থেকে শরীরে রক্ত সঞ্চালিত হয়। এই ভাল্বটি সরু হয়ে গেলে এওর্টিক স্টেনোসিস হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত শরীরে সঞ্চালন করতে পারে না এবং রোগী হাঁটলে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা ও অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। এ সব উপসর্গ দেখা দিলে দুই বছরের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী মারা যায়।

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমার বলেন, এই রোগের দুই ধরনের চিকিৎসা আছে। একটি হল বুক কেটে ভাল্ব প্রতিস্থাপন করা। এ পদ্ধতিতে রোগীকে সম্পূর্ণ অজ্ঞান করতে হয়। রোগীর বুকের হাড়কে কাটতে হয় এবং প্রক্রিয়াটি ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া পরিপূর্ণ সুস্থ হতে রোগীর কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। আর আমরা যেটা করেছি তা হল, বুক না কেটে এবং অজ্ঞান না করে পায়ের কুচকি দিয়ে ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করেছি। এটা কম ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি জানান, গত রোববার তার নেতৃত্বে এবং হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ৬০ বছর বয়সী এক নারী রোগীর শরীরে সফলভাবে ‘এওর্টিক ভাল্ব’ প্রতিস্থাপন করেন। যা বাংলাদেশে এই প্রথম। এর আগে এমনটা আর কেউ করেননি।

ডা. প্রদীপ কুমার বলেন, এ পদ্ধতিতে অপারেশনের পর এক রোগী ২-৩ দিনের মধ্যে বাসায় চলে যেতে পারেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে কাজে যোগদান করতে পারেন। বর্তমানে রোগীটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।

তিনি বলেন, এওর্টিক স্টেনোসিস পদ্ধতিতে রোগীরা অপেক্ষাকৃত কম খরচে এই চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারবে। ইতিপূর্বে এই ধরনের রোগীদের দেশে এ চিকিৎসা পদ্ধতি না থাকার কারণে বিদেশে অনেক উচ্চমূল্যে এই চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হতো। আমরা আশা করছি, যদি এই চিকিৎসা পদ্ধতি পরিপূর্ণভাবে বাংলাদেশে চালু হয়, তাহলে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।