• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আলোকিত ভোলা
ব্রেকিং:
যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত : প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরালো হয়েছে ঢাকা ও দোহার মধ্যে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কাতার আমিরের বৈঠক ঢাকা সফরে কাতারের আমির, হতে পারে ১১ চুক্তি-সমঝোতা জলবায়ু ইস্যুতে দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন: প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্ব এইডস দিবস: সচেতনতাই বাঁচাতে পারে

আলোকিত ভোলা

প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৯  

আজ বিশ্ব এইডস দিবস। পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভবের পর থেকেই শুরু হয়েছে বেঁচে থাকার সংগ্রাম। এ সংগ্রামে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং নানা রোগব্যাধি মোকাবেলা করতে হচ্ছে মানবসমাজকে। এইডস একটি ভয়ানক সংক্রামক রোগ। এইচআইভি নামক ভাইরাস রক্তে প্রবেশ করলে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। তখন অনেক রোগ একত্রে আক্রমণ করে ওই মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। এই ঘাতক ব্যাধি পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সহজে ছড়িয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে শতকরা সিংহভাগ নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে উন্নয়নশীল দেশে। এটি আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের মানুষের জন্য উদ্বেগজনক। জানা যায়, প্রতি ১০ সেকেন্ডে ২৫ বছরের কমবয়সী একজন তরুণ বা তরুণী এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্ত লোকের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৯ লাখ (২০১৮)। ২০০৮ সাল থেকে প্রতিদিন নতুনভাবে এক হাজারেরও বেশি শিশু এইচআইভিতে আক্রান্ত হচ্ছে। UNAIDS-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১১ হাজারের কিছু বেশি। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, এইডস/এইচআইভিতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ১ হাজার ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, এইচআইভি জীবাণু মানবদেহে প্রবেশ করার পর এইডস রোগ দেখা দেয়। এইচআইভির জীবাণু বহনকারী ব্যক্তির এইডস হতে ৮ মাস থেকে ১০ বছর সময় লাগে। এইচআইভি জীবাণু চার উপায়ে মানবদেহে প্রবেশ করে।

১. এইডস আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সংসর্গের মাধ্যমে।

২. এইডস আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির রক্ত বা রক্তজাত উপাদান সুস্থ ব্যক্তির দেহে পরিসঞ্চালনের মাধ্যমে।

৩. এইচআইভি সংক্রমিত ইনজেকশনের ছুঁচ, সিরিঞ্জ, দাঁতের চিকিৎসায় ব্যবহার্য যন্ত্রপাতি এবং অস্ত্রোপচারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতির মাধ্যমে।

৪. এইডস ভাইরাস আক্রান্ত মা থেকে গর্ভস্থ শিশুর দেহে এবং বুকের দুধ খায়ানোর মাধ্যমে।

এইডসের চিকিৎসার কার্যকর ওষুধ এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। তাই প্রতিরোধই প্রধান উপায়। উপরে উল্লেখিত চার বিষয়ে সচেতন থেকে এইডস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

উদ্বেগের বিষয় হল, দেশের তরুণ তথা যুবক শ্রেণি এইডস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। নতুন সমাজ গড়ে তুলতে তারুণ্যের বিকল্প নেই। ঘাতক ব্যাধি এইডস আমাদের তরুণ সমাজকে শেষ করে দিক, এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এইডস থেকে নিজেকে এবং সমাজ ও মানবসভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে হলে এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে। এজন্য ব্যক্তি সচেতনতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা আমাদের আবাসভূমি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সব ধরনের রোগব্যাধি থেকে নিরাপদ রাখব, এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।