• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
দেশে এখন বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ: প্রধানমন্ত্রী ‘বিলাসিতা একটু কমিয়ে শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিন’ চীন সফরে যাওয়ার আগে জুলাইয়ে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়লো আরও ৩ দিন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর: শেখ হাসিনা কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে কাজ করতে হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে: নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী

আজ আইয়ুব বাচ্চুকে হারানোর ২ বছর

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২০  

আজ থেকে দুই বছর আগের ১৮ অক্টোবর। সকালটা শুরু হয়েছিলো আর ১০টা সকালের মতোই। কিন্তু সকালটি তার স্বাভাবিকতা ধরে রাখতে পারেনি। বেলা বাড়তেই খবর এলো- আইয়ুব বাচ্চু নেই!

মুহূর্তেই খবরটি ছড়িয়ে পড়ল সারাদেশে। শোকের সমুদ্রে ভেসে গেল এ দেশের গানের আঙিনা। শোকাহত হয়ে পড়েন শোবিজের সবাই। রুপালি গিটার ফেলে যাওয়া ‘এবি বস’ খ্যাত আইয়ুব বাচ্চুর ভক্তরা কেঁদে ভাসালেন বুক।

লোকে লোকারণ্য হয়েছিল এ কিংবদন্তির শেষ যাত্রায়। ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত বাচ্চুর জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছিল। এসেছিলেন অন্য ধর্মের মানুষেরাও ঝাঁকে ঝাঁকে, প্রিয় তারকাকে শেষ বিদায় জানাতে। দেশের মানুষ এত বড় জনসমুদ্রের শেষযাত্রা শেষ কবে দেখেছেন জানা নেই।

দেখতে দেখতে আজ ২ বছর হয়ে গেল সেই বিষাদে ভরা ১৮ অক্টোবরের। আজ আইয়ুব বাচ্চুর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। রুপালি গিটার ফেলে চলে গেছেন সবার প্রিয় এবি বস, কিন্তু আজও তিনি প্রাণবন্ত হয়ে আছেন ভক্তদের হৃদয়ে। আছেন রোজকার চর্চায়।

কয়েকটি প্রজন্মকে গানের বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জনপ্রিয় ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক হিসেবে। তার হাত ধরে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা ব্যান্ডজগৎ, এদেশের চলচ্চিত্রও পেয়েছে অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান।

১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে গানের ভুবনে পথচলা শুরু করেন আইয়ুব বাচ্চু। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করেন। নব্বইয়ের দশকে যাত্রা শুরু হয় ‘ব্যান্ডদল এলআরবি’র। এর দলনেতা ছিলেন।

দীর্ঘ কয়েক দশকে অসংখ্য কালজয়ী, জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু। ‘চলো বদলে যাই,’ ‘হাসতে দেখো,’ ‘এখন অনেক রাত,’ ‘রুপালি গিটার’, ‘মেয়ে’ ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি,’ ‘সুখের এ পৃথিবী,’ ‘ফেরারি মন,’ ‘উড়াল দেবো আকাশে,’ ‘বাংলাদেশ,’ ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি,’ ‘এক আকাশের তারা,’ ‘সেই তারা ভরা রাতে,’ ‘কবিতা,’ ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি,’ ‘তিন পুরুষ,’ ‘যেওনা চলে বন্ধু,’ ‘বেলা শেষে ফিরে এসে,’ ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি,’ ‘তিন পুরুষ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। গত বছরের ১৮ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই কিংবদন্তি শিল্পী।