• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

রাসুল (সাঃ) কখনো আজান দেননি কেন?

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০২১  

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় মুসলিমগণ দিন রাত ইবাদত করেন। নিশ্চয়ই জানেন, নামাজ হচ্ছে সর্বোত্তম ইবাদত। নামাজ বেহেশতের চাবি। তাইতো মুসলিমগণ সময়মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।

মসজিদে আজান দেয়ার মাধ্যমে সমগ্র মুসলিমকে নামাজের জন্য আহবান জানানো হয়। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের জন্য আজান দিতে বলেছেন, কিন্তু তিনি কেন কখনো আজান দেননি? চলুন  জেনে নেয়া যাক এর মূল কারণ-

একদিন আল্লাহর রাসুল (সঃ) সাহাবিদেরকে বললেন সবাইকে কীভাবে নামাজের জন্য আহবান করা যায়।

একজন সাহাবি বললেন, "হে রাসুলুল্লাহ সাঃ, আমরা ঢোল বাজিয়ে সবাইকে নামাজের জন্য ডাকতে পারি।" তখন ঢোল নিষিদ্ধ হয়নি।

আরেকজন বললেন, "আগুন জালিয়ে এটা করা যায়। মানুষ আগুনের ধোঁয়া দেখে বুঝবে নামাজের জন্য ডাকছে।"

আরেকজন বললেন, "শিঙ্গা ফুৎকারে সবাইকে ডাকা যায়।"

আল্লাহর রাসুল সাঃ এর কারো পরামর্শই পছন্দ হলো না। সবাই নিজের বাড়িতে চলে গেলেন।

সেদিন রাতে যায়েদ ইবনে আব্দুল্লাহ স্বপ্নে দেখেন, এক ব্যক্তি শিঙ্গা বিক্রি করছেন। তিনি তখন ওই ব্যাক্তির কাছে একটা শিঙ্গা কিনতে চাইলেন। লোকটি জিজ্ঞেস করলেন, এটি দিয়ে আপনি কি করবেন?

তখন যায়েদ ইবনে আব্দুল্লাহ বলেন সবাইকে নামাজের জন্য ডাকবো। শিঙ্গা বিক্রেতা তখন বললেন, আমি এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দিবো যার দ্বারা আপনি সবাইকে নামাজের জন্য ডাকতে পারেন। তখন তিনি আজানের বাক্যগুলো বলতে লাগলেন।

আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার........

অতঃপর লোকটি চলে গেলেন। যায়েদ ইবনে আব্দুল্লাহ এই কথা রাসুলকে জানান। রাসুল সাঃ বলেন, বেলাল কে ডাকো আর সবাইকে এই বাক্যগুলো দ্বারা আহবান করতে বলো। বেলাল যখন আল্লাহু আকবার বলে আজান দিচ্ছিল, মনে হচ্ছিল আসমান থেকে সুর ধ্বনিত হচ্ছে।  

তখন উমর রাঃ দৌড়ে এসে বললেন এই বাক্যগুলো আমি কাল রাতে স্বপ্নে দেখি। মানে উনি সহ আরো ১৪ জন সাহাবি একই স্বপ্ন দেখেন।  

আল্লাহর রাসুল সাঃ বলেন, ওই লোকটা যে কেউ ছিলেন না উনি জিব্রাইল (আ.) ছিলেন। এই বাক্যগুলো আল্লাহ পাক আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন সালাতের আহবান করার জন্য।

আল্লাহর রাসুল কেন কখনো আজান দেননি?

** আল্লাহর রাসুল যখন কিছু করতে বলেন আমাদের জন্য তখন তা অত্যাবশ্যক হয়ে যায়। আল্লাহ রাসুল (সাঃ) যদি আজান দিতেন তবে সেখানে তিনি বলতেন হাইয়া আলাস সালাহ। অর্থাৎ নামাজের জন্য এসো। তখন যদি কেউ এই আহবান শুনে মসজিদে না গিয়ে ঘরে নামাজ আদায় করে তবে সে কবিরা গুনাহে লিপ্ত হবে।

** আবার আজানে বলা হয় আশহাদুয়ান্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। অর্থাৎ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল। এক্ষেত্রে উনি নিজেই নিজের সাক্ষ্য দিবেন কীভাবে? উনার এই সাক্ষ্য দানে হয়তো অনেকে ভাবতো যে উনি হয়তো অন্য কোনো রাসুলের কথা বলছেন।

** রাসুল (সাঃ) নিজের উম্মতের কথা ভেবে আজান দেননি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সঠিক সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।