• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মেট্রোরেলে চলছে শেষ মুহূর্তের পরীক্ষা-নিরীক্ষা

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২২  

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরেই চালু হবে মেট্রোরেল। এজন্য আর মাত্র দেড় মাসের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের পরীক্ষামূলক চলাচল। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটির প্রথম অংশের (উত্তরা তৃতীয় পর্ব হতে আগারগাঁও পর্যন্ত) বাস্তবায়ন অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৯৪ দশমিক ২২ শতাংশ। তবে সার্বিকভাবে পুরো মেট্রোরেল লাইন-৬ প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়েছে ৮৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দ্বিতীয় অংশের বাস্তবায়ন ৮৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম, রেল কোচ এবং ডিপোর যন্ত্রপাতি সংগ্রহের সমন্বিত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৮৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। এছাড়া মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বাস্তব কাজ এখনো শুরু হয়নি। চলছে ভূমি অধিগ্রহণ এবং পরিষেবা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ। এদিকে, মেট্রোরেলের নিচের রাস্তা সংস্কারসহ সৌন্দর্য বর্ধন কাজে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও মেট্রোরেলের কর্তৃপক্ষের মধ্যে দেখা দিয়েছে সমন্বয়হীনতা। ফলে মিরপুর এলাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। সরেজমিন মেট্রোরেল প্রকল্পের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, আগারগাঁও স্টেশনের নিচে পিয়ারের ডিভাইডারে চলছে স্টিলের বেষ্টনী বসানোর কাজ।

সেই সঙ্গে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য গাছ লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি স্টেশনের সিঁড়ি ও অন্যান্য কাজ চলছে। আগারগাঁও থেকে তালতলা পর্যন্ত রাস্তার কাজ প্রায় শেষ। কিন্তু কাজীপাড়া ও শেওড়া পাড়া এলাকায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পাইপ স্থাপনের কাজ চলছে ঢিমেতালে। নিচের রাস্তার সংস্কার করতে পারছে না মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এ এলাকায় সব সময়ই লেগে থাকছে যানজট। ফলে যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। কথা হয় বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ভুক্তভোগী মহিদুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার বাসা মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বরে। আর অফিস মতিঝিলে। মেট্রোরেলের এই কাজ শেষ না হওয়ায় সব সময় স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে দেড় ঘণ্টা বেশি লাগছে। জানি না কবে শেষ হবে এ দুর্ভোগ।

সরেজমিন ঘুরে আরও দেখা যায়, উত্তরা ডিপো এলাকায় ১৭টি লিফটের ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভায়াডাক্টের ওপর রেললাইন স্থাপন এবং ওভারহেড ক্যাটানারি সিস্টেম চালু করা হয়েছে।

সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন করে টেস্টিং কাজ চলছে। এ এলাকার ৯টি স্টেশনের ৩৬টি লিফটের মধ্যে ২৫টির কাজ শেষ হয়েছে। ৫৪টি এস্কেলেটরের মধ্যে ৪৮টি স্থাপন করা হয়েছে। এ অংশে ইতোমধ্যেই অটোমেটিক ট্রেন প্রটেকশন (এটিপি) এবং অটোমেটিং টেন অপারেশন (এটিও) সিস্টেম স্থাপন শেষ হয়েছে। ট্রেনের ডায়নামিক এবং সিগন্যালিং পিএসডি ইন্টারফেস টেস্টিং শেষ হয়েছে।

কথা হয় ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ডিসেম্বরেই মেট্রোরেলের প্রথম অংশ চালু করার প্রস্তুতি রয়েছে। বড় কোনো সমস্যা না হলে এই লক্ষ্য বিচ্যুত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে সমস্যা হলো কোনো কোনো জায়গায় নিচের কাজগুলো শেষ করা যায়নি। সিটি করপোরেশনকে বারবার তাগাদা দিয়েও তারা পাইপ বসানোর কাজ শেষ করছে না।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, মেট্রোরেল প্রকল্পের প্যাকেজভিত্তিক অগ্রগতি পর্যালোচনা করে দেখা যায় প্যাকেজ-১ এর আওতায় ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। এছাড়া প্যাকেজ-২ এর আওতায় ডিপো এলাকার পূর্ত কাজও শতভাগ শেষ। প্যাকেজ-৩ ও ৪ এর আওতায় নির্মাণ করা হচ্ছে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৯টি স্টেশন। ইতোমধ্যেই ভায়াডাক্টের কাজ শেষ হয়েছে। স্টেশনগুলোর ওপরের ছাদ নির্মাণ শেষ হয়েছে। ৬টি স্টেশনের ঢোকা ও বের হওয়ার সিঁড়ি ও এস্কেলেটরের কাজ শেষ হয়েছে। ৩টি স্টেশনের ঢোকা ও বের হওয়ায় সিঁড়ির কাজ চলছে। ৯টি স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ও কনকর্সে লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ৯টি স্টেশনের মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক্যাল এবং প্লাম্বিংসহ অন্যান্য কাজ চলছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্যাকেজের অগ্রগতি ৯৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। প্যাকেজ-৫ এর আওতায় আগারগাঁও থেকে কাওরান বাজার পর্যন্ত চলছে ৩ দশমিক ১৯ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৩টি স্টেশনের নির্মাণ কাজ। ইতোমধ্যেই ভায়াডাক্ট ও স্টেশন প্ল্যাটফর্মগুলোর কাজ শেষ হয়েছে। অন্যান্য সব কাজই শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্যাকেজের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। এছাড়া উত্তরা ডিপো এলাকায় অবস্থিত মেট্রোরেল এক্সজিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে ৬ সেপ্টেম্বর।

ডিএমটিসিএল সূত্র আরও জানায়, প্যাকেজ-৬ এর আওতায় কাওরান বাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪ দশমিক ৯২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৪টি স্টেশনের কাজ চলছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ প্যাকেজের সার্বিক অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৮৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এছাড়া প্যাকেজ-৭ এর আওতায় ইলেকট্রিক অ্যান্ড মেকানিক্যাল সিস্টেম স্থাপনের কাজ চলছে। এ প্যাকেজের সার্বিক অগ্রগতি ৮৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। সর্বশেষ প্যাকেজ-৮ এর আওতায় রেল কোচ এবং ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ প্যাকেজের আওতায় ২৪ সেট ট্রেনের মধ্যে ১৭ সেট ট্রেন উত্তরা ডিপোতে এসেছে। ১৮ ও ১৯ নম্বর ট্রেন সেট জাপানের কোবে সমুদ্রবন্দর থেকে ৮ সেপ্টেম্বর জাহাজে করে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওয়ানা করেছে। যেসব ট্রেন এসেছে সেগুলোর পারফরম্যান্স ও ফাংশনাল টেস্ট শেষ হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন টেস্ট। এটিই হচ্ছে সর্বশেষ টেস্ট। এ টেস্ট চলবে যাত্রী চলাচল শুরু হওয়া পর্যন্ত।