• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কুরআনপাঠ ও ইসলামের পরিপূর্ণ সৌন্দর্য উপলব্ধি

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

 

ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির সোপান পবিত্র কুরআন। জীবন চলার বিধিবিধান, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যে সমৃদ্ধ একটি কিতাব আল কুরআন। এ প্রসঙ্গে রাব্বুল আলামিন মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি এ কিতাবে কোনো বিষয়ই বাদ দিইনি’। (সুরা আনআম :৩৮) অন্যত্র তিনি বলেন, ‘আমি তোমার প্রতি এ কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যা প্রত্যেকটি বিষয়ে সুস্পষ্ট বর্ণনাদানকারী’। (সুরা নাহল :৮৯) অর্থাৎ একজন মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যা কিছুর প্রয়োজন তার সবকিছুর বর্ণনা রয়েছে মহাগ্রন্থ আল কুরআনে।

রাসুলে কারিম (সা.) বলেন, ‘যে মুমিন কুরআন পাঠ করে, তার উদাহরণ হলো কমলালেবু, যা স্বাদে ও গন্ধে উত্তম। আর যে মুমিন কুরআন পাঠ করে না, তার উদাহরণ হলো খেজুর, যার সুগন্ধ না থাকলেও স্বাদে মিষ্ট। আর যে মুনাফেক কুরআন পাঠ করে, তার উদাহরণ হলো রায়হানাহ ‘ফুল’, যার সুগন্ধি আছে এবং স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফেক কুরআন পাঠ করে না, তার উদাহরণ হলো হান্যালাহ (মাকাল ফল), যার কোনো সুগন্ধি নেই এবং স্বাদও খুব তিক্ত।’ (সহিহ মুসলিম :১৭৪৫)

ইসলামের প্রকৃতি প্রচারধর্মী। আবেদন বিশ্বজনীন। কুরআন হচ্ছে মানবজাতি এবং গোটা বিশ্ব মানবতার জন্য একটি দিকনির্দেশনা। আল্লাহ পাকের ঘোষণা- প্রত্যেক রাসুলকেই আমি স্বজাতির ভাষা দিয়ে পাঠিয়েছি যেন তাদের (স্বজাতিকে) পরিষ্কারভাবে বুঝাতে পারে। (সুরা ইবরাহিম :৪) সর্বশেষ নবির (সা.) মাতৃভাষায় কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার বহু পরে ইউরোপীয় জগৎ যখন কুরআন বুঝতে সক্ষম হলো তখনই তাদের মধ্যে জন্ম নিলো রেনেসাঁ সৃষ্টিকারী পণ্ডিত। পশ্চিমা জগৎ শুধু নিজেরাই কুরআন বুঝে প্রশান্তি লাভ করেনি বরং বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদের তাগিদ অনুভব করেছিল।

ইউরোপীয় পণ্ডিতদের মধ্যে যারা অগ্রগামী ছিলেন তারা বুঝতে পারেন, আরবি রচনাবলি শুধু যে গুরুত্বপূর্ণ তাই নয়, সেগুলো অপরিহার্যও বটে। কারণ, তারই মধ্যে সঞ্চিত ছিল জ্ঞানের প্রচুর সম্পদ। কুরআনের অনুবাদ, তাফসির ও গবেষণাকর্ম বহু শতাব্দী আগে থেকে আরবি ও ফারসিতে শুরু হলেও উনবিংশ শতাব্দীর আগে বাংলা ভাষায় ইসলামের মূলগ্রন্থ কুরআন পাকের অনুবাদ সম্পাদিত হয়েছিল বলে জানা যায় না। এককালের পারস্য ও আজকের ইরান যখন ইসলামি শাসন বলয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়, তখন সেখানে ফারসি ভাষার মাধ্যমেই ইসলামের বাণী প্রচারিত হয়।

বর্তমান প্রেক্ষিত
আপনি প্রতিদিন কুরআন পড়ছেন আরবিতে, কিন্তু কিছুই বুঝছেন না। পড়ছেন শুধু এক বর্ণে ১০ নেকির লাভের আশায়। আপনি কি শুধু এই নেকি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবেন! আল্লাহর দেয়া আদেশ-নিষেধগুলো বুঝতে হবে না আপনাকে? পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, (সরল-সঠিক পথের সন্ধান দিতেই) আমি এভাবে তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজনকে রাসুল করে পাঠিয়েছি, যে ব্যক্তি (প্রথমত) তোমাদের কাছে আমার ‘আয়াত’ পড়ে শোনাবে, (দ্বিতীয়ত) সে তোমাদের (জীবন) বিশুদ্ধ করে দেবে এবং (তৃতীয়ত) যে তোমাদের আমার কিতাব ও তার অন্তর্নিহিত জ্ঞান শিক্ষা দেবে, (সর্বোপরি) সে তোমাদের এমন বিষয়গুলোর জ্ঞানও শেখাবে যা তোমরা কখনও জানতে না। (সুরা বাকারা :১৫১)

সাম্প্রতিকতালে কুরআনের বিশুদ্ধ উচ্চারণ তিলাওয়াত, অনুবাদ ও তাফসির শেখার জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আর কুরআন বুঝে পড়তে হলে মাতৃভাষার কোন বিকল্প নেই। তাই বাংলা ভাষাভাষী প্রত্যেক মুসলমান যখন নিজের মাতৃভাষা বাংলার মাধ্যমে কুরআন ও হাদিস শরিফ বুঝে পড়তে সক্ষম হবে- আশা করা যায়, তখন তারা ইসলামের পরিপূর্ণ সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবেন।