• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

তারেক-মোশাররফ দ্বন্দ্ব: অস্থির বিএনপি

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০২৩  

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে। প্রায় এক মাস হলো তিনি কারাগারে আছেন। আর তার কারাগারে থাকার কারণে এখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং জেষ্ঠ্য নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দলের হাল ধরেছেন। কিন্তু তার এই দলের হাল ধরা নিয়ে এখন দলের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা রকম অস্থিরতা। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিএনপির নেতৃত্ব নেওয়ার পর সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে আছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া। তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে যে কোনো নির্দেশনা দিলে বিনা বাধায় এবং বিনা বাক্য ব্যয়ে সেই পরামর্শ তিনি শুনতেন এবং সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য চেষ্টা করতেন। অনেক ক্ষেত্রে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলতেনও না যে, এটা তারেক জিয়ার নির্দেশনা। তিনি সব দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিয়ে সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করতেন। আর এ কারণেই দলের মধ্যে তিনি সমালোচিত হতেন।

বিএনপির অনেক নেতাই বলেছেন, তারেক জিয়া একেক সময় একেক ধরনের নির্দেশনা দিতেন এবং এই নির্দেশনাগুলো অনেক সময় ছিল হঠকারী, স্ববিরোধী। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোনো জিজ্ঞাসা ছাড়াই এবং কোনো রকম যুক্তি তর্ক আরোপ না করেই এই সিদ্ধান্তগুলোকে মেনে নিতেন এবং সে সিদ্ধান্তগুলোকে বাস্তবায়নের চেষ্টা করতেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গ্রেপ্তার হওয়ার পর, সেক্ষেত্রে একটি শূণ্যতা তৈরি হয়েছে। বিএনপির দ্বিতীয় নেতা ছিলেন রুহুল কবির রিজভী। রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গেও তারেক জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু রুহুল কবির রিজভীও গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারেক জিয়া দ্বিতীয় কোনো মাধ্যমও পাচ্ছেন না, যার মাধ্যমে তিনি তার ইচ্ছা-অনিচ্ছাগুলো দলের নেতৃবৃন্দেরকে জানাবেন।

তাছাড়া দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সঙ্গেও তারেক জিয়ার নিয়মিত কথা-বার্তা হতো এবং দল পরিচালনার বিভিন্ন বিষয়ে তিনি নির্দেশনা দিতেন। সে পথও এখন বন্ধ। এখন বিএনপিতে যারা জেলের বাইরে আছেন, তাদের কারো সঙ্গেই তারেক জিয়ার অতো গভীর এবং মধুর সম্পর্ক নয়। বিশেষ করে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আলাদা ব্যক্তিত্ব এবং বিএনপিতে তার দীর্ঘদিনের অবস্থান ইত্যাদি কারণে, যা খুশি নির্দেশনা দিতে পারছেন না। বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, তারেক জিয়ার অনেক নির্দেশনাই ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন উপেক্ষা করছেন বা এটিকে ভেবে দেখবেন বলে বলছেন। গত কয়েক দিনে তারেক জিয়া একাধিক বিষয়ে ড. খন্দকার মোশাররফ হেসেনকে নির্দেশনা দিয়েছেন, যে সমস্ত নির্দেশনাগুলো তিনি শুনেননি। যেমন, তারেক জিয়া ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে বলেছিলেন, তিনি যেন গণমিছিল কর্মসূচিতে একটা গণ্ডগোল হয়, সেটার ব্যবস্থা করেন, পুলিশকে কোনো উস্কানি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ‘ভেবে দেখবো’ ‘বিষয়টি দেখছি’ বলে এড়িয়ে যান এবং ওই সমাবেশ শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ হয়েছে।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, তারেক জিয়ার পক্ষ থেকে জামায়াতকে ওইদিন নাশকতা করার জন্য বলা হয়েছিল। এই ব্যাপারে জামায়াত ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু মোশাররফ হোসেন তাদেরকে নিরুৎসাহিত করেন এবং এই ধরনের ঘটনা এখন না ঘটানোর জন্য নির্দেশনো দেন। তারেক জিয়া ১১ জানুয়ারি বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচি নিয়েও একটা অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে বলে জানা গেছে। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন তারেক জিয়াকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বাস্তবতা এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। হঠকারী কোনো কিছুই এখন করা যাবে না। হঠকারী কর্মসূচিই কেউ পছন্দ করে না। ফলে তারেক জিয়া বিএনপিকে নিয়ে যে এক্সপেরিমেন্ট করতেন, সেটি অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। আর এই দুই নেতার দ্বন্দ্বের কারণেই বিএনপির মধ্যে এক ধরনের সিদ্ধান্তহীনতা চলছে। কারণ, তারেক জিয়া তৃণমূলের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করেন, তৃণমূলের নেতাদেরকে তিনি বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন, সেই পরামর্শ বাস্তবায়নের জন্য দরকার ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উদ্যোগ। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখন তারেক জিয়ার কথায় সবকিছু করছেন না। ফলে বিএনপিতে নতুন করে তারেক-খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরোধ চাউর হয়েছে।