• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বাইন সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ গুলো বিলুপ্ত প্রায়

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারি ২০১৯  

বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ।মাছে-ভাতে বাঙালি, কথাটি এখন তাৎপর্য হারিয়ে ফেলেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেশি প্রজাতির মাছ এখন বিলুপ্তির পথে। অধিকাংশ খাল-বিল ও নদ-নদীসহ মুক্ত জলাশয়গুলো মাছশূন্য হয়ে পড়েছে।
চরফ্যাশনের দেশি মাছের বৃহৎ প্রজনন ক্ষেত্র হচ্ছে, আসলামপুর ইউনিয়নের বেতুয়ার খাল, বুড়াগৌরাঙ্গ খাল, আন্দির খাল, সন্দিপের খাল, বঙ্গপোসাগরের উপকূলের চর কুকরি-মুকরি, ঢাল চর, চরমোতাহার, চরলিউলিল, কচ্ছপীয়া, মাইনকা, আট কপাট, চার কপাট ও সামরাজ স্লুইজ গেইটসহ ছোট-বড় খাল। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে দেশি প্রজাতির মাছ কমে গেছে।
এরই মধ্যে এ অঞ্চল থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে সরপুঁটি, তিতপুঁটি, টেংরা, চান্দা, কৈ, শিং, মাগুর, শৈল, গজার, বোয়াল, বাইম, পাঙ্গাশ, বাইলা, বেদা, কুলি, টাকি, হাইটা, বাটা, ছোয়াইচা, আউর, হআইলা ও চিতলসহ দেশি প্রজাতির বিভিন্ন মাছ। প্রয়োজনের তুলনায় দ্বিগুণ ঘাটতির কারণে বাজারে এসব মাছের সরবরাহও কম। যা পাওয়া যায়, দাম চড়া। নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্যতালিকায় এ মাছ তাই আর থাকে না।
উপজেলার চরফ্যাশন বাজার, দুলারহাট, আঞ্জুরহাট, বাবুরহাট, দক্ষিণ আইচা, চেয়ারম্যান বাজার, জলিল বেপারীরহাট, শশীভূষণ বজার, কেরামতগঞ্জ, আবুগঞ্জ, কাশেমগঞ্জ, কুতুবগঞ্জ, ফকিরের হাট, মাঝিরহাট, ফরাজির হাট, জনতা বাজার, ঢালচর বাজার, কুকরি বাজার, মুন্সিরহাট, চৌমুহনী বাজার, দৌলতগঞ্জ, চকবাজার, গনি মিয়ার সাইক্লোন সেন্টারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই, কাতলা ও মৃগেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বাজারে পাওয়া গেলেও দেশি মাছ তেমন একটা চোখে পড়েনি। দু’একটি বাজারে পাওয়া গেলেও দাম চড়া।
অথচ দুই দশক আগেও উপজেলার বিভিন্ন নদী, খাল-বিল ও বিল-জলাশয় দেশি মাছে ভরপুর ছিল। কালের বিবর্তনে এসব জলাশয় ভরাট হয়ে শুকনো মৌসুমে পানিশূন্য হয়ে যায়।
প্রাকৃতিকভাবে বংশবিস্তার করতে না পারায় দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বর্ষাকালে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে খালে জাল দিয়ে রেণু পোনা ও ডিমওয়ালা মা মাছ ধরার কারণেও এ সর্বনাশ দেখা দিয়েছে। অর্থলোভি মাছ শিকারিরা কারেন্ট জাল দিয়ে আইন অমান্য করে অবাধে রেণু পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ ধরছে। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পরবর্তী বংশবিস্তার শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকেছে। বিশেষ করে মাছ ডিম ছাড়ার সময় এবং বর্ষাকালে রেণু পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষেধ থাকলেও তা কেউ মানছে না। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে এসব মাছের অনেক প্রজাতি এখন আর চোখে পড়ে না।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্যকর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, জাতীয় ইলিশের ডিমওয়ালা মাছ ধরার সময় নিষেজ্ঞা থাকে। কিন্তু এখন এসকল দেশীয় মাছে ধরার কোন বাধ্যবাধকতা থাকেনা ফলে পুকুর পানি কমে গেলে আমার জাল দিয়ে  এই সকল প্রজাতির মাছ গুলো ধরে ফেলে এসে তাদের বংশ বিস্তারের সুযোগ থাকেনা। এই জন্যে মাছ গুলো বিলুপ্ত হয়ে যায়।