• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আগামীকাল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির আহতদের চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়নের জন্য কার্যকর জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনা চান প্রধানমন্ত্রী বিএনপি ক্ষমতায় এসে সব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয় চমক রেখে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার তিন গুরুত্বপূর্ণ সফর: প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের ভিসা অনুমোদনের সময় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে ছেলেরা কেন কিশোর গ্যাংয়ে জড়াচ্ছে কারণ খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নতুন প্রজন্ম গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর এসএসসির ফল প্রকাশ, পাসের হার যত ছাত্রীদের চেয়ে ছাত্ররা পিছিয়ে, কারণ খুঁজতে বললেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসির ফল হস্তান্তর জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ থেকে বাংলাদেশ পাচ্ছে ৫৫০ কোটি ডলার

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২২  

বাজেট সহায়তা হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ৫৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা পাচ্ছে বাংলাদেশ। এ অর্থ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করবে। ঋণের বিষয়ে কথা বলতে আগামী সপ্তাহে আইএমএফ বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠাবে। আগামী ২৬ অক্টোবর ওই প্রতিনিধি দলের ঢাকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্বব্যাপী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আর্থিক ঝুঁকি ও জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ ঋণদাতাদের কাছে এ সহায়তার অনুরোধ করেছে। ইতোমধ্যে বাজেট সহায়তা হিসেবে আইএমএফের কাছ থেকে ৪৫০ কোটি ডলার ও বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়া নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে এই অর্থ বাংলাদেশ পাওয়ার আশা করছে।
গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ২ পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ সাংবাদিকদের বলেন, এ ঋণ পেলে আমাদের ডলার সংকট কেটে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, কোটা অনুযায়ী আইএমএফের কাছ থেকে আমরা ৭০০ কোটি ডলার ঋণ নিতে পারি। তবে, আমরা ৪৫০ কোটি ডলার নেওয়ার পরিকল্পনা করেছি এবং আইএমএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি।

আব্দুর রউফ আরও বলেন, আইএমএফের রেজিলিয়েন্স ও সাসটেইনেবিলিটি ট্রাস্ট (আরএসটি) তহবিল থেকে এ ঋণ চাওয়া হয়েছে। চলমান সংকটের কারণে বিভিন্ন দেশ যাতে আর্থিক অভিঘাত প্রতিহত করতে পারে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে, সেজন্যই সম্প্রতি আইএমএফ এ তহবিল সৃষ্টি করেছে।

আইএমএফের গাইডলাইন অনুযায়ী, এর কোনো একটি খাত থেকে ঋণ নিতে চাইলে অন্যান্য খাতগুলো থেকেও তহবিল নিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আইএমএফের এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) খাত থেকে ঋণ চেয়েছে।

গভর্নর আরও বলেন, বাজেট সহায়তা হিসেবে ১০০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার জন্য বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি) তহবিল থেকে ২৫ কোটি ডলার ও গ্রিন রেজিলিয়েন্ট ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট (জিআরআইডি) তহবিল থেকে ৭৫ কোটি ডলার ঋণ চাওয়া হয়েছে। বাজেট সহায়তা তহবিলের সুবিধা হলো এটি পাওয়া তুলনামূলক সহজ। সে কারণেই আমরা এ তহবিলকে অগ্রাধিকার দিয়েছি।
 
দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস (বিওপি) বিষয়ে গভর্নর বলেন, গত ৩ মাসে চলতি অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সের ওপর চাপ কমেছে। কারণ এ সময়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় মোট আমদানি বিলের সমান।

ইনভেস্টোপেডিয়ার তথ্যমতে, চলতি অ্যাকাউন্টের ভারসাম্য একটি দেশের আর্থিক প্রবাহ ও বহিঃপ্রবাহের রেকর্ডের অংশ। এটি বিওপির অংশ এবং এক দেশ ও অন্য দেশের মধ্যে করা সব লেনদেনের বিবৃতি।

এ প্রসঙ্গে আব্দুর রউফ বলেন, ‘বকেয়া এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) পরিশোধ করা হলে চলতি অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সের ওপর চাপ আরও কমবে। আমি মনে করি, যদি বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, তাহলে নভেম্বর-ডিসেম্বরের পরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ থাকবে না।

গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিপুল চাপের মুখে পড়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য, বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি ও সারের দামবৃদ্ধির কারণে আমদানি বিল বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১২ অক্টোবর পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা চলতি বছরের ৩০ জুন ছিল ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের ১২ অক্টোবর এর পরিমাণ ছিল ৪৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার।

শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের উপ-পরিচালক অ্যানে ম্যারি গোল্ড ওলফ বলেন, ঋণের বিষয়ে কথা বলতে আগামী সপ্তাহে আমরা বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠাব।

তিনি বলেন, টাকার মান প্রায় ২০ শতাংশ কমে গেছে। একইসঙ্গে রিজার্ভও কমে গেছে। যদিও এখন পর্যন্ত রিজার্ভ স্থিতিশীল অবস্থায় আছে, তবে, প্রতিনিয়তই তা কমছে। আমরা আনন্দিত যে বাংলাদেশ তাদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে এবং অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে আইএমএফের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদল আগামী ২৬ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছাবে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।