• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্যানিক ডিসর্ডার ; একটি মানসিক রোগ

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮  

শারীরিক রোগ ভেবে যে মানসিক রোগটির কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়(বা হাসাপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে দেখা করতে যায়) তার নামপ্যানিক ডিসর্ডার প্যানিক ডিসর্ডার এমন একটি রোগ যা হঠাৎ করে শুরু হয় এবং তার তীব্রতা সামান্য সময়ের মধ্যে একেবারে উর্ধ্বে উঠে আসে

শারীরিক রোগ ভেবে যে মানসিক রোগটির কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়(বা হাসাপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে দেখা করতে যায়) তার নামপ্যানিক ডিসর্ডার প্যানিক ডিসর্ডার এমন একটি রোগ যা হঠাৎ করে শুরু হয় এবং তার তীব্রতা সামান্য সময়ের মধ্যে একেবারে উর্ধ্বে উঠে আসে। 

রোগে আক্রান্তের মনে হয়, এখনই আমিমারা যাবোবাজ্ঞান হারাবো মারা যাওয়ার কারণ হিসেবে সবচেয়ে বেশি যে ভাবনাটি দেখা যায় সেটি হচ্ছে- হার্ট অ্যাটাক। তারপরেই থাকে স্ট্রোক করার ভয় তাকে পেয়ে বসে। অনেকে হাইপারটেনশান বা ব্লাড প্রেশার নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েন

প্যানিক ডিসর্ডারের কারণে মানুষের ব্যক্তিগত পারিবারিক কিংবা সামাজিক জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এমনও অনেক রোগী দেখা যায়, যারা নিজের মৃত্যুর অবশ্যম্ভাবী ভেবে সম্পদ সংসারের সমস্ত দায়-দায়িত্ব অন্যের হাতে তুলে দেন। 

সারাক্ষণ মনের মধ্যে একটা ভয় নিয়ে চলতে থাকেন, কখন আবার শুরু হয়! কোনো কাজেই মনোযোগী হতে পারেন না। ভয় হয়-যদি একা থাকেন কিংবা তার ধারেকাছে পরিচিত কেউ না থাকে, তবে তার কী হবে

রোগীর মনে হয়, তার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বুক ধড়ফড় করা, হাত-পা অবশ হয়ে আসা, মুখ শুকিয়ে আসা, হাত-পা কাঁপাসহ বেশ কিছু শারীরিক উপসর্গও দেখা দেয়। অনেক সময় প্রচুর ঘাম হতে পারে, সেই সঙ্গে শরীরের কোনো কোনো অংশ অবশ হয়ে যাচ্ছে বলেও মনে হতে পারে। 

বস্তুত প্যানিক ডিসর্ডার শরীরের কোনো রোগ বা সমস্যা নয়। এটি একটি মানসিক রোগ। দেখা যায়, রোগীরা সমস্যা নিয়ে বারবার বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন-ইসিজি, ইকো থেকে শুরু করে হার্টের এনজিওগ্রাম পর্যন্ত অনেকের করা হয়ে যায়। বিভিন্ন রকমের রক্ত পরীক্ষা তো আছেই। সে সঙ্গে অনেক সময় রোগী নিজেও বিভিন্ন রকম পরীক্ষা করিয়ে নেন নিজের সমস্যাটি আবিষ্কারের জন্য। 

কোনো পরীক্ষাতেই কোনো কিছু ধরা না পড়াতে অনেকে ভাবেন- ডাক্তার মনে হয় ঠিক মতো রোগটি ধরতে পারছেন না। কিংবা পরীক্ষাগুলোর রেজাল্ট হয়তো ঠিক মতো আসছে না। অনেক ডাক্তারও রোগীকে বলে দেন, ‘আপনার কোনো রোগ নেই আর এতে রোগী বা রোগীর আত্মীয়-স্বজন আরো বেশি দ্বিধার মধ্যে পড়ে যান। ভাবেন- তাহলে এমন সমস্যা হচ্ছে কেন? এমনকী অনেকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পর্যন্ত চলে যান

এটি একটি মানসিক রোগ, বিষয়টি বুঝতে অনেক সময় খুব দেরি হয়ে যায়। অনেকে বারবার ব্যাখ্যার পরও মানসিক রোগ হিসেবে মেনে নিতে চান না। কিংবা মানসিক ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে কুণ্ঠা বোধ করেন। 

মূলত প্যানিক ডিসর্ডার সঠিক চিকিৎসায় সম্পূর্ণ ভালো হয়। এটি যে কোনো বয়সেই হতে পারে। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রকাশভঙ্গিটা বুঝতে অনেক সময় দেরি হতে পারে

প্যানিক ডিসর্ডার কেন হয়?

