• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

জনগণ বিএনপির অন্ধকার যুগে ফিরে যেতে চায় না: ওবায়দুল কাদের

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২  

দেশের জনগণ নিশ্চিতভাবে বিএনপির সেই অনুর্বর ও অন্ধকার যুগে ফিরে যেতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের’ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ ভালো করেই জানে তারা কোথায় আছে। আর বিএনপির আমলে কোথায় ছিল। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে আর্থসামাজিক সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ আজ এক মজবুত ভীতের ওপর দাঁড়িয়েছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতিরাষ্ট্র হিসেবে অনন্য মর্যাদায় অভিহিত হয়েছে। তাই দেশের জনগণ নিশ্চিতভাবে বিএনপির সেই অনুর্বর ও অন্ধকারময় সময়ে ফিরে যেতে চায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ বিএনপিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। আর জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত বিএনপি প্রতিশোধের নেশায় বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসের উত্তাপ ছড়িয়েছে। আমরা সেই সন্ত্রাসের উত্তাপ থেকে জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি, দূরে রাখার চেষ্টা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেই বলেছেন, তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। অর্থাৎ এই সমাবেশে সরকার বাধা প্রদান করেনি। সরকার শুধু সতর্ক ছিল এই সুযোগে বিএনপি যেন কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড না করতে পারে। বিএনপি বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতায় এসে অবৈধভাবে তা দখল করে রাখতে দেশের জনগণের ওপর সীমাহীন অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছে। ২০০১-০৬ সালে তারা আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। একুশে আগস্টের মতো নারকীয় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে গণহত্যা সংঘটিত করেছে। অথচ আর তারা মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে গুমের বানোয়াট ও মনগড়া পরিসংখ্যান উপস্থাপন করছে।’

ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে স্মরণ করিয়ে বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) মনে রাখা উচিত, অতীতের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জনাই তারা ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জনগণ দ্বারা মারাত্মকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তারপরও তারা ২০১৪ জাতীয় নির্বাচন প্রতিহত করার অপচেষ্টায় সারা দেশে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও অগ্নিসন্ত্রাস চালায়। দেড় শতাধিক নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে প্রাণ দিতে হয়। এখন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারাত্মক যন্ত্রণা নিয়ে বেঁচে আছে শত শত মানুষ। বিএনপি তাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের জন্য আবারও সেসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে মাঠে নামিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সেসব সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকার কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করছে না।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘স্বাভাবিক অবস্থায় জনগণকে শান্তি ও নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের প্রধান দায়িত্ব। শান্তি-নিরাপত্তার পাশাপাশি চলমান বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে জনগণকে স্বস্তি প্রদান করে চলেছে সরকার। তথ্যের অবাধ প্রবাহের এই যুগে দেশের জনগণ ভালো করেই জানে, বৈশ্বিক সংকটের অভিঘাত কত গভীর এবং তা মোকাবিলায় সরকার নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ বৈশ্বিক এই সংকটকে পুঁজি করে বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই মানবিক সংকটে যখন বিশ্বব্যাপী সব রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন সমন্বিত প্রয়াস চালাচ্ছে, তখন বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি ধ্বংসাত্মক রাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে। তাদের নেতারা নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য উসকানি দিচ্ছে। এতেও তারা জনগণের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে দিগভ্রান্ত হয়ে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছে।’

জনগণের নিরাপত্তায় সরকার বদ্ধপরিকর জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা জানি, এরপরই বিএনপি এই ব্যর্থতা ঘোচাতে তাদের স্বভাবজাত সন্ত্রাসের পথে ফিরে যাবে। তবে আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যেকোনও পরিস্থিতিতে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’