• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কুখ্যাত ইনডেমনিটির বৈধতায় কলঙ্কিত হয় সংসদ

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২২  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। হত্যার ৪২ দিনের মাথায়, ২৬ সেপ্টেম্বর কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে খুনি খোন্দকার মোশতাক। অধ্যাদেশে যেকোনো আদালতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কলঙ্কিত এ অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেন জিয়াউর রহমান।

১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান সংসদে পঞ্চম সংশোধনী বিলটি উত্থাপন করেন। যথাযথ নিয়ম না মেনে বিলটি সংসদে আনার বিরোধিতা করে ৪৫ জন সাংসদ ‘না’ ভোট দেন। এরপরও কোনোকিছুর তোয়াক্কা না করে ৫ এপ্রিল বিলটি পাস করার জন্য সংসদে উত্থাপন করা হয় এবং পঞ্চম সংশোধনী পাস করিয়ে নেয়।

বিল নিয়ে সংসদে বিতর্কের সময় তৎকালীন সাংসদ শাহজাহান সিরাজ এই বিলের বিরোধিতা করে একে ‘কালা কানুন’ বলে অভিহিত করেন। এছাড়াও জনাব রাশেদ খান মেনন, আসাদুজ্জামান খানসহ আরও অনেকেই একে ‘কালো আইন’ বলে অভিহিত করেন এবং এই সংশোধনীকে দেশের জন্য অমঙ্গলজনক হিসেবে চিহ্নিত করেন।

এই সংশোধনী জাতির পিতাকে হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করার অধ্যাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়াসহ আরও অসংখ্য বর্বর হত্যাকাণ্ড, নির্যাতনের বিচার না হওয়ার পথকে প্রশস্ত করেছিল।

সরকারি দলের নেতা ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছেন। এ কথার প্রসঙ্গে কুমিল্লা-৩ আসনের সাংসদ জনাব মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, ৭ নভেম্বরের আগে ১৫ আগস্ট থেকে মার্শাল ল’ র অধীনে হয়ে যাওয়া সমস্ত অন্যায়, নির্যাতন, জুলুমকে কেন legal cover দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখিত যে, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টে মানুষের আপিল শোনার যে অধিকার সেটা একটা আইনের মাধ্যমে নিয়ে যাচ্ছেন, আবার বলছেন আপনি গণতন্ত্র দিবেন’।

এভাবেই ন্যায্য বিচার পাওয়ার মৌলিক অধিকার নষ্ট করাকে তারা নাম দিয়েছিল মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণ। এবং এই মৌলিক অধিকার হরণের আইন সংসদে পাস হয়ে পরবর্তীতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাক্ষরে অনুমোদিত হয়।

এরপর বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন শপথ নেয় তখন তার সামনে সুযোগ এসেছিল এই কালো আইনটি বাতিল করার। আওয়ামী লীগ এই ইনডেমনিটি আইন বাতিল এর জন্য বিল এনেছিল। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া এই ইনডেমনিটি আইন বাতিলে অস্বীকৃতি জানান। এর মাধ্যমে তিনি অমানবিকতার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ সৃষ্টি করেন।