অনেক মানসিক রোগের মতো সরাসরি কোন কারণ বের করতে না পারলেও বংশ পরম্পরায় রোগ চলতে দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে চলা মানসিক চাপও অনেক সময় -রোগ প্রকাশের কারণ হতে পারে। 
এছাড়া অন্যান্য অনেক রোগের সাথেও প্যানিক ডিসর্ডার থাকতে পারে। যেমন- ডিপ্রেশন, পিটিএসডি, মাদকাসক্তি কিংবা বিভিন্ন রকম দু:শ্চিন্তা-উদ্বেগ (অ্যাংজাইটি) অনেক সময় বিভিন্ন ওষুধের কারণেও রোগ হতে পারে

তবে মনে রাখতে হবে, পেনিক ডিসর্ডার ডায়াগনসিস করতে গিয়ে কখনো যেন সত্যিকারের কোনো শারীরিক সমস্যাকে উপেক্ষা করা না হয়। 

যেসব শারীরিক সমস্যার কারণে এমন হতে পারে, তাদের মধ্যে হরমোনের সমস্যা (থাইরয়েড, সুপ্রারেনাল), হার্টের বিশেষ কিছু সমস্যা অবশ্যই গুরুত্বসহ দেখতে হবে। কোনো কোনো ওষুধও প্যানিক অ্যাটাকের বড় কারণ হতে পারে। 

প্যানিক ডিসর্ডারের চিকিৎসাপদ্ধতি সাধারণ। কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধ, সে সঙ্গে সাইকোথেরাপি এবং রিলাক্সেশান এক্সারসাইজ জরুরি। 

এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, পরিবারের অন্যদের ইতিবাচক সহায়ক ভূমিকা অনেক বেশি প্রয়োজন। অন্যদেরও বুঝতে হবে এটি একটি রোগ এবং সেই মতো রোগীকে সহায়তা করতে হবে 

শারীরিক রোগ ভেবে যে মানসিক রোগটির কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়(বা হাসাপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে দেখা করতে যায়) তার নামপ্যানিক ডিসর্ডার প্যানিক ডিসর্ডার এমন একটি রোগ যা হঠাৎ করে শুরু হয় এবং তার তীব্রতা সামান্য সময়ের মধ্যে একেবারে উর্ধ্বে উঠে আসে

শারীরিক রোগ ভেবে যে মানসিক রোগটির কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়(বা হাসাপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগে দেখা করতে যায়) তার নামপ্যানিক ডিসর্ডার প্যানিক ডিসর্ডার এমন একটি রোগ যা হঠাৎ করে শুরু হয় এবং তার তীব্রতা সামান্য সময়ের মধ্যে একেবারে উর্ধ্বে উঠে আসে। 

রোগে আক্রান্তের মনে হয়, এখনই আমিমারা যাবোবাজ্ঞান হারাবো মারা যাওয়ার কারণ হিসেবে সবচেয়ে বেশি যে ভাবনাটি দেখা যায় সেটি হচ্ছে- হার্ট অ্যাটাক। তারপরেই থাকে স্ট্রোক করার ভয় তাকে পেয়ে বসে। অনেকে হাইপারটেনশান বা ব্লাড প্রেশার নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েন

প্যানিক ডিসর্ডারের কারণে মানুষের ব্যক্তিগত পারিবারিক কিংবা সামাজিক জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এমনও অনেক রোগী দেখা যায়, যারা নিজের মৃত্যুর অবশ্যম্ভাবী ভেবে সম্পদ সংসারের সমস্ত দায়-দায়িত্ব অন্যের হাতে তুলে দেন। 

সারাক্ষণ মনের মধ্যে একটা ভয় নিয়ে চলতে থাকেন, কখন আবার শুরু হয়! কোনো কাজেই মনোযোগী হতে পারেন না। ভয় হয়-যদি একা থাকেন কিংবা তার ধারেকাছে পরিচিত কেউ না থাকে, তবে তার কী হবে

