প্রশ্ন ব্ল্যাকবোর্ডে, বাড়ি থেকে উত্তর লেখার খাতা
আলোকিত ভোলা
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের টাকায় টান পড়েছে। এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষায় তাই তাদের ছাপানো প্রশ্ন না দিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে দেয়া হবে। শুধু তাই নয়, প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য কাগজও তাদের বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হবে।
অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা দিয়ে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আর এতে শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন খাতে সাশ্রয়ের নির্দেশনা থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। আর শিশুদের জন্য সামান্য খরচ নিয়ে মাথা ব্যথা। এতেই বোঝা যায় শিক্ষাকে কতটা গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে!
আদেশে যা বলা হয়েছে
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশে বলা হয়েছে, ‘বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের বোর্ডে প্রশ্নপত্র লিখে মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কোনো শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অধিক হলে সেক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র হাতে লিখে ফটোকপি করা যেতে পারে। প্রশ্নপত্র ফটোকপির প্রয়োজন হলে বিদ্যালয়ের আনুষাঙ্গিক খাত থেকে ব্যয় করা যাবে। কোনো অবস্থাতেই প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন গ্রহণ করা যাবেনা। চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাদা কাগজ বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য পূর্বেই শিক্ষার্থীকে অবহিত করতে হবে।'
আদেশে আরো বলা হয়েছে, "মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষার্থী বা অভিভাবকগণের নিকট থেকে কোনো মূল্যায়ন ফি গ্রহণ করা যাবে না।''
শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের কথা
বাগেরহাট এলাকার একটি উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, তারা চলতি সপ্তাহেই ওই নির্দেশনা পেয়েছেন এবং স্কুলগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন," আগে উপজেলা শিক্ষা অফিসের ব্যবস্থাপনায় প্রশ্নপত্র ছাপা হতো এবং স্কুলগুলোতে তা দেয়া হতো। আর পরীক্ষার কাগজ(খাতা) স্কুল থেকেই দেয়া হতো। এবার আর তা সম্ভব হচ্ছে না।”
তিনি বলেন," প্রত্যেকটি স্কুলেই বছরে একটি ফান্ড দেয়া হয়। যা থেকে পরীক্ষার ব্যয়সহ চক, ডাস্টারের খরচ বহন করা হয়। কিন্তু এই অর্থ বছরে এখন পর্যন্ত সেই বরাদ্দের টাকা দেয়া হয়নি।”
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির একজন কেন্দ্রীয় নেতা জানান,"এই নির্দেশনায় আমরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছি কী করব তা নিয়ে। কারণ যোগ্যতার ভিত্তিতে যে প্রশ্ন করা হয় তার সব প্রশ্ন এক সঙ্গে ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা যাবে না। তাই মুছে আবার নতুন প্রশ্ন লিখতে হবে। একজনের উত্তর লেখা শেষ হয়েছে, আরেকজনের হয়নি। তখন আমরা কী করব? আর উত্তর লেখার খাতা বাড়ি থেকে আনলে একেকজন একেকরকম খাতা আনবে। আবার কেউ যে কাগজ আনবে তার চেয়ে বেশি কাগজ তার লাগতে পারে। তখন সে লুজ শিট কোথায় পাবে? একটা বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে।”
আদেশে বলা হয়েছে, ‘‘বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের বোর্ডে প্রশ্নপত্র লিখে মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কোনো শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অধিক হলে সেক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র হাতে লিখে ফটোকপি করা যেতে পারে।’’আদেশে বলা হয়েছে, ‘‘বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের বোর্ডে প্রশ্নপত্র লিখে মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কোনো শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অধিক হলে সেক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র হাতে লিখে ফটোকপি করা যেতে পারে।’’
63780040_906
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশ
