• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বাচ্চাকে অন্যের সঙ্গে নয়, নিজের সঙ্গে তুলনা করতে শেখান

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০২০  

 


মানব বিকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় শিশুকালে। এই সময় বাচ্চাকে যা শেখানো হয় তাই শেখে। কারণ এই বয়সে শিশুর বিবেক-বুদ্ধি অতটা থাকে না। ভালো-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা থাকে না। সুতরাং বাচ্চাকে যা শেখানো হয় তাই শেখে। শিশুর মানসিক বিকাশের পর্যায়ে সবসময় ইতিবাচক কথা বলতে হবে। যেমন : বাচ্চা কোনো ভুল করলে বলা যাবে না তুমি এটি কার কাছ থেকে শিখেছ? তাহলে বাচ্চা অন্যের ওপরে দোষ চাপিয়ে দিতে পারে, মিথ্যা কথা বলা শিখতে পারে? বলতে হবে : তুমি এটা কেন করেছ? এতে বাচ্চা ভুল স্বীকার করে নেবে এবং সত্য কথা বলা শিখবে।


সবচেয়ে বড়ো যে ভুলটি আমরা করি সেটি হলো : অন্য বাচ্চার সঙ্গে তুলনা করে বসি। এই তুলনা হতে পারে পড়াশোনায়, খেলাধুলায়, কাজকর্মে, ধর্মীয় রীতিনীতি পালন ইত্যাদি বিষয়ে। কিন্তু প্রশ্ন হলো— এই তুলনা কি বাচ্চাকে আরো আত্মবিশ্বাসী করে তোলে?

অবশ্যই না। বাচ্চা কেন, পৃথিবীতে কারো সঙ্গেই কারোর তুলনা করতে নেই। কারণ প্রতিটা মানুষই সম্পূর্ণ আলাদা ও অনন্য। সবাই সবদিকে সমান হবে না এটাই স্বাভাবিক। একেকজন একেকদিক দিয়ে পারদর্শী হবে।

বাচ্চাকে তুলনা করলে তার আত্মবিশ্বাস কমে যায়। নিজেকে অযোগ্য, দুর্বল ভাবতে শুরু করে। নিজের জীবনের প্রতি খেয়াল না রেখে অন্যের জীবনে পড়ে থাকে। অপরের চিন্তাভাবনা, কাজকর্মকে অনুসরণ করে। এতে নিজের স্বকীয়তাকে হারিয়ে ফেলে। সবাইকে তার প্রতিযোগী মনে করে। সরল দুনিয়াটাকে জটিল বানিয়ে ফেলে।

বাচ্চার স্পৃহা বাড়ানোর জন্য অনেক বাবা-মা নিজের সন্তানকে অন্যের সন্তানের সঙ্গে তুলনা করেন। এমন করলে একটা বাচ্চার ওপর দিয়ে কেমন অসুস্থ মানসিক চাপ বয়ে যায় তা বুঝতে পারে না। এসব বাবা-মা কখনো ভাবে না যে, এই বাচ্চাটাই যদি তার বাবা-মাকে অন্যের বাবা-মায়ের সঙ্গে তুলনা করত তাহলে কেমন লাগত!

তুলনা করতে হবে তবে অন্যের সঙ্গে নয়, আমার গতকালের সঙ্গে আমার আজকের। নিজের সঙ্গে তুলনা করলে নিজের সক্ষমতা, দুর্বলতা সম্পর্কে জানা যায়। কারণ মনে রাখতে হবে :

নিজের সঙ্গে তুলনা করলে মানুষ অতুলনীয় হয়ে ওঠে আর অন্যের সঙ্গে তুলনা করলে মানুষ হিংসুক হয়ে ওঠে।

লেখক : হাসান তাসনিম শাওন

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়