• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি যাদের বেশি

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২৩  

নারীরা যেসব ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হন, তার মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যানসার অন্যতম। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৬ লাখ ৪ হাজার নারী জরায়ুর ক্যানসারে ভুগছেন। তবে এই ক্যানসারের কারণ কী?

যারা কম বয়সে বাচ্চা নেয়, যারা অনিরাপদ সঙ্গম চর্চা করে, শারীরিক সম্পর্কের জন্য যাদের একাধিক সঙ্গী থাকে, শারীরিক সম্পর্কের সময় যারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে না ও যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন নারীদের ক্ষেত্রে এই ভাইরাস ক্যানসারে রূপান্তরিত করে।

সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়েছে, মানসিক সমস্যা বা স্নায়ুর সঙ্গে যুক্ত মনের রোগে আক্রান্ত নারীদেরও জরায়ুমুখের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ।

সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা জানান, নারীদের জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায় নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে।

১৯৪০-১৯৯৫ সালের মধ্যে জন্মেছেন এমন ৪০ লাখ নারীর উপর পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এমন বহু নারীর শরীরেই এই ক্যানসারের লক্ষণ দেখা গিয়েছে।

গবেষকদের মধ্যে অন্যতম কেইজা হু জানান, একটি বয়সের পর নারীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকা উচিত। বিশেষত যাদের এ ধরনের মানসিক সমস্যা আছে, তাদের তো আরও বেশি করে পর্যবেক্ষণে থাকা উচিত।

কারণ এই রোগে আক্রান্তরা নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা মনেই রাখতে পারেন না। ব্যক্তিগত ভালো মন্দের খেয়াল তাদের থাকে না।

এছাড়া গবেষকরা আরও দুটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন, যেখান থেকে জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

ধূমপান ও জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি, এই দুটির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারেও নারীরা জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে গেলে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

জরায়ুমুখের লক্ষণ কী কী?

জরায়ুমুখ ক্যানসারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ৭০ ভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগ অ্যাডভান্সড স্টেজে ধরা পড়ে। প্রথমদিকে এই রোগের কোনো লক্ষণ থাকে না।

এরপর যখন লক্ষণ প্রকাশ পায় তখন সেটা অ্যাডভান্সড হয়ে যায়। এ কারণেই জরায়ু ক্যানসারকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়ে থাকে।

১. নিন্মাঙ্গের চারপাশে চাপ লাগা কিংবা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ করা।

২. গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য। হালকা খাবারের পর পেট ভর্তি লাগা, পেটে অস্বস্তি লাগা, ইত্যাদি পেটের কোন সমস্যা খুব বেশি হলে তা জরায়ু ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।

৩. পেটে অতিরিক্ত ব্যথা কিংবা পেট ফুলে থাকা, সঙ্গে বমি বমি ভাব কিংবা বারবার বমি হওয়া। এর ফলে খিদে কমে যায়।

৪. অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া বা হঠাৎ করে ওজন অনেক কমে যাওয়া।

৫. প্রথম দিকে রোগীর সাদা স্রাব হয়। অনেক সময় গন্ধযুক্ত বা রক্তমিশ্রিত সাদা স্রাব হয়।

৬. যৌন সম্পর্কে রক্ত যাওয়া জরায়ু ক্যানসারের এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এজন্য সহবাসে কারও রক্ত গেলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

৭. মাসিক অনিয়মিত হওয়া। দুই মাসিকের মাঝে অনিয়মিত রক্তস্রাব অথবা মাসিক এতবেশি অনিয়মিত হচ্ছে যে মাসিকের তারিখ শনাক্ত করা যাচ্ছে না।

৮. মেনপোজ হওয়ার পরও যদি কোনো নারী রক্তক্ষরণ দেখা যায়, তাহলে সেটিও জরায়ু ক্যানসারের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। সেক্ষেত্রে দ্রুত তাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

৯. এছাড়া তলপেটে ব্যথা, ব্যাকপেইন বা পা ফুলে যাওয়া ও পায়ে পানি আসা জরায়ু ক্যানসারের অ্যাডভান্সড স্টেজের লক্ষণ।