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যানের আওতায় দুইশ' শিক্ষার্থীর বেশি স্কুলগুলোতে বছরে ৭০ হাজার টাকা, এরচেয়ে কম শিক্ষার্থীর স্কুলে ৫০ হাজার টাকা বছরে বরাদ্দ দেয়া হয়। আর পাঁচশ' শিক্ষার্থীর অধিক স্কুলে ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এই ফান্ড থেকেই সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা বিদ্যালয়ে বছরে বার্ষিক পরীক্ষাসহ তিনটি সাময়িক পরীক্ষা নেয়া হতো। আর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের সমন্বয়ে প্রশ্ন তৈরি, মডারেশন ও প্রশ্ন ছাপানো হতো। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্কুলগুলোতে প্রশ্ন পাঠাতো। স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষার উত্তরপত্রের খাতা বানাতো।
"বাচ্চারা তোমাদের পড়াশুনার কোনো দরকার নেই”
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন," এই নির্দেশনা দিয়ে বাচ্চাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, বাচ্চারা তোমাদের পড়াশুনার কোনো দরকার নেই।”
তার কথা,"করোনার সময় ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেয়া হলো কিন্তু শিক্ষায় দেয়া হলো না। আর এখন কৃচ্ছসাধনের জন্য এই বাচ্চাদের বেছে নেয়া হলো! আগে এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে পড়তে আসত। এখন আর আসেনা। উন্নয়ন অগ্রগতির প্রথম শর্ত হলো মানব সম্পদের উন্নয়ন। এটা যেন এখানে উল্টো।”
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন," আমরা এখনো এতটা অর্থনৈতিক সমস্যায় পরিনি যে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে হবে। আর এটা সমাজেও একটা নেগেটিভ মেসেজ দেবে। যেমন, আমরা শুনেছিলাম শ্রীলঙ্কায় কাগজের অভাবে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারছে না।''
তার কথা,"এটা শিক্ষার্থীদের মনের ওপর যেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তেমনি প্রাথমিক শিক্ষাটা ফ্রি। ফলে এই যে নির্দেশনা তা ফ্রি শিক্ষা নীতি বিরোধী।”
মহাপরিচালক যা বললেন
তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত দাবি করেন,"নির্দেশনার যে সার্কুলার ওটা ঠিক সার্কুলার না । কেউ হয়তো দিয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ছাপানো প্রশ্ন দেব। তবে পরীক্ষার খাতা আমরাও দেব শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকেও আনতে পারবেন।”
আপনারা খাতা দিলে বাড়ি থেকে আনতে হবে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,"অনেক সময় খাতায় শর্ট পড়ে। তাই বাড়ি থেকে খাতার আনার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।”
তিনি দাবি করেন,"কোনো আর্থিক সংকট নেই। পরীক্ষার সময় যাতে কোনো ফি আদায় না করা হয় সেজন্যই এই ব্যবস্থা।''
স্কুলগুলোতো এবছর এখনো উন্নয়ন তহবিল পায়নি। তাহলে তারা পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্ন ছাপাবার টাকা কোথায় পাবে? এর জবাবে তিনি বলেন,"টাকা যে স্কুলের প্রয়োজন হবে তারা চাইবে। আর চাইলেইতো দেয়া হবে না। আমরা চেক করে দেখব।”
তবে সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমীন করিমী বলেন,"আমারা ব্ল্যাকবোর্ডে প্রশ্ন লেখা এবং বাড়ি থেকে খাতা নিয়ে আসার নির্দেশনা পাওয়ার পর আমরা স্কুলগুলোকে জানিয়ে দিয়েছি। এর পরে আর কোনো নতুন নির্দেশনা পাইনি।” আর ডয়চে ভেলের প্রতিবেদকের কাছেও আদেশের কপি আছে।
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- ভোলায় জেলা প্রশাসনের ঈদ সামগ্রী পেল ৩০ পরিবার
- ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
- ভোলায় উদ্যোক্তাদের তিনদিনের ঈদমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল
- বোরহানউদ্দিনে মাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে আটক
- দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সচেতনতা ও সামর্থ্য বাড়াতে হবে
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- ভোলায় সাড়ে ৩ হাজার কেজি অবৈধ মাছ জব্দ করেছে কোস্টগার্ড
- পায়ের পাতায় ব্যথা, হতে পারে যে রোগের লক্ষণ
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- পটুয়াখালী ইপিজেডের জমি হস্তান্তর, ১৩৫০ মিলিয়ন বিনিয়োগের প্রত্যাশা
- জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে পারলে ভোটের চিন্তা থাকবে না
- মাত্র ৪ উপকরণে ঘরেই তৈরি করুন কোণ মেহেদি
- ভোলায় শপথ নিলেন তিন ইউপি চেয়ারম্যান
- কলাপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষকরাও বদলির সুযোগ পাচ্ছেন
- পরিবর্তন হলো ২৪৭ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম
- ঈদের রেসিপি কবুতরের রোস্ট
- লিটনের সমস্যাটা মানসিক, এখান থেকে বের হতে হবে: সুজন
- বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৩৫ লাখ টাকা টোল আদায়