রোগীর মনে হয়, তার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বুক ধড়ফড় করা, হাত-পা অবশ হয়ে আসা, মুখ শুকিয়ে আসা, হাত-পা কাঁপাসহ বেশ কিছু শারীরিক উপসর্গও দেখা দেয়। অনেক সময় প্রচুর ঘাম হতে পারে, সেই সঙ্গে শরীরের কোনো কোনো অংশ অবশ হয়ে যাচ্ছে বলেও মনে হতে পারে। 

বস্তুত প্যানিক ডিসর্ডার শরীরের কোনো রোগ বা সমস্যা নয়। এটি একটি মানসিক রোগ। দেখা যায়, রোগীরা সমস্যা নিয়ে বারবার বিভিন্ন ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন-ইসিজি, ইকো থেকে শুরু করে হার্টের এনজিওগ্রাম পর্যন্ত অনেকের করা হয়ে যায়। বিভিন্ন রকমের রক্ত পরীক্ষা তো আছেই। সে সঙ্গে অনেক সময় রোগী নিজেও বিভিন্ন রকম পরীক্ষা করিয়ে নেন নিজের সমস্যাটি আবিষ্কারের জন্য। 

কোনো পরীক্ষাতেই কোনো কিছু ধরা না পড়াতে অনেকে ভাবেন- ডাক্তার মনে হয় ঠিক মতো রোগটি ধরতে পারছেন না। কিংবা পরীক্ষাগুলোর রেজাল্ট হয়তো ঠিক মতো আসছে না। অনেক ডাক্তারও রোগীকে বলে দেন, ‘আপনার কোনো রোগ নেই আর এতে রোগী বা রোগীর আত্মীয়-স্বজন আরো বেশি দ্বিধার মধ্যে পড়ে যান। ভাবেন- তাহলে এমন সমস্যা হচ্ছে কেন? এমনকী অনেকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পর্যন্ত চলে যান

এটি একটি মানসিক রোগ, বিষয়টি বুঝতে অনেক সময় খুব দেরি হয়ে যায়। অনেকে বারবার ব্যাখ্যার পরও মানসিক রোগ হিসেবে মেনে নিতে চান না। কিংবা মানসিক ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে কুণ্ঠা বোধ করেন। 

মূলত প্যানিক ডিসর্ডার সঠিক চিকিৎসায় সম্পূর্ণ ভালো হয়। এটি যে কোনো বয়সেই হতে পারে। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রকাশভঙ্গিটা বুঝতে অনেক সময় দেরি হতে পারে

প্যানিক ডিসর্ডার কেন হয়?

অনেক মানসিক রোগের মতো সরাসরি কোন কারণ বের করতে না পারলেও বংশ পরম্পরায় রোগ চলতে দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে চলা মানসিক চাপও অনেক সময় -রোগ প্রকাশের কারণ হতে পারে। 
এছাড়া অন্যান্য অনেক রোগের সাথেও প্যানিক ডিসর্ডার থাকতে পারে। যেমন- ডিপ্রেশন, পিটিএসডি, মাদকাসক্তি কিংবা বিভিন্ন রকম দু:শ্চিন্তা-উদ্বেগ (অ্যাংজাইটি) অনেক সময় বিভিন্ন ওষুধের কারণেও রোগ হতে পারে

তবে মনে রাখতে হবে, পেনিক ডিসর্ডার ডায়াগনসিস করতে গিয়ে কখনো যেন সত্যিকারের কোনো শারীরিক সমস্যাকে উপেক্ষা করা না হয়। 

যেসব শারীরিক সমস্যার কারণে এমন হতে পারে, তাদের মধ্যে হরমোনের সমস্যা (থাইরয়েড, সুপ্রারেনাল), হার্টের বিশেষ কিছু সমস্যা অবশ্যই গুরুত্বসহ দেখতে হবে। কোনো কোনো ওষুধও প্যানিক অ্যাটাকের বড় কারণ হতে পারে। 

প্যানিক ডিসর্ডারের চিকিৎসাপদ্ধতি সাধারণ। কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধ, সে সঙ্গে সাইকোথেরাপি এবং রিলাক্সেশান এক্সারসাইজ জরুরি। 

এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, পরিবারের অন্যদের ইতিবাচক সহায়ক ভূমিকা অনেক বেশি প্রয়োজন। অন্যদেরও বুঝতে হবে এটি একটি রোগ এবং সেই মতো রোগীকে সহায়তা করতে হবে